

বুধবার ● ২৮ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার
কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ কুষ্টিয়ার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে তিনতলা বাড়ীর নীচতলা থেকে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে আটক করা হয়। তার আগে শরীফ ও আরাফাতকে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়ার সেনাবাহিনী। এ সময় তার কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশী পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি এ্যামোনেশন উদ্ধার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি কে এম শাহীন রেজার প্রতিবেদনে থাকছে বিস্তারিত
কুষ্টিয়া কালীশংকরপুর এলাকার ওই বাসার ভাড়াটিয়া শাহীন বলেন, তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনের নিচ ফাঁকা ছিল। প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের এই বিল্ডিংয়ের পেছনের বাসার মালিক হেলাল বাসাটি ভাড়া নিয়ে তাদেরকে উঠান। যে দুজন এই বসাতে থাকতেন তারা খুব বেশি চলাফেরা করতেন না। তাদের সঙ্গে আমাদের মেলামেশা ও পরিচয় ছিল না। তবে পাশের ভবনের মালিক তার আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তারা ব্যাবসা করবে এবং এখানে থাকবে। এরপর থেকেই তারা দুজন এখানে থাকতেন। মেসের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে নিচতলায় তল্লাশি চলে। ৮টার কিছু সময় পর কালো মাইক্রোবাসটি একদম গেটের সামনে চলে আসে। ভোর ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়। দরজা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা পাশের ভবনের মালিকের ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন। অভিযানে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর কয়েকজন বলেছেন যে তিনি সুব্রত বাইন।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধ জগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। তার নামে ৩০টিরও বেশি খুনের মামলা রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোতেই এই সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত, এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজি সহ প্রায় ১০০ মামলার আসামীও তিনি। ২০০১ সালে পুরস্কার ঘোষিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার রেড কর্নার নোটিশ প্রাপ্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে। কিন্তু ৫ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস করতেন সুব্রত বাইন। কুষ্টিয়ার বাসিন্দা হেলালের সহযোগীতায় কোন নাশকতা করার লক্ষ্যে নতুন করে পরিকল্পনা করছিল বলে প্রশাসনের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।