শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে তরুণের গলাকাটা লাশ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ দিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ●   বেতবুনিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ●   বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগ চিকিৎসাক্ষেত্রে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে : চুয়েট ভিসি ●   এসএসসিতে ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসা শীর্ষে : পাশের হার ৯৯.৭৭ ●   মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি ৮ দিন বন্ধ থাকার পর উত্তোলন শুরু ●   জুলাই সনদ নিয়ে তালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না : জুলাই যোদ্ধা সংসদ ●   মিরসরাইয়ে বিরোধের জেরে ভাগিনার ছুরিকাঘাতে মামা খুন ●   গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তীতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা ●   হেফাজত আমীরের সাথে সাক্ষাৎ করলেন শাহাজাহান ●   কাউখালীতে নারী প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের উদ্ভোধনী ●   কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ●   ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের অভিযানে যুবলীগ নেতা সহ গ্রেফতার-৪ ●   নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা, জনশুন্য নবীগঞ্জ : যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক-১৩ ●   গৌতম বুদ্ধের ছয়টি স্মৃতি বিজড়িত আষাঢ়ী পূর্ণিমা ●   লংগদুর৫ ইউপিতে পিসিসিপি’র কমিটি গঠন ●   সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসনে লড়বেন শাহজাহান ●   বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভের দূর্ঘটনায় চীনা কর্মকর্তার মৃত্যু ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিরবিচ্ছিন্ন অর্থায়ন জরুরি ●   ফটিকছড়িতে হেফাজত আমিরের সাথে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ●   রাউজানে দিনদুপুরে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা ●   কয়লাখনির ডেটোনেটর বিস্ফোরণে কবজি উড়ে গেল শিশুর ●   কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন গ্রেফতার ●   পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   নবীগঞ্জে নিহত ২, শহরে ১৪৪ ধারা জারি, আটক-৪ ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করুন ●   চুয়েটে ছাত্রদের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ●   লাশ আনার পথে তারাও লাশ হয়ে ফিরলেন ●   রাঙামাটিতে ইফা’র উদ্যোগে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য শীর্ষক সভা
রাঙামাটি, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বক্তব্য সংবিধান বিরোধী অবস্থান
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বক্তব্য সংবিধান বিরোধী অবস্থান
শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বক্তব্য সংবিধান বিরোধী অবস্থান

--- বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বক্তব্যকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বক্তব্য সরাসরি সংবিধানের ৬ (২) অনুচ্ছেদ বিরোধী এবং ভবিষ্যতে জাতিগত উত্তেজনা উসকে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০’ সংশোধন করে ‘নৃ-বৈচিত্র্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অধ্যাদেশ, ২০২৫ (প্রস্তাবিত)’ প্রণয়নের বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সু প্রদীপ চাকমা।
বৈঠকে দেশের সাতটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
সভার আলোচনায় সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমরা আদিবাসী শব্দটি চাচ্ছি শুধু আমাদের আইডেন্টিফিকেশনের জন্য। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি একসাথে থাকতে চাই। কারণ বাঙালিরা না থাকলে আমাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়।” এই বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় সহাবস্থানের বার্তা থাকলেও, একইসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের দাবিকে সামনে এনে সংবিধান বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রফেশনালসের পরিচালক ও সংবিধান বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই বক্তব্য শুধু সাংবিধানিক পরিভাষার লঙ্ঘন নয়, বরং ভবিষ্যতে জাতিগত রাজনীতি ও সাংগঠনিক আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টার অংশ। ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি শ্রেণি কৌশলগতভাবে নিজেদের জাতিসত্তার বিশেষীকরণ করতে চায়, যা বাংলাদেশের একক ও অভিন্ন জাতিসত্তার ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
তিনি আরো বলেন, “আলোচ্য সভায় ৭ (ঘ) ধারা সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ৬ জন প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব স্পষ্টভাবে সাংগঠনিক একচেটিয়াকে প্রণোদনা দেয়। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব আরও সংকুচিত হবে। এটি সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধানের ৬ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “রাষ্ট্রের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিক হইবে।” অথচ সু প্রদীপ চাকমা নিজেই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হয়ে এই সাংবিধানিক ধারা অস্বীকার করে জাতিগত স্বতন্ত্রতা প্রতিষ্ঠার ভাষায় কথা বলেছেন, যা একজন দায়িত্বশীল পদধারীর জন্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় জাতিগত বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো যায়, তবে সেটিকে সংবিধানবিরোধী রাজনৈতিক দাবিতে রূপ দেওয়া হলে তা দমন করতে হবে আইনি ও নীতিগতভাবে। নইলে পার্বত্য অঞ্চলে সহাবস্থানের পরিবর্তে বিভাজনের রাজনীতি প্রাধান্য পেতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় সরকার ইতোমধ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এসব উদ্যোগ যেন বিভাজন সৃষ্টির হাতিয়ার না হয়-সে বিষয়ে জাতীয়ভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নীতি নির্ধারকরা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)