শিরোনাম:
●   কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে হ্রদের ড্রেজিং করা দরকার ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয় সভা ●   ঝালকাঠি ২ উপজেলায় তিন পদে ২৪ জনের মনোনয়ন দাখিল ●   রুমা-থানচি ব্যংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ এর আরও ৫ জন রিমান্ডে ●   অপসংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ প্রণয়নে কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল ●   খাগড়াছড়িতে বলি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ●   প্রচন্ড তাপদাহে পানির জন্য চলছে হাহাকার : পানি শূন্য কুষ্টিয়ার গড়াই নদী ●   ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ জনের মৃত্যু ●   নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা : দাম বাড়ানোর দাবি ●   তীব্র দাবদাহে ৭ দিন বন্ধ দেশের সকল স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা ●   কোটি টাকা আত্মসাৎ : কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা কর্মকর্তার শাস্তি হল বদলি ●   ঈশ্বরগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে নিহত-১ ●   রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার সন্দ্বীপবাসী ●   দেশের শান্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে আমরা কেউ স্বাধীনভাবে আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে আনন্দ উল্লাস করতে পারতাম না : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   জামেয়া মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ফান্ড রেইজিং এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ●   অনির্বাণ যুব ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   রাউজানে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   রাজধানীতে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি পালিত ●   যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেফতার ●   সন্দ্বীপে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ●   বান্দরবান অঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় ও জননিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ●   গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সবাই ●   অরাজকতা, নাশকতা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কাম্য হতে পারে না : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ●   অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সরকার মনে করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ●   গুইমারায় মাদকসহ গ্রেফতার-৪ ●   সনাতন যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঈশ্বরগঞ্জে ধলাই খাল ব্রীজ উদ্বোধন ●   অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বাড়ছে, মোকাবেলায় বাড়ছে না বরাদ্দ
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » পাবনা » চলনবিল এখন মধু’র ভান্ডার
প্রথম পাতা » পাবনা » চলনবিল এখন মধু’র ভান্ডার
৫০২ বার পঠিত
শনিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চলনবিল এখন মধু’র ভান্ডার

---চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমণী বার্তায় উত্তরাঞ্চলের চলনবিলের মাঠে মাঠে এখন সৌন্দর্য্যমন্ডিত হলুদ সরিষা ফুল। গ্রামের দিগন্ত মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহে। উত্তরাঞ্চলের চলনবিলের এখন মাছ ছাড়াও ধান, শরিষা, রসুনের পাশাপাশি মধু উৎপাদনে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা বিলাঞ্চল। এ অঞ্চলের ফসলের মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। মধু উৎপাদনে চলনবিলে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে। এ মৌসুমে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে চলনবিলে মৌ চাষীরা এসেছে মধু সংগ্রহে। ইতিমধ্যেই এ বছর চলনবিলে প্রায় ৩ শ’ মৌ-চাষীরা হাজার হাজার মৌ বক্স নিয়ে এসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য । সরিষার ক্ষেতের পাশে স্থাপন করেছে শত শত মৌ বক্স।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলনবিল অঞ্চলের চাটমোহর, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় চলতি রবি মওসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন আগাম ও নাবী জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। চলনবিল মাঝ বরাবর বনপাড়া-হাটিকুমরুল যমুনা সেতু সংযোগ মহাসড়কের দু’ধারে মাঠের পর মাঠ দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর থোকা থোকা হলুদ ফুলের চাঁদর বিছানো।

চলতি মওসুমে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চলনবিল থেকে এক হাজার ৫’শ থেকে একহাজার ৬’শ টন মধু আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন উত্তরাঞ্চল মৌ চাষী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম। যার বর্তমানে বাজার মূল্য প্রতি কেজি সর্বনিন্ম ২০০ টাকা হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। প্রায় এক মাস আগে বগুড়া, যোশর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৭ শতাধিক প্রশিক্ষিত মৌ খামারি চলনবিলে অস্থায়ী আবাস গেড়েছেন। মৌ চাষিরা সরষে ক্ষেতের ৪০ থেকে ৫০ হাজার মৌ বাক্স বসিয়েছেন। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সরষে ফুলের মধু আহরণ চলে। এসময় গড়ে একেকজন মৌ চাষি গড়ে দুই থেকে আড়াই টন মধু আহরণ করতে পারেন। প্রতিটি বক্স থেকে সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ কেজি করে মধু সংগ্রহ হয়ে থাকে। আর সপ্তাহ শেষে ঢাকা থেকে মধু সংগ্রহ কারি বিভিন্ন কোম্পানির লোক এসে প্রতিমন মধু ৪ হাজার থেকে ৪৫ শ” টাকা করে ক্রয় করে নিয়ে যায়।

সাতক্ষীরা থেকে আসা মৌ-চাষী আবুল আলীম জানান, আমরা প্রতিবছর এ সময় চলনবিলে আসি মধু সংগ্রহ করতে। আমার খামারে ২৫০ টি মৌ-বক্্র আছে। প্রতিটি বক্্র থেকে সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ কেজি করে মধু সংগ্রহ করতে পারি। কাম্পানির লোক এসে প্রকার ভেদে প্রতিমন মধু ৪ হাজার থেকে ৪৫ শ” টাকা করে ক্রয় করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সরিষা ও মৌ-চাষে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আশা করছি এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে ও ২০ থেকে ২৫ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হবে ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)