শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু ●   নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে ●   আলীকদমে গৃহবধুর রহস্য মৃত্যু : শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত লাস উদ্ধার ●   জলবায়ু ও দুর্যোগজনিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি মোকাবিলায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম দেশগুলোর জন্য রূপরেখা উদ্বোধন ●   পার্বতীপুর স্কাউটস কাব কার্নিভাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ●   মিরসরাইয়ে লরির পিছনে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় নিহত চালক ও হেলপার ●   কাউখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু ●   ঈশ্বরগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি সহ গ্রেফতার-৫ ●   আব্দুল্লাহপুর ইউপি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রসূতি সেবায় দৃষ্টান্ত রাখছে ●   পিএসটিএসতে রিক্রট কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ সমাপনী ●   কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপ্টনকে বাঁচাতে তৎপর উপসচিব এর ভাই কবির ●   আত্রাইয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান ●   ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার-২ ●   রাউজানে চোরাই মদসহ আটক-৪ ●   চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ফটিকছড়ির যুবক নিহত ●   নয়াপাড়া কৃষি কল্যান সমিতির পূর্ণমিলনী ●   রাঙামাটিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পৌর ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ ●   পার্বতীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক-৪ ●   ফটিকছড়িতে খালে নিখোঁজ ‘সেই নারী জীবিত উদ্ধার ●   আলীকদম সেনা জোনের অভিযানে ৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার : আটক-৯ ●   রেললাইনে বসে ফ্রী ফায়ার খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তিন বন্ধু নিহত ●   আত্রাইয়ে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল মেলা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ মহিলা কাবাডি দলকে সংবর্ধনা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ●   কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত ●   ফটিকছড়িতে বেকারিকে লাখ টাকা জরিমানা ●   রাঙ্গুনিয়ায় দুই থানায় যোগ দিচ্ছেন নতুন ওসি ●   আদালত অবমাননার অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে নোটিশ ●   জনস্বাস্থ্যবিরোধী বাজেট ●   নবীগঞ্জে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
প্রথম পাতা » কৃষি » ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
সোমবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা

--- মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি :: ফটিকছড়িতে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার হারুয়ালছড়ি,ভুজপুর, দাঁতমারা, বাগানজার, নারায়নহাট, খিরামসহ বিভিন্নস্থানে দেখা যায় পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা ফসলের জমিতে কাজ করছেন।
বিশেষ করে উপজাতী মহিলারা ফসলের মাঠে শ্রমিক (কামলা) হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়। পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকের বেতন কম হওয়ায় চাষারা নারী শ্রমিক দিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
জানা যায়,একজন নারী শ্রমিকের বেতন ছয় শত টাকা অন্যদিকে একজন পুরুষ শ্রমিকের বেতন ৭০০/৮০০ টাকা সাথে তিন বেলা ভাত ও পান সিগারেট খাওয়াতে হয়। নারী শ্রমিক মমিতা বলেন,আমারা পুরুষের মতো কাজ করেও বেতন পাই কম। তবুও দুঃখ নেই মুখে হাসি নিয়ে কাজ করি। কৃষক আমির হোসেন বলেন,আমাদের এলাকা অন্য জেলার শ্রমিকরা কম আসে। স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করায়। নারী শ্রমিক সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকের বেতন কম, যথেষ্ট কাজও করে তারা। এদিকে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হালচাষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা। গরু ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরি, পানি সেচ, বোরো ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠানো শেষে চারা জমিতে রোপণ করে ব্যস্ত পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার হেক্টরের মধ্যে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিক মতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯ হাজার বা সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর পর্যন্ত আবাদ হবে বলে আশা করছে কৃষি অফিস।
উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, প্রতি বছর ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে। ভূজপুরের কৃষক মতিন মিয়া বলেন,আমি ২০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করছি। গতবার মোটামুটি ভালোই লাভ হয়েছে। তাই এবারও বোরো ধান চাষ করব। তবে সারের দামটা একটু কম থাকলে লাভ আরেকটু বেশি হতো। পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ, মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে জমি তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। কামলা দিয়া চারা বুনি সেই কামলার মজুরিও অনেক। তারপরও আশা করি গেছে বারের চেয়ে আরও ভালো ফলন হবে। ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন। দৈনিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা আমরা শুনছি এবং সার্বিক সহায়তা দিচ্ছি। আশা করছি মূল লক্ষ্যমাত্রার বেশি বোরো ধান চাষ হবে।
এছাড়া উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সব পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)