সোমবার ● ১১ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাজবন বিহারে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
রাঙামাটি বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাজবন বিহারে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১১ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মিঃ) পার্বত্য জেলা বান্দরবানের স্বর্ণ মন্দিরের পর এবার পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ হলো রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহি ও দৃষ্টিনন্দন রাজবন বিহার। ধর্মীয় আচার পালন ছাড়া যেকোন কারণে রাজবন বিহারে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে রাঙামাটি রাজবন বিহার ভিক্ষুসংঘ।
গত শনিবার ৯ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এ বিষয়ে রাঙামাটি রাজবন বিহারে একটি নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, রাজবন বিহার বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেখানে পূজা-পার্বনাদি ও ধর্মীয় নীতিমালা প্রতিপালনের সাথে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়। এই পূণ্য তীর্থে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতের বৌদ্ধ পূণ্যার্থীর আগমন ঘটে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, ইদানিং পুণ্যার্থী ছাড়াও প্রচুর পর্যটক বহনকারী দর্শনার্থীদের আগমনের ফলে তাঁদের পক্ষে যেসব নীতিমালা, আচরণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্র সদৃশ তুলনা করে তাদের নিজস্ব নানারকম আপত্তিকর ভঙ্গিমায় ছবি তোলা, ভিডিও করা, ঘোরাঘুরি, চিৎকার, উচ্চশব্দ-মহাশব্দ, হৈচৈ করার মাধ্যমে বিহারের সুস্থিতিশীল ও শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করা হচ্ছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন ভ্রমণকারীদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে, পূজারী, পুণ্যার্থী, ধর্মীয় উপাসক-উপাসিকা ও বিহারের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী ব্যতিত দর্শনার্থী, পর্যটক বহনকারীদের রাজবন বিহারে আগমন ও ভ্রমণ করা অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজবন বিহারের মহামিত্র ভান্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য করা হলেও এটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া ভবিষ্যতে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেজিস্ট্রি খাতায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। যেহেতু এটি কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়, ধর্মীয় তীর্থ ভূমি। তাই ধর্মীয় পরিবেশ বজায় রেখে কাজ করা হবে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি রাজবন বিহার ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর এর নির্মাণশৈলি ও বনভন্তের বিহার হিসেবে দর্শনার্থীদের অন্যতম একটি প্রিয় স্থান। প্রতিদিন এই স্থানে প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করে। এছাড়া প্রতিবছর কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ থেকে কয়েক লক্ষের পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।





কাউখালীতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন
ডিসেস্বর মাস পতাকা বিক্রির মৌসুম
মিরসরাইয়ে ভাষা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ৬৩৩ জন শিক্ষার্থী
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণ ভোটের তফসিল ঘোষণা করায় সিইসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুঁই চাকমা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মহিলা জামায়াতের সমাবেশ
ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই হবে অন্যতম শক্তি : চুয়েট ভিসি