

শনিবার ● ৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি ফুড প্রোডক্টস থেকে চোরাই মাল সহ আটক-৪
রাঙামাটি ফুড প্রোডক্টস থেকে চোরাই মাল সহ আটক-৪
মো. ওমর ফারুক, কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ডাকবাংলোয় অবস্থিত রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস হতে চোরাইকৃত মালামাল সহ ৪ জন চোরকে আজ শনিবার ৫ জুলাই-২০২৫ ভোরবেলা ইসলাম পুর এলাকার স্থানীয় লোকজন আটক করে বেতবুনিয়ায় ফ্যাক্টরীর কতৃপক্ষের নিকট তুলে দেয়।
জানা যায়, কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ডাকবাংলো এলাকায় স্থাপিত রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস লিঃ ফ্যাক্টরীর এর বেশ কিছু মালামাল শনিবার ভোর রাতে এক দল চোর চুরি করে সিএনজি অটোরিকশা করে রানীরহাট হয়ে ইসলাম পুর এলাকা দিয়ে ভোর বেলা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে গাড়ি থামিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলে তার সঠিক কেন সদুত্তর দিতে না পারায় স্থানীয় লোকজন ৪ চোরকে চোলাইকৃত মালামাল সহ বেতবুনিয়ায় ফ্যাক্টরীর কতৃপক্ষের নিকট তাদের তুলে দেন।
ধৃত ব্যাক্তিরা হলেন : মো. হুমায়ুন (২৩), পিতা-মৃত, মাহমুদ হোসেন, সাং চকরিয়া, জেলা - কক্সবাজার, মো. শাহিন (৩০), পিতা- মৃত, আবু তাহের, সাং কালুরঘাট, মোহড়া, চান্দগাও,চট্টগ্রাম, মো. আব্বাস (৩৭) পিতা- মৃত, মো. হাফেজ, সাং ভোলা লালমোহন, ভোলা, বর্তমান কাপ্তাই রাস্তার মাথা চট্টগ্রাম, মো. করিম (১৮) পিতা-মৃত - আবদুল মান্নান, সাং গহিরা দোভাষী বাজার, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।
খবর পেয়ে এলাকার লোকজন বন্ধ ফ্যাক্টরীর ভিতরে জড়ো হন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. শফি ফাক্টরীর ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মো. ইমন বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত আমাদের এই এলাকায় বেশ চুরি হচ্ছে, কিন্ত আমরা এলাকার লোকজন চোর ধরতে পারছিনা।
রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টসের ব্রান্ড মার্কেটিং মো. মশিহদ্দোলা অমি বলেন, আমাদের এই ফ্যাক্টরী হতে ইতিপূর্বেও বড় ধরনের একটি চুরি হয়েছে। ফ্যাক্টরীর ট্রান্সফারমার জিনিস পত্র চুরি হয়েছিল যা প্রায় ১২/১৩ লক্ষ টাকার মতো। তা ছাড়া ফ্যাক্টরীতে প্রায় বেশ কয়েক মাস যাবত বিদ্যুৎ নেই। শনিবার ভোরবেলা ফ্যাক্টরী হতে যে সকল মালামাল চুরি হয়েছে এ ব্যাপারে আমরা বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িকে জানিয়েছি বলে তিনি জানান।
আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে তিনি জানান।
এদিকে ফ্যাক্টরীর চোরাইকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে তামার তার, তামার এঙেল, তামার তার কাটার লেদার মেশিন, বিভিন্ন রেঞ্জ পত্র, বিভিন্ন মেশিনের জিনিস পত্র, তামার পাইপ, ষার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো বলে জানা যায়।
এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জানান।
যাবত বন্ধ থাকা এই ফ্যাক্টরীটি নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানান গুঞ্জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যাক্তি বলেন, দির্গদিন যাবত বন্ধ থাকা এই ফ্যাক্টরীটি দেখা শুনার দায়িত্বে রয়েছেন মালিকের স্থানীয় গুটিকয়েক নিকট আত্মীয়স্বজনরা।
এ ছাড়া দির্ঘদিন যাবত এই ফ্যাক্টরীটিতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই কোন প্রহরী। তাহলে এত বড়ো ফ্যাক্টরীটির নিরাপত্তার দায়িত্ব কার হাতে ? এ নিয়ে এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন মত ! বিভিন্ন প্রশ্ন ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকেরই প্রশ্ন ? তাহলে কি এতদিনের রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস কি আর চালু করা হবেনা ? ফ্যাক্টরীটি কি আবার শ্রমিকদের ফিরে আসবেনা? অন্তত কিছু না হোক ফ্যাক্টরীটি চালু করা হলে কয়েক শত লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে স্থানীয় লোকজনেরা এই আশাবাদী বলে জানান।