

শুক্রবার ● ৪ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হাজারীখিল অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হল ৩৩ অজগর ছানা
হাজারীখিল অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হল ৩৩ অজগর ছানা
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হাজারীখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ৩৩টি অজগরের ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া সাপগুলো বার্মিজ রক পাইথন প্রজাতির। যা বৃহদাকার, শক্তিশালী ও অ-বিষধর সাপ। এটি বিশেষভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বনজঙ্গলে দেখা যায়।
শুক্রবার ৪ জুলাই বিকেলে সাপগুলো অবমুক্ত করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের হাজারীখিল রেঞ্জ কর্মকর্তা শিকদার আতিকুর রহমান ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ।
হাজারীখিল রেঞ্জ কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান জানান, ‘সাপগুলো হাজারীখিল অভয়ারণ্য এলাকার নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে পোকা-মাকড়সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া বনে অভয়ারণ্যের পরিবেশের সাথে যাতে সহজে খাপ খেয়ে চলতে পারে; তাই এদের নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বনবিভাগ তৎপর বলেও জানান তিনি।’
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ‘ইনকিউভেটরে জন্ম নেওয়া এসব অজগরের ছানাগুলোর বয়স ও শারীরিক বিবেচনায় প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়। ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলো। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অবমুক্ত করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউভেটরে জন্ম নেওয়া এসব অজগর ছানা এই অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়। এখানে সাপগুলোর আসল ও নিরাপদ আবাসস্থল। তাই সাপগুলোকে অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই অভয়ারণ্যকে পর্যটকে আকৃষ্ট করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ উদ্যোগী। ভবিষ্যতে প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য পেতে পর্যটক এখানে এসে তাদের প্রাণ জুড়াবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগীতা চান।’