

শনিবার ● ৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জে দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট
নবীগঞ্জে দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ শহরে ফের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮-১০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু’জন।
শুক্রবার ৪ জুলাই রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শহরের মধ্যবাজার, শেরপুর রোড ও হাসপাতাল সড়কে এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিমিরপুর গ্রামের খরচু মিয়া তালুকদারের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, মনসুরপুর গ্রামের আশাহিদ আলী আশার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মো. শাহজাহান আলী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণ করে আপোষে মীমাংসা করার আহবান জানান। বৃহস্পতিবার রাতেই উভয় পক্ষ গ্রামে গ্রামে সভার ঘোষণা দেয়।
শুক্রবার সকালে মো. শাহজাহান আলী নবীগঞ্জ শহরে আসেন এবং আনমনু গ্রামে এক পরামর্শ সভায় শালিসের আহ্বান জানান। একইদিন থানার গোলঘরেও আশাহিদ আলী আশা ও খরচু মিয়ার উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মো. শাহজাহান আলী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন এশার নামাজের পর তিমিরপুর ও আশপাশের গ্রামের মানুষ নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেন প্লাজায় পূর্ব নির্ধারিত এক সভায় বসেন। এতে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মো. শাহজাহান আলীও আপোষ মীমাংসার উদ্যোগের বিষয়টি জানাতে উপস্থিত হন।
এ সময় খবর ছড়ায় যে আনমনু গ্রামের শতাধিক যুবক শেরপুর রোডে অবস্থান নিয়েছে। এতে উত্তেজিত হয়ে তিমিরপুরের যুবকরা আবারও ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করে এবং নতুন করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে আনমনু গ্রামের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোকজনকে অস্ত্রসহ শহরে আসার আহ্বান জানানো হয়। একপর্যায়ে তারা শহরে ঢুকে গোল্ডেন প্লাজা ও হাসপাতাল সড়কে দোকানপাটে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
সংঘর্ষের সময় মধ্যবাজারের গোল্ডেন প্লাজা ও হাসপাতাল সড়কের এসএম মার্কেটসহ অন্তত ৮-১০টি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হন অন্তত দু’জন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা) আনমনু গ্রামের শতাধিক যুবক ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় অস্ত্রসহ অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে, তবে তিমিরপুর গ্রামের লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নবীগঞ্জ শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।