শিরোনাম:
●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন ●   প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল ●   রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব ●   ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ●   ঘোড়াঘাটে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   খাগড়াছড়িতে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের ব্রিফিং ●   নিয়মরক্ষার উপজেলা নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়, অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র ●   জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের স্বীকৃতির দাবির স্মারকলিপি হস্তান্তর ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাষ্টের কার্যনিবাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসের এডি’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ ●   ঘোড়াঘাট বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ●   নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে : সাইফুল হক ●   কাউখালীতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু ●   রাঙামাটিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা ●   কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে রাঙামাটিতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ●   কল্পনা অপহরণ মামলা খারিজের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভ ●   নিখোঁজ তরুণী উদ্ধার হওয়ার পরেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি পরিবার ●   ঈশ্বরগঞ্জে প্রার্থীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা ●   গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একশ্রেণীর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে ●   বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রেস ইউনিটির নাম সংশোধন ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত B ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আহত-৪ ●   বান্দরবানে শিশু আইন-২০১৩ শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ●   রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মাদকসহ গ্রেফতার-৫ ●   ঘোড়াঘাটে খাদ্য গুদাম সিলগালা কর্মকর্তা উধাও ●   নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন সাংবাদিক লিয়াকত ●   সন্দ্বীপে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে গবাদি পশু বিতরণ ●   লন্ডনে এনায়েত খান মহিলা কলেজের সকল সদস্যদের মিলন মেলা ●   রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত
রাঙামাটি, বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১১ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বাঙালির ঘরে আত্মসুদ্ধির ঈদ : বাঁকা চাঁদ দেখেই ঈদুল ফিতর
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বাঙালির ঘরে আত্মসুদ্ধির ঈদ : বাঁকা চাঁদ দেখেই ঈদুল ফিতর
৭৩০ বার পঠিত
সোমবার ● ১১ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাঙালির ঘরে আত্মসুদ্ধির ঈদ : বাঁকা চাঁদ দেখেই ঈদুল ফিতর

---নজরুল ইসলাম তোফা :: সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় এবং জাতীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই দিনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমায় অনন্য। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার শেষেই শাওয়ালের ‘বাঁকা চাঁদ’ নিয়ে আসে পরম আনন্দ ও খুশির ঈদ। “আউদ” মূলশব্দ থেকেই আরবি শব্দটি ”ঈদ” অর্থাৎ এ ঈদের প্রমিত বাংলা শব্দ হচ্ছে আনন্দ, খুশি বা আনন্দোৎসব। যা ফিরে ফিরে এসেই অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির ঘরে ঘরে ঈদ। এটি ইসলাম ধর্মের রীতি হিসেবে গণ্য। ফিতর শব্দের অর্থ হচ্ছে রোজা ভাঙা বা খাওয়া।

আসলেই ঈদুল ফিতরে ১ মাস রোজা থেকে আত্মসুদ্ধি হয়। সেই আত্মসুদ্ধির কাঠামোকেই ভেঙে ফেলার চরম আনন্দ উৎসবকে “ঈদুল ফিতর” বলা যেতে পারে।সুতরাং “ঈদুল ফিতর” সারা বিশ্বের মমিন মুসলমান ধর্মাবলম্বীর দুটি ঈদের মধ্যে একটি ঈদ। ঈদ খুশির অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে ঈদের দিনে ঈদগাহে দুই রাকায়াত ওয়াজিব নামাজ পড়া।

ঈদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কেই মহানবী বলেন, ঈদুল ফিতরের এই দিনে ‘ফেরেশ্তারা’ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েই চিৎকার করে বলে থাকেন:– হে মুসলিম! নেককাজের ক্ষমতাদাতা এবং সাওয়াবের আধিক্য দাতা, আল্লাহ’র কাছে অতি শিগগির চলো। কারণ, তোমাদেরকে রাতে ইবাদতের হুকুম করা হয়েছিল, তোমরাই তো তা পালন করেছ, দিনে রোজা রাখার নির্দেশ করা হয়েছিল, অবশ্যই তোমরা তা যথাযথই করেছ। গরিব-দুঃখিকে আহার দান করেছ, আজ তারই পুরস্কার গ্রহণ কর। তারপর মমিন মুসলমান যখন এমন ঈদের নামাজ পড়ে তখন এক ফেরেশ্তা উচ্চ স্বরে ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে তোমাদেরই সৃষ্টিকর্তা দয়ালু প্রভু ভালোবাসার সহিত ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তোমরাই পুণ্যময় দেহ ও মন নিয়ে তোমাদের ঘরে ফিরে যাও। সুতরাং এমন এদিনটির এতো গুরুত্ব বা ফজিলত আছে সেহেতু মহান সৃষ্টি কর্তার উপহারের দিন হিসেবেই গণ্য করেন। সুতরাং ঈদুল ফিতরের এমন এ তথ্য গুলোর সন্ধান পাওয়া যায় তাবরানী শরীফের হাদিসে।

আসলেই মুসলিম উম্মার এই “ঈদ” প্রতি বছর চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী রমজান মাসের নির্দিষ্ট তারিখেই নির্দিষ্ট রীতিতে এক অনন্য আনন্দ-বৈভব বিলাতেই যেন ফিরে আসে। এক মাস কঠোর সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নানা নিয়ম কানুন পালনের পরেই ফুর ফুরে মেজাজে উদ্যাপিত হয় ঈদুল ফিতর কিংবা রোজার ঈদ। গোটা রমজান মাস রোজা রেখে আল্লাহ ভীরু মানুষ তাঁর ভেতরের সব বদভ্যাস ও খেয়াল খুশিকে দমন করে এক রকমের বিজয় অর্জন করে। সকল দিক বিশ্লেষণেই ঈদুল ফিতরকে বিজয় উৎসব বলা যেতে পারে।

আসলেই বলা যায় যে, ঈদুল ফিতরের প্রত্যেকটি অনুশাসনে ইবাদতের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তাছাড়া এদিনে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে সত্যনিষ্ঠ জীবন এবং বলা যায় মানবতার বিজয়বার্তা। তবে প্রচলিত নিয়মে দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমেই দিনটিকে স্মরণীয় করার নাম ঈদ উৎসব।ঈদ আসলেই সাম্যের বাণী নিয়ে আসে। এদিন ধনি, গরিব, ছোট ও বড় সকলেই যেন কোনো ভেদাভেদ রাখে না। আল্লাহর দেওয়া এমন খুশিতে মেতে ওঠে সবাই। তাই এ দিন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং গবিব-দুখিদেরকে স্মরণ করেই তাদের সাহিত মিলেমিশেই খুশি বণ্টন করা উচিৎ।

আবার বলতেই হয়, ঈদ কেবল একটি খুশির বা আনন্দ উদ্যাপনের দিন নয়। ঈদ একটি ইবাদতের নাম। এমন এ দিনটি আমলের জন্য এক বিরাট নেয়ামত বৈকি। সুতরাং এইদিনে বিশেষ কিছু ইবাদত কিংবা আমল রয়েছে, যাতে অনেক পুণ্য লাভ হয়। রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, যে ব্যক্তি ৫টি রাত জেগে ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। সেই রাতগুলো হলো— জিলহজের রাত, আরাফার রাত, ঈদুল আজহার রাত, মধ্য শাবানের রাত এবং ঈদুল ফিতরের রাত। সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতেই ঈবাদত করা অনেক পুণ্যময় ও খুবই তাৎপর্য পূর্ণ কাজ।

ঈদের স্বরূপ এবং তাৎপর্য বোঝার জন্য আল্লাহ তা আলা বলেছেন যে, রমযান মাসেই কুরআন নাযিল হয়, যা মানুষের জন্য হিদায়াত, সৎপথপ্রাপ্তির স্পষ্ট নিদর্শন এবং হক্ব-বাতিলের মধ্যেই তা পার্থক্যকারী। কাজেই তোমাদের যে কেউ এই মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই এর রোযা রাখে। কেউ পীড়িত হলে কিংবা সফরে থাকলে, তাকে অন্য সময়েই এ রোযা সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সহজসাধ্যতা চান, আসলেই কারও প্রতি কঠোরতা আরোপ করতে চান না এবং এই জন্যই যে, তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে ও যাতে তোমরা আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর। তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত করেছেন। আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।’-সূরা বাকারা : ১৮৫

অতএব, রোজাদারের যে পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতার সৌকর্যের দ্বারা আত্ম শুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও মানবতার অজস্র গুণাবলি দ্বারা উদ্ভাসিত হন, এর গতি ধারার প্রবাহ অক্ষুণ্ন রাখার শপথ গ্রহণেই “ঈদুল ফিতর” সমাগত হয় মমিন মুসলমানদের ঘরে ঘরে। তাই এ দিন যেন আনন্দধারা প্রবাহিত হয়। ঈদের দিনেই ধনি-গরিব কিংবা মালিক-শ্রমিকনির্বিশেষে সকল মুসলমানগণ এক কাতারেই মিলেমিশে ঈদের কোলাকুলি অথবা সাম্যের জয়ধ্বনি করে। তাদের মহামিলনেই পার্থিব সুখ-শান্তি, স্বস্তি কিংবা পারলৌকিক মুক্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আরবি শাওয়াল মাসের ১ তারিখেই “ঈদুল ফিতর” উদযাপিত হয়। ফলে এর আগের মাস তথা রমজান মাসের বিদায়ে নিশ্চিত হলেই ঈদুল ফিতরের দিনটি নিশ্চিত হয়ে যায়। আবার আরবি মাস যেহেতু চান্দ্র মাস, তাই চাঁদ দেখার ওপরেই ঈদের আগমনী বার্তা নির্ভর করে। তাই তো ‘নতুন চাঁদ” দেখা মাত্র রেডিও-টেলিভিশন এবং পাড়া-মহল্লার মসজিদের মাইকেই ঘোষিত হয় খুশির বার্তা—‘ঈদ মোবারক’। সেই সঙ্গে চারদিকে শোনা যায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত জনপ্রিয় রোজার ঈদের গান–

ও মন, রমজানের ঐ রোজার শেষে
এলো খুশীর ঈদ/
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে,
শোন আসমানী তাগিদ।

লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং প্রভাষক।





আর্কাইভ