

শুক্রবার ● ১৮ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠিতে ২শ পরিবার পানিবন্দি
ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠিতে ২শ পরিবার পানিবন্দি
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি পৌরসভাটি কাগজে প্রথম শ্রেনীর তালিকায় থাকলেও বাস্তবে তৃতীয় শ্রেনীর মতই। পৌর কর দেয়া বাসিন্দারা বৃষ্টির জলে খাচ্ছে হাবুডুবু। সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠিতে পানিবন্ধী হয়ে আছে প্রায় ২০০ পরিবার। এখানকার ঘরবাড়ি মাসব্যাপী পানিতে তলিয়ে আছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের এমন ভোগ গত দশ বছর ধরে পোহাতে হচ্ছে।
সেলিম তালুকদার, আলম হাওলাদার, মিল্টন তালুকদার, সাইদুল ইসলাম, এডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের বাড়ির বাসিন্দারা দুর্ভোগের কথা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
পানিবন্দি বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি ডুবে যায়। বিশেষ করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা পরিষদ ভবনের আশপাশ এলাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।
“বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যাচ্ছেনা। রান্নাঘরেও পানি উঠে গেছে। প্রাইভেট টিচার পানি পেরিয়ে ঘরে আসতে চায়না। পৌরসভাকে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। এমনটাই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদা বেগম, সেলিম তালুকদার, সাইদুল ইসলামসহ অনেকে।
এলাকাবাসীর দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেন তৈরি বা পাইপ দিয়ে নদীতে পানি নামিয়ে দিতো অথবা সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করতো, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না। সাবেক মেয়রদের গাফিলতির কারনেই আজ পানিবন্দি থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ড্রেনেজ সমস্যা আমরা জানি। তবে সাবেক মেয়রদের আমলে বাজেট ও জনবলের সংকটের কারনে সময়মতো কাজ করা হয়নি।’
ভুক্তভুগিদের মতে, পৌরসভা যদি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে, তবে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জনদুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।
এদিকে বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি দ্রুত সময়য়ের মধ্যে জলাবদ্ধতার টেকসই সমাধান করে দিতে হবে। অন্যথায় তারা পৌর কর দেয়া বন্ধ করা এবং পৌরসভা ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসুচি দিবেন।
তবে অনেকটা আশার বানী শোনালের পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন। তিনি জানান, ‘শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে রেকর্ডিও খালগুলো পুণ:খনন করা হচ্ছে। কৃষ্ণকাঠি এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।