শিরোনাম:
●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ●   লাশ আনার পথে তারাও লাশ হয়ে ফিরলেন ●   রাঙামাটিতে ইফা’র উদ্যোগে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য শীর্ষক সভা ●   বিএনপি’র নেতা ও বিআরবি’র কর্মচারী খালেকের ভূমিদস্যতা রুখবে কে ? ●   আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে ●   নবীগঞ্জে দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট ●   ব্যাটারিচালিত রিকশা : চালকদের সচেতনতার অভাবেই বাড়ছে দুর্ঘটনা ●   চুয়েট ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন ●   মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে সৃষ্টিশীল কাজ করে যাচ্ছে ●   কারও হটকারিতা বা বাড়াবাড়ির কারণে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা ●   রাঙামাটি ফুড প্রোডক্টস থেকে চোরাই মাল সহ আটক-৪ ●   আত্রাই উপজেলা পরিষদ মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা ●   বিএনপির নেতা কর্মীদের পুলিশী ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়ার কোন অবকাশ নেই : সাইফুল হক ●   মিরসরাইয়ে বিদেশি সিগারেটসহ যুবক গ্রেফতার ●   হাজারীখিল অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হল ৩৩ অজগর ছানা ●   আত্রাইয়ে গাঁজা-মদসহ মা-মেয়ে গ্রেপ্তার ●   চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   রাউজানে দেয়াল ধসে কিশোরের মৃত্যু ●   চবিতে পিসিসিপির কমিটি গঠন ●   তেল খরচ লাখ টাকা, ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর চিকিৎসা কোথায় ? ●   পার্বতীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজাসহ পিতা ও পুত্র গ্রেফতার ●   কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও ট্রিপল মার্ডারে রাজু শোন অ্যারেস্ট ●   কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার বর্ষপূর্তি উদযাপন ●   মাধবপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত ●   আলীকদমে দুর্গম পাহাড়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে বিজিবি ●   তায়কোয়ানডো এডহক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি জনি ●   নিউইয়র্কে দুই দিনব্যাপী ইসলামিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত ●   রাবিপ্রবি’তে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ●   ৩ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচী ঘোষিত হবে ●   ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২৮ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাজধানীতে ‘শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস্ কমপ্লেক্স’এর উদ্বোধন
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাজধানীতে ‘শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস্ কমপ্লেক্স’এর উদ্বোধন
রবিবার ● ২৮ অক্টোবর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাজধানীতে ‘শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস্ কমপ্লেক্স’এর উদ্বোধন

---ঢাকা  প্রতিনিধি :: (১৩ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৪মি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার দিতে পিএসসিকে নির্দেশনা দেয়া আছে। তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর বেইলী রোডে ‘শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস্ কমপ্লেক্স’-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি অধিগ্রহণ করতে গেলে আমরা সমতলে যেভাবে ক্ষতিপুরণ দিয়ে থাকি সেখানে সেভাবে হয় না। কারণ ভূমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেকারণে আমি বলবো ব্রিটিশ আমলে কী আইন করে গেছে সেটাকে অনুসরণ না করে আমাদের দেশীয় যে আইন রয়েছে সে আইন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ তার নিজের জমির মালিকানা যদি নিজের নামে পায় তাহলে তারা এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো যেমন ক্ষতিপুরণ সেটা কিন্তু তারা পেতে পারে। ভূমি কমিশন যেন কাজ করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা চাইছি। কেননা যতোবার ভূমি কমিশন করেছি কাজ করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হচ্ছে, দিন পরিবর্তন হচ্ছে। কাজেই আমি মনে করি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যেক মানুষই নিজ নিজ ভূমির অধিকার নিয়ে বসবাস করবেন।

পার্বত্য বাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আর কোনো সংঘাত নয়, আপনারা সকলে ভাল থাকবেন। যে শান্তি চুক্তি আমরা করে দিয়েছে তার মাধ্যমে যেন শান্তি বজায় থাকে। শান্তির মধ্য দিয়েই সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। শান্তির পথ ধরেই আসবে প্রগতি, প্রগতির পথ ধরেই আসবে সমৃদ্ধি আর এই সমৃদ্ধির মাধ্যমেই আমরা ক্ষুধা মুক্ত ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
---১৯৭০ সালে পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল সফরের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাঙ্গে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন, এরমধ্যে তিনবার তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে শান্তিচুক্তি হয় কিন্তু অস্ত্র সমর্পন করেনি। কিন্তু এখানে ১৮জন সরাসরি আমার নিজের হাতে অস্ত্র সমর্পন করে। তাদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে আনসার ও পুলিশে চাকরি দেয়া হয়। যারা শরণার্থী ছিলো তাদেরকে ফিরিয়ে এনে যে দাবী করেছে সে দাবী অনুযায়ী এবং শান্তিচুক্তি মোতাবেক তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির বাইরেও অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। রাস্তাঘাট, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। যেখানে যা দরকার করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে যা করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে তা করা হয়েছে, এর বাইরেও বিশেষভাবে বরাদ্দ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদের জন্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান যে জায়গা চেয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের সেই বিশাল জায়গা আমি তাকে দিয়ে দিয়েছি। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে তার অফিস, বাসভবনসহ একটা বিশেষ প্রকল্প করে দেবে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করে দেবো।

তিনি বলেন, এছাড়াও আমরা সেখানকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করছে, এছাড়াও আমরা বিশেষভাবে বরাদ্দ দিচ্ছি। এক্ষেত্রে আমি আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদকে বলবো, স্ব স্ব এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তারা প্রকল্প প্রস্তাব করতে পারে যা বিশেষভাবে বরাদ্দ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৬৫৯ কি, মি রাস্তা করে দিয়েছি। বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র ব্যোধিপ্রিয় লারমা প্রকাশ সন্তু লারমা বলেন, আজকে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর জন্য সুসংবাদ। এই কমপ্লেক্সের ফরে পার্বত্যবাসী আরো অনেক আশাবাদী হবে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ২০ বছর আগে। আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ লাভ করেছি। আমি দেখেছি বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমাজ, বাংলাদেশের সচেতন সমাজ, নেতৃত্ব যারা বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারক তাদের মধ্যে অধিকাংশই পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে জানেন না বা জানার আগ্রহ দেখিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ অবহিত নন। যেকারণে পাহাড় ও সমতলের মধ্যে অনেক কিছু জানার বিষয় রয়ে গেছে। এই কমপ্লেক্সের মধ্য দিয়ে সেটা বহুলাংশে দূরীভূত হতে পারে।

সন্তু লারমা বলেন, আজকে এই যে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স বিগত বিএনপি সরকারের সময় একটা উদ্যোগ ছিলো, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটা বাস্তবরূপ লাভ করতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা বিশেষ উদ্যোগের কারণে বাস্তবরূপ লাভ করতে পেরেছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে সমতলে ও পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা ভাল নেই। তারা যাতে ভাল থাকতে পারে সেজন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেন, শান্তিচুক্তির ৭২ টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে, ১৫ টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৯টি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। উত্তপ্ত পাহাড়ের যেসকল পরিবার পাশ্ববর্তী দেশে শরণার্থী হিসাবে গিয়েছিল তাদের মাঝে ৬৫ হাজার শরণার্থীকে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনে তাদের প্রয়োজন এবং প্রতিশ্রুত সুযোগ সুবিধাসহ পুনর্বাসন করা হয়েছে।
---
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি পিরে আসতো না। আজ সেই প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বুকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের একটি ঠিকানা গড়ে দিলেন। নান্দনিক একই কমপ্লেক্স করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি, মানুষ, প্রকৃতি ও জলবায়ু, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সাথে সামহ্জস্য রেখে। দুইটি বেসমেন্টসহ প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার বর্গফুটের এই কমপ্লেক্সে রয়েছে তিনটি অংশ।
---
প্রসঙ্গত,ঢাকার বেইলি রোডে ১ দশমিক ৯৪ একর জায়গায় পার্বত্য অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যমণ্ডিত শৈল্পিক এ স্থাপনা নির্মাণে ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মনোরম পরিবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বলেন,রাস্তা, ঘাট, বিদ্যুৎ, ব্রিজ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ সব হয়েছে এবং আগামী দিনে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব অসমাপ্ত বিষয় রয়ে গেছে সেগুলো যদি কেউ সমাপ্ত করেন তিনি শেখ হাসিনাই করবেন। তাই আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাই বোনদের বলতে চাই, আমরা অকৃজ্ঞ হবো না। আগামী দিনগুলোতে উন্নয়নর জন্য,শান্তিচুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। সেটাই আমাদের শপথ।

অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)