শিরোনাম:
●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে ●   পাইন বাগান নব নির্মিত মাদরাসার ভবন ও হেফজ খানার উদ্বোধন ●   বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক ●   ঘোড়াঘাটে ট্রাক চাপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর মৃত্যু ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েটে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ●   ঝালকাঠিতে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার ●   টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি ●   গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান এলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান নাবেদ, শিলা ●   মিরসরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নয়ন বিজয়ী ●   কুষ্টিয়া সদরে আতাউর রহমান খোকসায় শান্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ ●   গোলাপগঞ্জে পুনঃনির্বাচিত মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম ●   ঘোড়াঘাট উপজেলায় শুভ চেয়ারম্যান,বাবু ও নার্গিস ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাটির নিচে পাওয়া গেলো প্রাচীন রৌপ্য মুদ্রা ●   ঘোড়াঘাটে ভোট গণনা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা ●   কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান সামশু দোহা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান আনোয়ার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হালিমা নির্বাচিত ●   নির্বাচনী ডিউটিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও ●   হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন ●   প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল ●   রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব ●   ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ●   ঘোড়াঘাটে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   খাগড়াছড়িতে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের ব্রিফিং ●   নিয়মরক্ষার উপজেলা নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়, অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র ●   জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের স্বীকৃতির দাবির স্মারকলিপি হস্তান্তর
রাঙামাটি, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ৪৫তম বিজয় দিবসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ৪৫তম বিজয় দিবসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
৪৩৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৪৫তম বিজয় দিবসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

---

মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালী জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ, শোকাবহ, লোমহর্ষক, তেমনি ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ও বীরত্বপূর্ণ। ১৯৭১ এর মহান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের প্রতিটি দিনই কোনো না কোনোভাবে তাৎপর্যবহ। মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালী জাতির আনন্দ ও বেদনার এক সংমিশ্রিত ইতিহাস। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙ্গালীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়া, ২৬ মার্চ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বাঙ্গালীর সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু এবং সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দ। মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে বিজয় ছিনিয়ে এনে এ দেশের বীরজনতা বুঝিয়ে দিল, ঐক্য ও ত্যাগ থাকলে বুলেট আর কামান দিয়ে কোনো জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় না।  আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনে যে শহীদেরা আত্মত্যাগ করেছেন, নিজেদের প্রাণবাজি রেখেছিলেন যে মুক্তিযোদ্ধারা, গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরণ করি। যে সব দেশ ও গোষ্ঠী মহানমুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাহায্য করেছে তাঁদের জানাই কৃতজ্ঞতা।

আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের কথা এলেই বারবার চলে আসে বঙ্গবন্ধুর কথা। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচনায় তিনি যেমন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তেমনি যুদ্ধের শুরুতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ. ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এবং ৯ মাসের যুদ্ধে তাঁর অনুপস্থিতিতেও তাঁর নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ছিল, যথাঃ

১। পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিড়ে শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

২। মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কর্মসংস্থান প্রভৃতি নিশ্চিত করে সমাজের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা।

৩। মুক্তচিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪। সকল নাগরিকের জন্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারসমূহ নিশ্চিত করা।

৭। বাঙ্গালীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলোকে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

গত ৪৪ বছরে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশার আলোকে আমাদের যথেষ্ট প্রাপ্তি রয়েছে, যদিও সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের কাংখিত অর্জন আজো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা মুক্ত স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি, লাল সবুজের মধ্যে লাল বৃত্তে আঁকা জাতীয় পতাকা পেয়েছি। অধিকার আদায়ের জন্যে আত্মসচেতন হওয়ার প্রেরণা দিয়েছে এই মুক্তিযুদ্ধ। সমাজ জীবনে ব্যক্তিস্বাধীনতা, নারীমুক্তি আন্দোলন, নারী শিক্ষা, গণশিক্ষা, সংবাদপত্রের বিকাশ, সর্বোপরি গণতান্ত্রিক অধিকার চেতনা ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। আমাদের সাহিত্যে বিশেষ করে কবিতা ও কথাসাহিত্যে যতটা ব্যাপ্তি পেয়েছে তার বড় অবদান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গণসচেতনতামূলক গান, নাটক, চলচ্চিত্র ব্যাপকভাবে রচিত হয়েছে স্বাধীনতার পর। তবে উল্লেখ্য যে, আশানুরূপভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিংবা গৌরবগাঁথা সাহিত্যে আজো প্রতিফলিত হয়নি।

যে স্বপ্ন আকাঙ্খা সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেই স্বপ্ন নানা কারণেই গত ৪৪ বছরেও সাফল্যের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানি কায়দায় বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের তৎপরতা অব্যাহত থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তথ্য বিকৃতির প্রচেষ্টাও চালানো হয় সমানতালে। স্বাধীনতার পর বার বার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিপন্ন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যকলাপ বারবার সংঘটিত হচ্ছে প্রশাসনের ভেতর এবং বাইরে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজো তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

সমাজে সমাজ- বিরোধী ব্যক্তির যে সম্মান, যে প্রতিপত্তি, সেখানে একজন জ্ঞানী, সৎ মানুষের মূল্য তুচ্ছ। সমাজে সততা আজ লাঞ্চিত এবং অসহায়। বিবেক সেখানে বিবর্জিত, অথচ কতিপয় জ্ঞানী-গুণী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও তাদের খাতির করে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা ডান হাত। জঘন্য, নিষ্ঠুর কাজকর্ম করেও তারা আইনের আওতায় আসছে না। কিন্তু সমাজে যারা অপরাধকর্মে লিপ্ত তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতা অর্জন খুবই গৌরবের ও আনন্দের ব্যাপার এবং স্বাধীনতা জাতীয় জীবনের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন হলেই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না বরং তখন বিজয়ী জাতির সামনে আসে স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম। এ সংগ্রামে আরো বেশী ত্যাগ- তিতিক্ষা ও শক্তি- সামর্থ্যরে প্রয়োজন হয়। কারণ স্বাধীন দেশের ভেতরে ও বাইরে শত্র“র অভাব নেই। এরা সুযোগের সন্ধানে সর্বক্ষণ তৎপর থাকে। যে কোন সময় সুযোগ পেলে হিংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করে দিতে চায়। সুতরাং স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও তাদের অনুচরদের এবং বহিঃ শত্র“র হাত থেকে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে রক্ষায় আমাদেরকে সদা সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষা ও ফলপ্রসু করা স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে কঠিন ও দরুহ কাজ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে তোলা ও তাদের চিন্তা-চেতনায় দেশাত্ববোধ, জাতীয়তাবোধ এবং তাদের চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলী যথা, ন্যায়বোধ, অসাম্প্রদায়িক-চেতনাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃংখলা, সৎ জীবন -যাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্যতা, অধ্যবসায় ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে বর্তমান সরকার একটি যুযোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ণ করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন শিক্ষাক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও এর নেতৃত্ব ছিল প্রায় অনুপস্থিত। অনেক ক্ষেত্রে যাও যৎসামান্য তথ্য পরিবেশিত হয়েছিল তাতে তথ্য বিকৃতি প্রচুর।

৭৫ পরবর্তীকালে গণমাধ্যম ও সরকারি পর্যায়ে অপপ্রচারের ফলে জনমনে ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে অনেক সময় দ্বিধা -দ্বন্ধ কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ও বঙ্গবন্ধু চর্চা লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ চর্চা কেন্দ্র বা গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদেরকে নিম্ন বর্ণিত বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

১। জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করে তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে।

২। দেশ প্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির সংঘবদ্ধ প্রয়াস ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।

৩। দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৪। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত গৌরবগাঁথা আর আত্মত্যাগের ইতিহাস ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে তুলে ধরতে হবে।

৫। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, লক্ষ্য চেতনা সমাজ ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

৬। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

৭। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৮। সকল ক্ষেত্রে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৯।সামাজিকভাবে স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বয়কট করতে হবে।

১০। স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

১১। সকলকে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।

১২। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ শিক্ষা সকলের জন্যে নিশ্চিত করতে হবে।

১৩। দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের মহৎ লক্ষ্যসমূহ জাগ্রত করতে হবে।

১৪।সমাজের সবস্তরে মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

১৫। গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলকে সক্রিয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

১৬। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।

১৭। নারীর অগ্রগতি নিশ্চিত করে, নারী ও পুরুষের সামাজিক  বৈষম্য দূর করতে হবে।

১৮। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কর্মসংস্থান ইত্যাদি সম্পর্কিত যাবতীয় ব্যবস্থা ও সুযোগকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকলের কাছে সহজ লভ্য করতে হবে।

১৯। ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার সমূহ নিশ্চিত করতে হবে।

২০। বাঙালীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলোকে  বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২১। সবস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।

২২। প্রত্যেক নাগরিককে রাষ্ট্রের দেওয়া অধিকার ভোগ করার পাশাপাশি নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

২৩। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সততার সাথে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।

২৪। প্রত্যেককে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

২৫। দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে সর্বদা দলমতের উর্ধ্বে থাকতে হবে।

২৬। দেশের ও জনগণের চাহিদা মোতাবেক সর্বদা গণমুখী ভূমিকা পালন করতে হবে।

২৭। সশস্ত্র বাহিনী সদস্য, পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও আধুনিক করে তোলার জন্যে যুগোপযোগী ও বিজ্ঞান সম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

২৮।সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ও মিডিয়াকর্মীদেরকে বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক অনুসন্ধান কিংবা তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ব্যবহার করতে হবে।

২৯। রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

৩০।দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩১। সফল কূটনীতির মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে।

৩২। দেশের অভ্যন্তরীন শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে সততা ও দেশপ্রেমের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যসমূহ জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। এই বিষয়ে সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

লেখক: লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

(শিক্ষক, কলাম লেখক ও সংগঠক)

সভাপতি

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি





আর্কাইভ