

শনিবার ● ২৮ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা » অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় অস্পষ্টতা দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রধান উপদেষ্টার সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটবেএবং নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করবে।তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টানো ছাড়া অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ নেই।তিনি বলেন, নির্বাচনকে এক ধরনের রাজনৈতিক ব্যবসা ও অর্থবিত্ত গডে তোলার মাধ্যমে পরিনত করা হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াকে অলাভজনক করতে হবে
তিনি বলেন, সেসব কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হয়ে পড়েছে সরকার উচিৎ হবে সেসব ইস্যু থেকে বেরিয়ে আসা। তিনি বলেন, বিদ্যমান সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের দলনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোন কোম্পানিকে লীজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোন সরকার আমাদের প্রধান সমুদ্র বন্দরকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পারেনা।তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এতবড় জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কোন এক্তিয়ার নেই।
তিনি বলেন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর আমাদের অর্থনীতির প্রধান লাইফলাইন। এই বন্দরের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যুক্ত রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বন্দর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কথা বলে কোনভাবেই আমরা বিদেশী কোম্পানির তত্বাবধানে দিয়ে দিতে পারিনা।
তিনি সরকারকে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী সকল তৎপরতা থেকে সরে আসতেও উদাত্ত আহ্বান জানান।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর নিউ ইস্কাটনের বাসভবনে রাজনৈতিক পরিষদের দিনব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় জুলাই - আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তীতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাসব্যাপী কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হয়।