শিরোনাম:
●   শুঁটকি উৎপাদনে ভাটা পড়েছে আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লী ●   ঈশ্বরগঞ্জে মৃত্যুশয্যায় বড় ভাইকে দেখতে এসে হামলার শিকার ●   ছাত্রদলের শাওন এর নেতৃত্বে রুফটপ রেস্টুরেন্টে ম্যানেজার গিরি দত্ত চাকমা’র ওপর হামলা ●   মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে রাঙামাটি সদর জোন এর শীতবস্ত্র বিতরণ ●   গ্লোরি রেসিডেন্স হোটেল এর সফটওয়্যার লঞ্চিং এর উদ্বোধন ●   আত্রাইয়ে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ●   স্কাউট জাম্বুরী’তে যোগ দিতে ফিলিপাইন গমন করলো মিরসরাইয়ের রাহিম ●   সাংবাদিকতা সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে করতে হবে : বিএফইউজে সভাপতি ●   কাপ্তাইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ●   ঈশ্বরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ●   নির্বাচন ও গণভোট বানচালে নানা অপতৎপরতা চলছে ●   তামাক নিয়ন্ত্রণ : বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে বাংলাদেশ, আইন সংশোধনের দাবি ●   কাউখালীতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন ●   ঝালকাঠিতে জীবন সংকটে প্রতিবন্ধী রিমন ●   নবীগঞ্জে জমি থেকে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার ●   ঝালকাঠিতে ওসমান হাদীকে গুলির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ●   পার্বতীপুরে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ●   ডিসেস্বর মাস পতাকা বিক্রির মৌসুম ●   ঢাকায় পানাম গ্রুপের আনন্দ উৎসব ●   মিরসরাইয়ে ভাষা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ৬৩৩ জন শিক্ষার্থী ●   ওসমান হাদীর উপর গুলিবর্ষণের ঘটনা গুরুতর অশনিসংকেত ●   ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণ ভোটের তফসিল ঘোষণা করায় সিইসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুঁই চাকমা ●   খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মহিলা জামায়াতের সমাবেশ ●   মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে একদিনে এক কোটি টাকা দান ●   ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই হবে অন্যতম শক্তি : চুয়েট ভিসি ●   পার্বতীপুরে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মহা সড়ক অবরোধ ●   ঝালকাঠিতে অবহেলায় দিন কাটছে ৭৫ বছরের সেকেন্দার আলী ●   ইন্টারন্যাসনাল পীস চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে বিশ্ব মানবধিকার দিবস পালন ●   নলছিটি থেকে ডাবল মার্ডারের আসামী আয়েশা গ্রেপ্তার ●   ১২ ডিসেম্বর থেকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ধানের ক্রেতা নেই : বিপাকে কৃষক
প্রথম পাতা » কৃষি » ধানের ক্রেতা নেই : বিপাকে কৃষক
শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ধানের ক্রেতা নেই : বিপাকে কৃষক

---গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সদর উপজেলার কাটিহারা গ্রামের মধু মিয় (৫০) প্রন্তিক কৃষক। এবার এক বিঘা জমিতে বিআর-২৮ জাতের বোরো ধানের চাষ করেন। বীজ বপন থেকে ধান কাটা পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। বিঘায় ধান হয়েছে ২০ মণ। কিন্তু দাম তেমন নেই।
মধু মিয়া বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান ৫৫০ টাকা। এ হিসাবে ২০ মণ ধানের দাম ১১ হাজার টাকা। এবার ধান আবাদ করে বিঘায় তাঁর লোকসান হয়েছে ১ হাজার টাকা। তাঁর ভাষায়, ‘বোরোর আবাদ করি নাব (লাভ) হওয়া দূরের কতা, এ্যাক বিগে জমিত ম্যালা ট্যাকা নোকসান দেওয়া নাগল।’
শুধু মধু মিয়া নন, এবার বোরো ধান চাষ করে গাইবান্ধার বেশির ভাগ কৃষককে লোকসান দিতে হচ্ছে। হাটে ক্রেতা না থাকায় ধানের দাম কম বলে জানিয়েছেন চাষিরা। ফলে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কাটিহারা গ্রামের আরেক কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, ‘এমনি আবাদের খরচ ওঠে না, তার ওপর ধানের দাম নাই। বাজারোত ধান নিয়্যা গেলে কাইয়ো দাম কয় না। বাদ্য হয়্যা ব্যাপারীর কাচে এক মোণ ধান সাড়ে পাঁচশ ট্যাকা হিসাবে বেচপার নাগচি। একই উপজেলার কালাম মিয়া বলেন, ‘বোরো ধানের আবাদ করতে ট্যাকা বেশি নাগে। তাই এ্যাক বিগে জমি আদি (বর্গা) নিয়্যা ধান নাগাচিনো। ১২ হাজার ট্যাকা খরোচ করি ১৮ মোণ ধান পাচি। এক বিগে জমিত ২ হাজার ১০০ ট্যাকা নোকসান হচে। মালিকোক অর্দেক ধান দিলে কী থাকে?
সরেজমিনে গত দুই দিনে কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, ধানের ক্রেতা তেমন নেই। গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার দারিয়াপুর হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন রানা মিয়া। গিদারী গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তিনি জানান, জমি ছাড়া তাঁর আয়ের অন্য পথ নেই। ধারদেনা করে আবাদ করেন। আর ধান উঠলে বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করেন। ধান কাটার শ্রমিক খরচও ধান বিক্রি করে দিতে হয়। তিনি বললেন, ‘বিকেল থেকে বাজারে অপেক্ষা করে ধান বিক্রি করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় ব্যাপারীর কাছে এক মোণ ৫৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।’জানতে চাইলে দাড়িয়াপুর গ্রামের ধান ব্যবসায়ী আমজাদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর ধান কিনে চাল করে সরকারি গুদামে দিই। এবার সরকারিভাবে ধান কেনা এখনো শুরু হয়নি। এখন ধান কিনতে আগ্রহী নই।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। ফলনও ভালো হয়েছে। চাল আকারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন। গত ২৫ এপ্রিল থেকে ধান-চাল কেনা শুরু করার কথা ছিল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এস এম ফেরদৌস বলেন, সরকারিভাবে বোরো ধান কেনা এখনো শুরু হয়নি। তাই কম দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার ধানচাল কেনার বিষয়ে সভা ডাকা হয়েছে। কবে থেকে কেনা হবে, সে সিদ্ধান্ত হবে। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত কেনা চলবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)