

মঙ্গলবার ● ১৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অপহরণের ৯ দিন পর পোল্ট্রি ব্যাবসায়ীর লাশ উদ্ধার
অপহরণের ৯ দিন পর পোল্ট্রি ব্যাবসায়ীর লাশ উদ্ধার
কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: অপহরণের ৯ দিন পর কাউখালী উপজেলার সুগারমিলের পোল্ট্রি ব্যাবসায়ী মামুনের লাশ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই নাইল্যাছড়ি মাঝেরপাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা হতে উদ্বার করল থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের সুগার মিলের বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে পোল্ট্রি ব্যাবসায়ী ৩ সন্তানের জনক মোঃ মামুন(৪০) রানীরহাট বাজারের পাশে ভাড়াটিয়া বাসা হতে ৭ জুলাই-২০২৫ ইং তারিখে নিখোঁজ হন। পরদিন মামুনের অভিভাবকরা কাউখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ সাধারণ ডায়েরি মুলে তদন্ত শুরু করেন এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে এটি একটি অপহরণ। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা মামুনের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে তার স্ত্রী সিমা আক্তার বিষয়টি পুলিশ কে জানান। অপহরণকারীদলের সদস্য আনোয়ার মামুনের পরিবারের কাছ থেকে ব্যাংকের চেক নিতে আসলে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং সে এক পর্যায়ে স্বীকার করে মামুনকে তারই ফার্মের পুর্বের কর্মচারী কামরুলের নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়।
পরবর্তীতে কাউখালী থানা পুলিশ সোমবার ১৪ জুলাই -২০২৫ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ঘাতক কামরুল কে লক্ষিপুর হতে আটক করেন। সে জানায় মামুনকে অপহরণের ৫ দিনের সময় হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলেন।তারই জবানবন্দি মুলে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের মাঝের পাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় গভীর জঙ্গলে মৃত মামুনের লাশ উদ্ধার করেন কাউখালী থানা পুলিশ।
পরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন পোস্ট মর্টমের জন্য।
এ সময় কাপ্তাই সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এবং কাউখালী থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহাগ লাশ উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং এই পর্যন্ত ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে।