শিরোনাম:
●   রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার সন্দ্বীপবাসী ●   দেশের শান্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে আমরা কেউ স্বাধীনভাবে আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে আনন্দ উল্লাস করতে পারতাম না : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   জামেয়া মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ফান্ড রেইজিং এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ●   অনির্বাণ যুব ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   রাউজানে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   রাজধানীতে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি পালিত ●   যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেফতার ●   সন্দ্বীপে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ●   বান্দরবান অঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় ও জননিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ●   গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সবাই ●   অরাজকতা, নাশকতা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কাম্য হতে পারে না : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ●   অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সরকার মনে করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ●   গুইমারায় মাদকসহ গ্রেফতার-৪ ●   সনাতন যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঈশ্বরগঞ্জে ধলাই খাল ব্রীজ উদ্বোধন ●   অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বাড়ছে, মোকাবেলায় বাড়ছে না বরাদ্দ ●   রাউজানে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু : আহত-২০ ●   সিলেটে সেলাই কারিগরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ●   পানছড়িতে পাহাড় কাটার অপরাধে জরিমানা ●   কুষ্টিয়া পৌর মেয়র এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তদন্ত শুরু ●   খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন ●   রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার ●   সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ●   ঈশ্বরগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা ●   সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন তলানীতে : সাইফুল হক ●   ঘোড়াঘাটে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দখলের পায়তারা ●   ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাফিজুল ইসলাম লস্কর ●   রুমায় সোনালী ব্যাংকের ভল্টের ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ১৪টি অস্ত্র লুট
রাঙামাটি, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
১৭১৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো

---বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কৃষি ও কেঁচো। জড়িয়ে আছে নিবিড়ভাবে। কৃষিতে কেঁচোর অবদান অপরিসীম। প্রাকৃতিকভাবে কেঁচোই বাঁচিয়ে রেখেছে কৃষি। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিতে অন্যতম সহায়ক। এ জন্য কেঁচোকে বলা হয় প্রকৃতির ‘লাঙল’ ও কৃষকের বন্ধু। কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম : Metaphir posthuma. এনিলিডা বা অঙ্গুরীমাল পর্বের অতি পরিচিত, মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাস করা প্রাণী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পৃথিবীজুড়ে ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির কেঁচো রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টির বেশি প্রজাতি শনাক্ত করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সকলকে জানান। উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কেঁচো সাধারণত ফসলি জমি, বতসভিটার আশপাশে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বাস করে। এরা আলো ও তাপ সহ্য করতে পারে না। দিনে গর্তে বাস করে। রাতে খাদ্যের জন্য বের হয়। এদের চোখ, কান ও ফুসফুস নেই। ত্বকের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। কেঁচো সাধারণত সাত-আট ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। খনন ও চলন ক্রিয়ার মাধ্যমে ৩ মিটার পর্যন্ত মাটি কর্ষণ করতে পারে কেঁচো। ফলে মাটিতে ছিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মাটির গহ্বরে পানি প্রবেশে সাহায্য করে। মাটির তলায় স্থিতিশীলতা এবং বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পায়। যা ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও কেঁচো সার (কেঁচো কম্পোস্ট) নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষি ক্ষেত্রে। বর্তমানে কমে যাচ্ছে প্রকৃতির লাঙল হিসেবে পরিচিত কেঁচো। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে পরিবেশের অতি উপকারী এ প্রাণীটি। তাছাড়া এখন ‘এলফিস’ ধরতে একশ্রেণির শিকারিরা কৃষি জমি থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রচুর কেঁচো ধরে ব্যবহার করে থাকেন। কথা হয় বিশ্বনাথের বাউসী গ্রামের ধানি জমিতে কেঁচো ধরতে আসা বলাই (৭০) -এর সঙ্গে। তিনি নবীগঞ্জের কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, প্রতিদিন এলফিস ধরার ২০০ থেকে ২৫০টি বড় সাইজের কেঁচো প্রয়োজন হয়। একেক দিন একেক জমি থেকে কেঁচো ধরি। কেঁচো এলফিস ধরতে সাহায্য করে। এর বাইরে তার আর কোনো উপকারের কথা জানা নেই। পরিবেশবিদরা বলছেন, কেঁচো কমে যাওয়ায় এর বিরুপ প্রভাব আমাদের পরিবেশ ও অর্তনীতিতে পড়েছে। জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পেয়ে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন। এ বিষয়ে কথা হলে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহযোগী শিহাব খালেদীন সাংবাদিকদের’কে বলেন, কেঁচোর অপকারী কোনো দিক নেই বললেই চলে। প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো ধানি জমির মাটি আলগা করে। অতি উপকারী এ প্রাণী এখন ব্যবহার করা হয় জৈব সার তৈরির কাজেও। এক সময় বৃষ্টি হলে জমিতে প্রচুর কেঁচো দেখা যেত। বর্তমানে অতিমাত্রায় কীটনাশক ও সার ব্যবহারের ফলে এরা হারিয়ে যাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)