রবিবার ● ২৬ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন
রাঙামাটি :: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা’র পক্ষে বোর্ডের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্তসচিব) এর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ের গৃহীত কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতুষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্রকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সম্মুখে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু মূর্যালে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা’র উপস্থাপনায় মাইনী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এর পক্ষে বোর্ডের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্তসচিব)। অনুষ্ঠান শুরুতে অতিথিবৃন্দ মঞ্চে আসন এবং সভাপতি অনুমতিক্রমে মূল আলোচনা সভা তর্জমাসহ পবিত্র ধর্মগ্রস্থ থেকে পাঠ করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম শুরু হয়।
ভাইস চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারবর্গ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বীরাঙ্গানাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী এদেশের মানুষকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হতো। তারই প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের আমজনতা ও মেহনতি মানুষের অধিকার দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি র্আও বলেন যে, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা সূচনা হয়, যা ২৬ মার্চের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার এর স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ৩০ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রম ও বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা যাতে স্বার্থক হয়, অর্থবহ হয় সেজন্য যার যার অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
এসময় আলোচনা সভায় বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মো. জসীম উদ্দিন (উপসচিব), উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখইন, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এয়াছিনুল হক, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেগম নিলুফার নাজনীন, কাইংওয়াই ম্রো গবেষণা কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখসহ অনেকে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সভায় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্তসচিব), সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এয়াছিনুল হক, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেগম নিলুফার নাজনীন, রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনজু মানস ত্রিপুরা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা, সহকারি প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাগর পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বীরাঙ্গানাদের আত্মার শান্তি কামনায় বোর্ডের জামে মসজিদে মোনাজাত, তবলছড়িস্থ আনন্দ বিহার এবং তবলছড়িস্থ শ্রী শ্রী রক্ষাকালি মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজন করা হয়। এছাড়া খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ইউনিট অফিসসমূহে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একই সাথে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হয়।





ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই হবে অন্যতম শক্তি : চুয়েট ভিসি
ইন্টারন্যাসনাল পীস চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে বিশ্ব মানবধিকার দিবস পালন
মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি ও ন্যায়বিচার চায় এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি : নির্মল বড়ুয়া মিলন
অদম্য নারী সম্মাননা পেলেন লাকসামের শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার
লক্ষীপুরে তানিয়া রবের নির্বাচনী সমাবেশে হামলার ঘটনায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা
রাবিপ্রবিতে বার্ষিক এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা