শিরোনাম:
●   মিরসরাইয়ে পিকাপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত-৩ ●   মিরসরাইয়ের রূপসী ঝরনার কূপে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ●   অনতিবিলম্বে ইরানে হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইজরায়েলকে বাধ্য করার ডাক ●   কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ●   মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া কমিটি এর বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ●   পার্বতীপুর বিনোদন স্পর্টগুলো তাপদাহে ভ্রমন পিপাষূ সমাগম কম ●   আলীকদমে ইয়াবা উদ্ধার : আটক-৩ ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ●   ফটিকছড়িতে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ●   কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি ●   নরসিংদীতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ●   লন্ডন বৈঠক রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সন্দেহ অবিশ্বাস অনেকখানি দূর করবে ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ●   ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শুভেচ্ছা ●   ফটিকছড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ●   আলীকদমে রহস্যজনক মৃত্যু : দুই পর্যটকের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ-১ ●   রাঙ্গুনিয়াতে নিজ দোকান থেকে মিঠুন দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   আলীকদমে পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার : নিখোঁজ-২ ●   পার্বতীপুর রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর অভিযানে টিকিট কালোবাজারি আটক ●   অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তিপন ছাড়াই উদ্ধার হলো দুলাল মিয়া ●   বন্ধ হওয়া মোবাইল টাওয়ার চালুর দাবিতে গণস্বাক্ষর ●   ফটিকছড়িতে কোরবানি পশুর চামড়া খালে : পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ●   সৌরভের মৃত্যুতে আত্রাইয়ে বিভিন্ন মহলের শোক ●   উপ সচিবের ভাই শীর্ষ চরমপন্থী নেতা লিপ্টনসহ গ্রেফতার-৩ ●   কুরবানির পশুর চামড়ার সিন্ডিকেট আগের চেয়ে বেশী সক্রিয় : উপযুক্ত দাম নাই ●   চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনভিপ্রেত ●   আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন ‎ ●   ফটিকছড়িতে পশু জবাই ও মাংস কাটা সরঞ্জাম কেনার হিড়িক ●   মধ্যপাড়া পাথর খনি লোকসান কাটিয়ে লাভে পথে
রাঙামাটি, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রামে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রামে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা
রবিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চট্টগ্রামে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা

---

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: নগরীর লালদীঘি ময়দানে চলমান চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার ১২ নভেম্বর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কর্মীরা হঠাৎ করেই নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে থাকেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বক্তব্যের মাঝেই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাদের শান্ত হওয়ার আহবান জানান। এরপর তিনি বক্তব্য অব্যাহত রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এবং ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অনুসারীদের মধ্যে এই ছো‍ড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়া নিয়ে দুইপক্ষে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। অনুপ্রবেশকারীদের দল ছেড়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বসন্তের কোকিল কারা কারা দলে অনুপ্রবেশ করেছেন, ‍আপনাদের বলছি- আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিল আর মৌসুমি পাখির কোন স্থান নেই। চলে যান, আমার মৌসুমি পাখির দরকার নেই। শেখ হাসিনার বসন্তের কোকিলের দরকার নেই। যখন দুঃসময় আসবে তখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বসন্তের কোকিলদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘি ময়দানে এমন বক্তব্য দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছে আঞ্চলিক ভাষায় নোয়াখালীর সন্তান কাদের জানতে চান, ‘হাছা কইলাম নাকি মিছা কইলাম। ’

কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রামের নেতাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি কাদের বলেন, কাউকে ছাড়ব না। দল করলে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যারা মানবে না তাদের দলে থাকার কোন অধিকার নেই। গুটিকয়েকের জন্য গোটা দলের বদনাম হতে পারে না।

‘ওই গুটিকয়েক কারা, তাদের দল থেকে বের করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এভাবে দল চলতে পারেনা। ’ বলেন কাদের।

মঞ্চে থাকা চট্টগ্রামের নেতাদের দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথও করিয়েছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদের।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মঞ্চের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, অভিন্ন। আপনারা ওখান থেকে টুকটাক এটা-সেটা করবেন, ওইদিন চলে গেছে। এটা আর করতে দেয়া হবেনা।

‘ঠিক হয়ে যান, অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। কাউকে ছাড়া হবে না। শেখ হাসিনার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ব্যানারে-বিলবোর্ডে আমার ছবি দেখতে আসিনি। আমি এই চট্টগ্রামে আমার নামে তোরণের শোভা দেখতে আসিনি। কারণ আমি জানি ফুলের মালা শুকিয়ে যাবে, আমি জানি এই ফুল শুকিয়ে যাবে। আমি জানি কাগজের ফুল ছিঁড়ে যাবে। আমি জানি পোস্টারের ছবি ছিঁড়ে যাবে। আমি জানি তোরণের ছবি ভেঙে যাবে। আমি জানি পাথরের ছবি ক্ষয়ে যাবে। কিন্তু হৃদয়ের কথা রয়ে যাবে।

‘আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধু জনগণের হৃদয়ে নাম লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের হৃদয়ে নাম লিখেছেন। এই নাম কোনদিন মুছে যাবে না। ফুল নয়, বিলবোর্ডের ছবি নয়, ওই ছবি দেখিয়ে লাভ নেই, তোরণে ছবি দেখিয়ে লাভ নেই। হৃদয়ে ছবি দেখান, এই নাম রয়ে যাবে। ’ বলেন কাদের।

তিনি বলেন, আমি বাংলার অজগাঁ, তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। আমি শেখ হাসিনার হাতে গড়া দলের কর্মী। আমি আপনাদের কাছে আজ নেতাগিরি করতে আসিনি। আমার নামে শ্লোগান বন্ধ করুন।

কাদের বলেন, আমাকে খুশি করার দরকার নেই। আমাকে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা খুশি করেছেন। আমার দায়িত্ব জনগণকে খুশি করা। নেতাদের খুশি করে লাভ নেই, জনগণকে খুশি করুন। জনগণের কাছে যান। যদি অপকর্ম কিছু করে থাকেন, ক্ষমা চান। জনগণের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান, জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে কোন লজ্জা নেই।

‘ঈদের সময় দেখেন না, রাস্তাঘাটে যেসব দুর্ভোগ হয়, আমি সেজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। এতে কি আমি ছোট হয়। জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে কি লজ্জা আছে ?’

সমাবেশে চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্য‌ারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাঙামাটি কমিটির নেতা সাবেক সাংসদ দীপংকর তালুকদার বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীতে স্থান পাওয়া সাবেক সাংসদ ইছহাক মিঞা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ ড.অনুপম সেন ও প্রণব কুমার বড়ুয়া।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডা.দীপু মনি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী ‍সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রামের মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

সমাবেশ পরিচালনা করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ ছালাম এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।





আর্কাইভ