

বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়
যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, নির্বাচনে যে সকল রাজনৈতিক দলের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই বিচার আর সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়। ওনারা বলেন সর্বাগ্রে বিচার ও সংস্কার করতে হবে অতপর নির্বাচন। সংস্কার একটি চলমান পক্রিয়া, এর শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। তিনি বলেন কোন এক পক্ষ চাইলেইতো আর বিচার দুই চার ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে গণ হত্যার মতো স্পর্শ কাতর মামলা এবং যেসব মামলা গুলো এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন। কে না জানে, তড়িঘড়ি করে এসব মামলাগুলোর বিচার কার্য শেষ করলে আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই মামলার রায়গুলো প্রশ্ন বিদ্ধ হবে।
জুলাই শহীদ দিবসে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে নবনির্মিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য প্রদান পরবর্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হাসান টিপু আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্বেই বিচার আর সংস্কারের কাজ জনগনের সামনে দৃশ্যমান করতে হবে। ছাত্র শ্রািমক জনতার অভ্যুত্থানের খুনি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ ও স্থানীয় কেডার মাস্তানসহ সকল হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আর সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই জনগণের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্য কালে শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন বলেন, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি নতুন করে গোপালগঞ্জে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন দিলো, রক্ত দিলো সেই জুলাই মাসেই সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ জুলাই আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃবৃন্দের উপর এই হামলা আক্রমণ সংগঠিত করলো। এটা পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের চরম ঔদ্ধত্বের বহিঃপ্রকাশ।
আজ ১৬ জুলাই বুধবার সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিকনেতা সহিদুল আলম নাননু, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সুমন হাওলাদার প্রমূখ।