শনিবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিযদ নির্বাচনে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত বিপুল ভোটে নির্বাচিত
চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিযদ নির্বাচনে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত বিপুল ভোটে নির্বাচিত
রাজীব দে, ষ্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫ এবং ২০২৮) ইংরেজি পর্যন্ত-অর্জনের গৌরব ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম এর আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ বই মার্কেট এর ২য় তলায় শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে জয়লাভ করেছে।
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত আলাপে বলেন,আমি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত (সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আমি আপনাদের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকবো।
তিনি বলেন,আমি দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজানগর রানীরহাট ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা শেষে-২০২৪ সালে অবসরে এসেছি। আজকের এই নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার একটাই আমার লক্ষ্য, সেটা হচ্ছে—সকল পুস্তক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য।অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত নতুন সাহিত্য ভবন প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী।আজকে আমরা ৩৭ বছর পরে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি।দীর্ঘ ৩৭ বছর পর্যন্ত যারা এই প্রশাসনিক ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কিন্তু একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করেননি। একচ্ছত্রভাবে, এককভাবে কমিটি গঠন করে তারা স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করেছেন।
আমার দেখামতে, গত আহ্বায়ক কমিটির পূর্বে যারা ছিলেন, তারা তাদের অফিস কক্ষ পর্যন্ত বিক্রি করে, এখানে আমাদের জন্য কোনো কিছু রাখেননি। যা কিছু হাতে ছিল ক্যাশ, সেই টাকাগুলো আহ্বায়ক কমিটিকে বুঝিয়ে দেননি। আমরা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে… আমি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলাম। এই আহ্বায়ক কমিটির মূলত কাজ হচ্ছে নির্বাচন দেওয়া।
আমরা নির্বাচন দেওয়ার পাশাপাশি এখানে একটি নতুন অফিস কক্ষ ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়েছি। এবং আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি, যেমন-আমরা সাধারণ সভা করেছি, আমরা ইফতার মাহফিল করেছি চকবাজার একটি হোটেলে, দুইবার আমরা এখানে অনুষ্ঠান করেছি। আমরা সবসময় নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় ছিলাম।আমরা নির্বাচন দিয়েছি, এটাও আহ্বায়ক কমিটির একটি অবদান বলতে পারি। কারণ ৩৭ বছর পর্যন্ত কোনো নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। সাধারণ মানুষ আজকে উৎসবমুখরভাবে, আনন্দ-উৎফুল্ল ভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আসছেন। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আমরা নির্বাচিত হয়েছি আমরা আগামীতে সাধারণ সকল সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ করব—এটা আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এবং নীতিমালা বাস্তবায়ন করে এখানে সাধারণ ভোক্তাদের যে অধিকার, সে অধিকারও আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। যাতে কেউ ক্রয়-বিক্রয়ের সময় হয়রানির শিকার না হয়। এবং আমরা আমাদের সকল সদস্যদেরকে একটি লাভজনক এবং সাধারণ ভোক্তাদের একটি সমতা এনে, সবাইকে সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য একটি জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থায় আমরা আনার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আমরা আপনাদের ভালবাসায় নির্বাচিত হয়েছি তাই আমরা সকল সদস্যদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।আমরা ঐক্য পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ সমিতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করব।
আমরা সমিতির দিকে সবসময় নজর রাখব। এখানে কোনো বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা থাকতে পারবে না। আমরা সকলের জন্য একটা বৈষম্যহীন ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আমরা আজকে ৩৭ বছর পর যেই নির্বাচন পেয়েছি, এটা একটি উৎসবমুখর, আজকে খুব আনন্দ-উৎফুল্লভাবে মানুষ এসে ভোট দিতে আসছে। এই আনন্দটি থেকে আমরা বিগত যারা ক্ষমতাসীন ছিল, তাদের থেকে আমরা এই আশা আমরা করতে পারিনি। তারা একচ্ছত্রভাবে, একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে আমাদের অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করেছে।
আমরা চাই একটি সার্বজনীন স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সকলের সুবিধার জন্য আমরা একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলব। আমরা আমাদের প্যানেলে যারা আছেন, আমরা সবাই যোগ্য ব্যক্তি। এখানে আছেন সৃজনশীল ব্যক্তি এবং সৃজনশীল প্রকাশনীর মালিকগণ। আমরা যারা সাধারণ ব্যবসায়ী আছি, এখানে শিক্ষক আছেন, মৌলভী সাহেব আছেন। এখানে অভিজ্ঞ-বিজ্ঞ সকল ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের ‘ঐক্য পরিষদ’ গঠিত হয়েছে।
আমরা আশা করি আগামীতে আমরা পুস্তক ব্যবসায়ীকে একটি সুন্দর মডেল হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা শাখাকে গড়ে তুলব। এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি।
আজকের যেই নির্বাচন সেই নির্বাচনটা কিন্তু আমাদের গত আহ্বায়ক কমিটির একটি অবদান। আমাদের অনেকগুলো অবদান রয়েছে, তার মধ্যে আমরা সর্বপ্রথম সাধারণ সভা করেছি কক্সবাজার হোটেল মিডিয়াতে। এবং আমরা এখান থেকে এসি বাস করে সবাইকে নিয়ে ওখানে একটা সমবেত করেছি, যেটা বিগত ৩৭ বছর পর্যন্ত কেউ করতে সক্ষম হয়নি।
আমাদের স্বার্থের জন্য আমরা করেছি, সকলের স্বার্থের জন্য নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যদিও হান্ড্রেড পারসেন্ট (১০০%) করতে পারিনি, তবে আগামীতে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—এই হান্ড্রেড পারসেন্ট নীতিমালা বাস্তবায়ন করে সকলের স্বার্থকে সংরক্ষণ করব। আশা করি আপনাদের দোয়ায় আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা আমাদের পুস্তক ব্যবসায়ীদের স্বার্থের প্রতি আমরা নজর রাখব।
আপনারা সকলে মিলে আমাদের ‘ঐক্য পরিষদকে জয়যুক্ত করেছেন, আমি আহ্বান জানাব—কারণ আমাদের যে মন-মানসিকতা, আমরা কিছু পাওয়ার জন্য এই নির্বাচনে আসিনি। আমরা সবাই কিন্তু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। আমাদের চাওয়া-পাওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র এই সমিতিকে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া এবং সকল সদস্যের স্বার্থ সংরক্ষণ করাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা আমাদের প্যানেলকে… যাদেরকে আমরা প্যানেলভুক্ত করেছি—সবাই কিন্তু যোগ্য এবং অভিজ্ঞ এবং প্রজ্ঞা এবং দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবসায় জড়িত। এবং এই সাধারণ ব্যবসায়ীরা… সাধারণ যারা সদস্য রয়েছেন, যারা পুস্তক বিক্রেতা রয়েছেন, আমরা তাদেরকে মূল্যায়ন করব। এবং আজকের ভোটের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি দ্বারে দ্বারে গিয়েছি এবং এই যে আমাদের সম্পৃক্ততা সাধারণ সদস্যদের সাথে, সেই জিনিসটি কিন্তু আমরা অনেকদিন এখানে একটা গ্যাপ (দূরত্ব) ছিল। সেই গ্যাপটি আজকে পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
আমরা আগামীতে প্রতিটি সদস্যকে ঘরে ঘরে গিয়ে আমরা মূল্যায়ন করব, আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। কারণ আমরা তো সবাই ব্যবসায়ী, আমাদের এই সমিতিভুক্ত সকল সদস্যগণ কিন্তু একই পরিবারভুক্ত। আমরা আমাদের সকল সদস্যদেরকে আমরা সমান মর্যাদা দিয়ে, সকলকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব।এখানে আন্দরকিল্লা আমাদের অফিসে যখন কেউ আসবে তখন আমরা তাদেরকে অত্যন্ত সম্মানিতভাবে সম্মানিত করব।আমাদের যে নতুন অফিসটি করা হয়েছে সেখানে যারাই আসবেন, এখানে সিকিউরিটি গার্ড থাকবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যারা আসবেন। তাদেরকে স্যালুট দিয়ে, তাদেরকে সম্মান করে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আগেকার সময়ে আমরা দেখেছি আমাদের সাধারণ সদস্যরা কেন্দ্রে আসলে বসার কোনো সুযোগ ছিল না। আমরা এই সুযোগটা করে দিতে পেরেছি। আমাদের একটা সুন্দর, একটা আধুনিক একটা অফিস তৈরি করেছি। সেই অফিসে আসার পরেই সাধারণ সদস্যরা অত্যন্ত আনন্দিত হবে আমার বিশ্বাস এবং আমরা তাদেরকে সম্মানিত করব, এই প্রতিশ্রুতিও আমি দিচ্ছি।
আমাদের এই নির্বাচনের পর আমরা আমাদের সাধারণ সদস্যদের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা আমাদের কোনো বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ড আমরা করব না, এই প্রতিশ্রুতিও আমি দিচ্ছি। আমি সবার সামনে আজকে ওয়াদা করছি যে, সকল সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।”আমি সংগঠনের উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব।





চুয়েটে শুরু হতে যাচ্ছে স্থাপত্য বিভাগের দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স
জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে মিরসরাইয়ে মানববন্ধন
মিরসরাইয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
ইগনাইট মিরসরাই’র নতুন কমিটি গঠন
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : চুয়েট ভিসি
মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ
মিরসরাইয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেনাসদস্যের বাড়িতে ডাকাতি
মিরসরাইয়ে আদর্শ বন্ধু ফোরামের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত