সোমবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক::সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন। খবর বাসসের
সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বিশেষ কার্যক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যেখানে ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে সকলেই সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ পাবে।
দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি— একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শারীরিক প্রতিবন্ধী থেকে সকল সদস্যের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকরা বাদ পড়ে যাওয়ায় এর আগে প্রকাশিত গেজেট সংশোধনের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারের কথা নিশ্চিত করা সত্ত্বেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কোনও সরকার তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি অনেক স্কুল তাদের শিশুদের ভর্তি করেনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে তার সরকার বিশেষ সহযোগিতা কার্যক্রম চালু করে। তবে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসায় সহযোগিতা কার্যক্রম চরম বাধার সম্মুখীন হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় সহযোগিতা কার্যক্রম চালু করে। এই কার্যক্রমের আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকরা বাংলাদেশের নাগরিক, তাই তারা সত্যিকার নাগরিক হিসেবে দেশে বসবাস করবে এবং সকল অধিকার ভোগ করবে।
তিনি বলেন, দেশকে অথনৈতিকভাবে উন্নয়নের লক্ষ্যে তার সরকার তৃণমূল পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের অবস্থার উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে যোগ্য নাগরিক ও দক্ষ পেশাদার হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের টেকসই উন্নয়নের জন্য তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথনৈতিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হয়েছে, যা এ অঞ্চলের জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধা বয়ে নিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট, মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজু দেশোয়ারা বক্তব্য দেন।
এ বছর ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বৃত্তির চেক গ্রহণ করেন।





আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
কাউখালীতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক
আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ
শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান
ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান