বৃহস্পতিবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শৈলকুপায় আলোচিত গৃহবধুকে পরিকল্পিত হত্যার দায়ে গ্রেফতার-১
শৈলকুপায় আলোচিত গৃহবধুকে পরিকল্পিত হত্যার দায়ে গ্রেফতার-১
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: শৈলকুপায় আলোচিত গৃহবধুকে পরিকল্পিত হত্যার দায়ে থানায় মামলা দাখিলের পরে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাবলা-পুরাতন পাড়া এলাকা থেকে সাথী (২১) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাথী গাবলা-পুরাতন পাড়া গ্রামের বরকত আলী মন্ডলের স্ত্রী ও ঝিনাইদহ সদর থানার তালতলা হরিপুরের মৃত সিদ্দিক বিশ্বাসের কন্যা। শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মতিন জানান, উপজেলার গাবলা গ্রামে বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছে গৃহবধুর মরদেহ ঝুলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন যে গাছটিতে ওড়না পেচিয়ে সাথী মারা গেছে বলে দেখাচ্ছে সেটি সন্দেহজনক। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে গতপরশু ৫ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং-০৪। গতকাল মঙ্গলবার উক্ত মামলার ৫জন এজারভুক্ত আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআই আব্দুল মতিন আরো জানান, বাকি আসামি গ্রেফতার করতে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে, খুব শিঘ্রই সকল আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এজাহারে নিহত গৃহবধু সাথীর মা জায়েধা খাতুন বলেন, আমি মোছাঃ জায়েধা খাতুন (৫০), স্বামীঃ মৃত সিদ্দিক বিশ্বাস, সাং-তালতলা হরিপুর, থানা ও জেলা ঝিনাইদহ ইং ০৫/০২/১৯ তারিখ শৈলকুপা থানায় হাজির হইয়া টাইপকৃত দরখাস্তের মাধ্যমে আসামী ১। মোঃ বরকত মন্ডল @ উজ্জল (৩৬) পিতা মুনছুর মন্ডল, ২। হালিমা খাতুন (৫৫) স্বামীঃ মুনছুর মন্ডল, উভয় সাং- গাবলা, থানা- শৈলকুপা, ৩। আরিফুল (৩২) পিতা মন্টু বিশ্বাস, ৪। পলি খাতুন (২৮), স্বামী- আরিফুল, উভয় সাং- কংশি, থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা- ঝিনাইদহের বিরুদ্দে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, উপরোক্ত ০১ নং আসামীর সহিত প্রায় ৫ বছর পূর্বে আমার মেয়ে সাথীর সহিত প্রায় ৫ বছর পূর্বে আমার মেয়ে সাথী খাতুন @ লিপা (২৩) এর বিবাহ দিই। সাংসারীক জীবনে তাহাদের এক ছেলে মোহাইমিন (২) আছে। বিবাহের সময় আমার মেয়ের সংসারে কথা চিন্তা করিয়া আমি ২টি স্বর্ণের চেইন ওজন অনুমান ২ ভরি, মূল্য অনুমান ৮৮,০০০/- টাকা, নগদ ৮০,০০০/- টাকা ২টি গরু যাহার মুল্য অনুমান ১,০০,০০০/- টাকা, ১টি আংটি ওজন অনুমান ৮ আনা মুল্য অনুমান ২২,০০০/- টাকা, ১ জোড়া কানের দুল মূল ৪৪,০০০/- টাকা সর্ব মোট ৩,৩৪,০০০/- টাকার মালামাল সহ ঘর গোছানোর জন্য সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র প্রদান করি। বিবাহের কিছুদনি পর হইতে ০১ নং আসামী অন্যান্য আসামীদের কুপরামর্শে পুনরায় আমার মেয়ের নিকট নগদ ৫০০০০/- টাকা টিভি ফ্রিজ ও মোটর সাইকেলে যৌতুক হিসাবে দাবী করতে থাকে। অতঃপর আমি বাড়ীর গরু বিক্রয় করিয়া যৌতুক বাবদ আরো ২০০০০/- টাকা আসামী ৩ ও ৪নং আসামীর হাতে প্রদান করি। বাকী টাকা আদায় করার জন্য আসামীগণ আমার মেয়ের উপর পুনরায় নির্যাতন করতে থাকে এবং আসামীদের দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মেয়েকে খুন করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। ইং ০৪/০২/১৯ তারিখ ৩ ও ৪ নং আসামী ১নং আসামীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে একই দিনে বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার সময় আমা মেয়ে তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৯২৮-৬৮১৪৪৩ হইতে আমার ছোট ছেলে মোঃ রাব্বি বিশ্বাস (১৭) এর মোবাইল নম্বর ০১৭৮০-৪৩৮৬০০ তে কল করিয়া কান্নার স্বরে বলে যে, উপরোক্ত আসামীরা আমাকে যৌতুকের টাকার জন্য অনেক মারধর করেছে। আমি আমার মায়ের সাথে কথা বলিব। অতঃপর আমার ছেলে বাড়ীতে আসিয়া আমার সাথে মোবাইল ফোনে আমার কথা বলাইয়া দিলে আমার মেয়ে বলে যে, “ওরা আমার নিকট হইতে যৌতুকের ৫০০০০/- টাকা চাহিয়াছে। আমি টাকা দিতে পারিব না বলিলে ওরা আমাকে অনেক মারধর করেছে। তোমরা তাড়াতাড়ি টাকা নিয়ে আসো”। তার পর হইতে আমার মেয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা অনেক চেষ্টা করিয়া যোগাযোগ করিতে পারি নাই। পরের দিন ইং ০৫/০২/১৯ তারিখ সকাল অনুমান ৭.০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাত নামা মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, আমার মেয়ে মারা গছে। তখন আমি সহ সঙ্গী স্বাক্ষী তালতলা হরিপুরের ইদ্রিস বিশ্বাসের ছেলে জামাল বিশ্বাস (২৮), কুদ্দুস বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা (৩২), মোছা বিশ্বাসরে ছেলে নয়ন বিশ্বাস (২২), ঝিনাইদহ সদর সহ আরো অনেকে আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে আমার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ইহাছাড়াও তথায় উপস্থিত স্বাক্ষী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার বড় গাবলা গ্রামের (পুরানপাড়া) মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ইউনুচ আলী (৩২), ৫। ইউনুচ আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২৫), এরা দুইজন আমার মেয়ের মৃত দেহ কাঠালগাছ হইতে মাটিতে নামায়। ইং ০৪/০২/১৯ তারিখ বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার পর হইতে ইং ০৫/০২/১৯ তারিখ সকাল অনুমান ৭.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় উপরোক্ত আসামীগন যৌতুকের দাবীতে ১নং আসামীর বসত বাড়ীতে আমার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করে। আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলিয়া ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মৃত দেহ ১নং আসামীর বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে কাঠাল গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগাইয়া ঝুলাইয়া রাখে। আসামীর যৌতুকের টাকার জন্য এইরূপ জঘন্য পূর্ণ কাজ করিয়াছে। আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া অভিযোগ দিতে বিলম্ব হইল। অতএব উপরোক্ত বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ