শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে সুজনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ●   ছোটহরিণায় ১২ বিজিবি এর টহলদলের অভিযানে ১০৭৪ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার ●   জয়পুরহাটে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন ●   সদ্য পুনর্গঠিত খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সুজনের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ●   ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে ●   রাউজানে মাদ্রাসা শিক্ষাকের লাশ উদ্ধার ●   হত্যা মামলার পলাতক আসামি অন্তর্বর্তী রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, ওসি বললেন কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ●   সাংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় ●   পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় চার সংগঠনের নিন্দা ●   আজ শপথ নিলেন আরও তিন উপদেষ্টা ●   কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া জরুরী : সুপ্রদীপ চাকমা ●   পানছড়িতে সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ এর সংগঠক মিটন চাকমা হত্যার নিন্দা ●   ঘোড়াঘাটে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু ●   শহীদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র মঞ্চের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ●   ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে কাউখালী থেকে প্রতিনিধি অন্তভূক্ত করা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারী ●   ট্রাম্প বা মোদিকে নিয়ে গণহত্যার অপরাধী আওয়ামী লীগের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নেই ●   কাপ্তাই লেক পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটাবে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পেলো মিরসরাই সমাজকল্যাণ যুব সংস্থা ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্বে ●   খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথম নারী চেয়ারম্যান ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অনুষ্ঠিত ●   এফপিএবি রাঙামাটি শাখার নির্বাচন-২০২৪ সম্পন্ন : সভাপতি সাহিদা আক্তার ও কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম নির্বাচত ●   রাঙামাটি জোনের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার : গ্রেফতার-৪ ●   মিরসরাইয়ের ইকোপার্কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার-১ ●   পার্বতীপুরে ইয়ূথ ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা ●   পানছড়িতে বিএনপির সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ●   কোঠেরপাড় ত্রিরত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহার কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত ●   সবাই দেশ বদলাতে চায়, কিন্তু নিজেদের বদলায় না : সাইফুল হক ●   আত্রাইয়ে বিভিন্ন অভিযোগে আটক-৫
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক

--- সাইফুল হক :: সম্প্রতি ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী - বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যার অমানবিক ঘটনা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র গত ক’দিনে নওগাঁ, লালমনিরহাট, চাপাইনবয়াবগঞ্জ ও ব্রাম্মনবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে পাঁচজন বাংলাদেশী যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। বিএসএফ এখন গুলির পাশাপাশি পিটিয়ে ও ককটেল ছুড়েও বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করছে। কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।আর গত সাত বছরে বিএসএফ এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক, আহত হয়েছেন অনেকে; অপহরনের ঘটনাও অব্যাহত আছে।দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন জেলখানায় আছেন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক। দিল্লিকেন্দ্রীক ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে এসব অমানবিক ও বর্বরোচিত ঘটনার বিশেষ কোন তাৎপর্য আছে বলে মনে হয়না।
গেল মার্চ মাসে ঢাকায় বিজিবি - বিএসএফ এর পরিচালক(ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিএসএফ প্রধান বরাবরের মত আবারও ঘোষণা দিয়েছেন যে, সীমান্তে বাংলাদেশী সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হবেনা; সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা শুণ্যতে নামিয়ে আনা হবে। এই ধরনের ঘোষণা নতুন নয়। বহুবছর ধরে উভয় বাহিনীর মধ্যকার শীর্ষ বৈঠক শেষে এই ধরনের ঘোষণাই দেয়া হচ্ছে।কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। এবারকার বৈঠক ও ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাকাণ্ডের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে চলেছে। বাংলাদেশী নাগরিকদের মাঝেমধ্যে তারা ধরে নিয়ে যায়; তাদের উপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন - নিপীড়ন। সীমান্তবর্তী এলাকার শিশুদেরও রেহাই নেই।
এটা সবার জানা যে, বিএসএফ ও ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী - বিজিবি’র জ্ঞাতসারে ও তাদের যোগসাজশে সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যোগসাজশ ও লেনদেনে সমস্যা হলেই ভারতের সীমান্ত রক্ষী - বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংদেশীদের প্রাণনাশ করে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী অনেক অঞ্চলেই বাংলাদেশীদেরকে জানমালের গুরুতর নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকের মধ্যেই দিনপার করতে হয়।
ইজরায়েল - ফিলিস্তিন সীমান্তের পর সারা দুনিয়ায় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত এখন এক ভয়ংকর সীমান্তের নাম। ভারত - পাকিস্তানের মধ্যে এত বৈরীতা ও তাদের মধ্যে এই দীর্ঘ সীমান্ত থাকলেও সেখানে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নেই।চার বছর আগে বিএসএফ এর হাতে নেপালের এক নাগরিক নিহত হলে ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিবকে কাটমন্ডুতে উড়ে যেয়ে নেপালের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে আসতে হয়েছে।নিহতের গ্রামে যেয়েও পরিবারের কাছে তাদেরকে সমবেদনা জানাতে হয়েছে।বোঝাই যাচ্ছে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা ‘ট্রিগার হ্যাপি ‘ বিএসএফ এর কাছে পোকামাকড় মারার মত ঘটনায় পর্যবসিত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কথিত বাংলাদেশী নিরিহ ও নিরস্ত্র অনুপ্রবেশকারি বা অপরাধীকে সতর্ক করা বা গ্রেফতারের চেষ্টা না করে সরাসরি গুলি করা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
এটা স্পষ্ট যে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফ বাংলাদেশকে দেয়া তার কথা রাখেনি। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের সাথে তারা প্রতারণাই করে আসছে। নিজেদের ঘোষণা নিজেরাই লংঘন করে চলেছে। ক’বছর আগে সীমান্ত হত্যা বন্ধ না
হওয়ার কারণ খোলামেলা উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রখ্যাত মানবাধিকার সংগঠক ও বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) প্রধান কিরীটি রায়।তিনি বলেছেন, ” আসলে ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়না, তাই বন্ধ হয়না।ওরা মুখে এক কথা বলে,আর কাজ করে আরেকটা। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এর শক্ত কোন প্রতিবাদ নেই।তারা ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকে”।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার কিলোমিটার সীমান্তের চার হাজার কিলোমিটারের বেশী ভারত কর্তৃক কাঁটাতারের বেড়া দেয়া।এর মধ্যে বেশকিছুটা আবার বিদ্যুতায়িত করা। বিশ্বের আর কোন সীমান্তে এত দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া নেই। ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন সীমান্ত আর মেক্সিকো - আমেরিকা সীমান্তেও এত বড় তারকাঁটার সীমান্ত নেই।প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক কোন দূর্যোগে দুপাশের মানুষ যে পরস্পরের কাছে আশ্রয় নেবে, সাময়িক নিরাপত্তা খুঁজবে- ভারত তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে।
এটা অত্যন্ত পরিস্কার যে, বিএসএফ তথা ভারতের এসব তৎপরতা কোন সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং ভারত সরকারের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি ভারতের উপেক্ষা ও অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যায়নি। বাণিজ্যিক ভারসাম্য এখনও বাংলাদেশের প্রতিকুলে।বাংলাদেশের বাজার ভারতের পণ্যে সয়লাব হলেও ভারতের বাজারে এখনও বাংলাদেশের পণ্যের উপর রয়েছে শুল্ক ও অশুল্ক নানা বাধা।ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের যে বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল তাও হয়নি। বস্তুতঃ বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট সুবিধাসহ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাদির সমাধান করে দিলেও কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানির লাশের মত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহ এখনও তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।
বাংলাদেশের সরকারসমূহের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব অর্জন , বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশ - ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষেদেরকে রক্ত দিয়ে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।
দুঃখজনক হচ্ছে সরকার সীমান্তে এসব নিরিহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে।কয়েক মাস আগে আমাদের এক বিজিবি সদস্য বিএসএফ এর হাতে নিহত হলেও বাংলাদেশ তার উপযুক্ত প্রতিবাদ করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত সীমান্তবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকরি কোন উদ্যোগ নেই।
গত পনের বছর শাসক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে অবৈধ ও অনৈতিক ক্ষমতার পিছনে ভারতের চরম হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের এককাট্টা মদদ ও সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে তারা ভারতের অনুগত রাষ্ট্রে পরিনত করেছে।সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন পরোক্ষভাবে তার স্বীকারোক্তি দিয়ে চলেছেন।তারা প্রকাশ্যেই বলছেন যে, ভারতের সমর্থনের কারণেই তারা ক্ষমতায় আছেন। সরকারের নীতি নির্ধারকদের এই ধরনের বক্তব্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরী করেছে। এই ধরনের বক্তব্য রীতিমতো দেশবিরোধী অবস্থানের সামিল। সামাজিক গণমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান ও ক্রমান্বয়ে তার বিস্তৃতি এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
এটা সত্য যে, আমরা কেউই আমাদের প্রতিবেশী বদলাতে পারব না।আমরা সমতা, ন্যায্যতা, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমাদের মধ্যকার যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যাদির সমাধান করতে চাই।কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে নানা দিক থেকে চাপে রাখতে যেয়ে পরিস্থিতিকে ক্রমান্বয়ে জটিল ও অস্থিতিশীল করে তুলছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
বৃহৎ অর্থনীতি ও বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ হিসাবে ভারতের সুযোগ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়ন - অগ্রগতির বড় সহযোগী হয়ে গণতান্ত্রিক সম্পর্কের ভিত্তিতে উপমহাদেশে স্বাভাবিক নেতৃত্ব প্রদান করা।ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও সরকারসমূহ সে সুযোগে গ্রহণ করেনি।উল্টো উপমহাদেশের প্রায় সকল প্রতিবেশীর সাথেই ভারতের রয়েছে টানা পোড়েন, বৈরী সম্পর্ক। এ কারণে বৈশ্বিক রাজনৈতিক অর্থনীতিতে এই অঞ্চলের অনেক অপার সম্ভাবনাই বিনষ্ট হয়েছে।
আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ভারতের প্রতি বর্তমান সরকারের অনুগত নীতি কৌশলের কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা নানাদিক থেকে হুমকির মুখে পড়েছে। ভারতের নানা ধরনের সহায়তায় জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে একদিকে সরকার দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণসহ দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো যেমন ধ্বংস করে দিয়েছে, আর অন্যদিকে সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঝুলে থাকা দ্বিপাক্ষিক সমস্যাসমূহ সমাধানেও কার্যকরি কোন উদ্যোগ নিতে পারছে না। এই অবস্থা চলতে দিলে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের উপর ভারতের বহুমুখী চাপ ও হুমকি আরও বৃদ্ধি পাবে; বিপন্ন হবে দেশের সার্বভৌমত্ব,জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা।
২২ এপ্রিল ২০২৪
লেখক -সাইফুল হক
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ।





আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে  মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ
শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ইংল্যান্ডে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ইংল্যান্ডে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন
সানরাইজ  স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ৩০ বছর পূর্তিতে গুনীজন সম্মাননা প্রদান সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ৩০ বছর পূর্তিতে গুনীজন সম্মাননা প্রদান
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
ভারতকে রেল করিডোর দিয়ে বাংলাদেশ কোন বিপদ ডেকে আনছে - সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি ভারতকে রেল করিডোর দিয়ে বাংলাদেশ কোন বিপদ ডেকে আনছে - সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি
কিম জং উন - ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যে ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর কিম জং উন - ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যে ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)