

মঙ্গলবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কমিশনের মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি চাকুরিজীবনে নানা অনিয়মে জড়িয়ে নামে বেনামে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও জানা গেছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরি জীবন শুরু করেন। বিগত সরকারের সময় কুষ্টিয়া অফিসের সহকারী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় আতা হানিফের হাত ধরে প্রমাশন নিয়ে ২০২৩ সালের ১৪ আগষ্টে চুয়াডাঙ্গা জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ফ্যাসিষ্ট ঠিকাদেরদের পূণ:বাসনে ব্যস্ত রয়েছেন বলে একাধিক প্রমান পাওয়া গেছে। আর দুবছর চাকুরির মেয়াদ আছেন তার, এ সময়ে তিনি ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজস করে ইচ্ছেমতো টেন্ডার ভাগাভাগি করছেন। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নিজেই ঠিকাদারদের মধ্যে নিজের কমিশনের টেন্ডার আহŸান করেন। তাকে যে ঠিকাদার সর্বোচ্চ কমিশন দিতে চান, নানা ফন্দি ফিকির করে তিনি তাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সম্প্রতি একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছেন। দরপত্রের সকল শর্ত পূরণ করার পর একমাত্র কাজ পওায়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনিত হলেও তাদেরকে সে কাজ দেওয়া হয়নি। তিনি আইন বর্হিভূতভাবে নিজের নিজের মনগড়া দরপত্র মূল্যায়ন করছেন এবং দরপত্রের শর্তপূরণ ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে সুবিধা নিয়ে তাদেরকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। নোটিশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সকল তথ্য ও দলিলপত্র সংরক্ষিত আছে জানিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, অনিয়ম করে যা করা হয়েছে তা বাতিল করা না হলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তারা বাধ্য হবেন।
প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের বিষয়ে খোঁজ নিতে বেরিয়ে আসে তার সম্পদের পাহাড়। কুষ্টিয়ার ছেলে এই প্রকৌশলী এলাকাতে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর রেল গেট এলাকায় প্রায় এক বিঘা জমি রয়েছে, সেখানে গড়ে তুলেছেন চারতলা একটি সুরম্য অট্টালিকা। শহরের আড়য়াপাড়া স্ত্রী ও নিজের নামে রয়েছে ছয় কাঠা জমি, পরিবারের জন্য রয়েছে একটি নতুন মডেলের দামি গাড়ি। তিনি নিজের এলাকায় বিপুল ধানি জমি, গরুর খামার ও নানামুখী ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দু’একটা কাজের টেন্ডার নিজের ক্ষমতাবলে কিছুটা অনিয়ম তিনি করেছেন। অর্থ সম্পদের বিষয়ে বাড়ি ও জমির কথা স্বীকার করলেও গাড়ির বিষয়টি অস্বীকার করেন, শহরের আড়–য়াপাড়ার জমিও তার নামে না বলে জানান। তিনি জানান, তার স্ত্রীর গরুর খামার ও স্টকের ব্যবসা রয়েছে, তার নামে ট্যাক্স ফাইলও আছে। তার সব সম্পদ বৈধ বলে তিনি দাবি করেন। তার এই বিষয়ে দুদক একটু খোঁজ খবর নিলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।