শিরোনাম:
●   তীরে এসে তরি ডোবাবেন না : সাইফুল হক ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী মামলার আসামিসহ গ্রেফতার-৬ ●   আত্রাইয়ে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন ●   বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমবায় সমিতি এর শুভেচ্ছা বিনিময় ●   কাপ্তাইয়ে জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   কাউখালীতে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   পাচারকালে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবাসহ মিরসরাইয়ে গ্রেফতার-২ ●   রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক নেতাকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ●   ঈশ্বরগঞ্জে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিল মাদকচক্র ●   কাপ্তাইয়ে সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন ●   ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেট সহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি ●   পার্বতীপুরে মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ল্যাপটপসহ ২ লক্ষ টাকার পুরুষ্কার ●   রাঙ্গামাটিতে শিক্ষক, কেয়ারটেকারদের মাসিক সভা ●   ধর্মরত্ন বৌদ্ধ বিহারে কোংন্ওয়ং জাদিতে বুদ্ধ ধাতু স্থাপন ও কঠিন চীবর দান পালন ●   দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন ●   রাঙ্গুনিয়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশ ●   পার্বতীপুরে ধর্ষণ চেষ্টায় জামাই গ্রেপ্তার শাশুড়ির অভিযোগ ●   রাবিপ্রবি’তে শ্রেণি প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে ভিসি’র মতবিনিমিয় সভা ●   প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ●   ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেলের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের তাগিদ ●   কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক ●   মাটিরাঙ্গায় সেনা অভিযানে শান্তি পরিবহন হতে মদ উদ্ধার : আটক-১ ●   ডলুছড়া মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম কঠিন চীবর দান ও স্থবির বরণোৎসব সম্পন্ন ●   ফেব্রুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনকে কোনভাবে ঝুঁকিতে নিক্ষেপ করা যাবেনা ●   চিকিৎসাহীনতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের : আবু হাসান টিপু ●   মিরসরাইয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যসহ গ্রেপ্তার-৯ ●   পদুয়ায় বনভূমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব : প্রভাবশালীর চাঁদাবাজির অভিযোগ ●   চুয়েটে “ফায়ার ড্রিল এন্ড ইকিউ ড্রিল ফর টিচার্স, অফিসার্র এন্ড স্টাফ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   আত্রাইয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ●   নুনছড়ি পাড়া ওয়্যালুওয়াইন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন
রাঙামাটি, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » ফিচার » সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা
প্রথম পাতা » ফিচার » সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা
সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা

---



শারদীয় দূর্গোত্‍সব বাঙ্গালী হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহত্‍ গুরুত্বপূর্ন ও ধর্মীয় সামাজিক উত্‍সব৷ প্রতিবছর শরতকাল এলেই বাঙ্গালীঁজাতি মেতে উঠেন দূর্গাপূজা এই উত্‍সবের আমেজে ৷ ধর্মীয় এক হৃদয় নিংড়ানো মিলন মেলায় পরিনত হয় এই উত্‍সব৷ আর এই উত্‍সবের উত্‍সে অধিষ্টিত হিন্দু পুরানের অন্যতম দেবী হলেন দূর্গা৷ পৌরনিক কাহিনী অনুসারে দেবী দূর্গাই হলেন শিবের স্ত্রী পার্বর্তী ৷ লক্ষী,সরস্বতী,গনেশ ও কার্তিকের জননী তিনিই৷ কিন্তু কেন শিবজায়া
পার্বর্তীর নাম দেবী দূর্গা হল৷ স্কন্দপুরান বর্ননা অনুসারে রুরু দৈত্যর পুত্র দূর্গকে বধ করিেছলেন বলেই পার্বতীর নাম হয়েছে দেবীদূর্গা৷ তবে বাঙ্গালীর দূর্গোত্‍সবে দিবী কিন্তু স্কন্দপুরানের বর্ননামতে দূর্গাসুর বধকারী রুপে তিনি পূজিত নন৷ এখানে তিনি পূজিত হন মহিষাসুর মর্দিনী রুপে৷ দেবী দূর্গার এই আবির্ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় মার্কন্ডেয় পুরানে৷ ভাগবত পুরান অনুসারে ব্রম্মার মানস পুত্র মনু পৃথিবীর শাসনভার পেয়ে ক্ষীরোদ সাগরের তীরে মৃম্ময়ী মুর্তি নির্মান করে দেবী দূর্গার আরাধনা করেন৷ মার্কন্ডেয় পুরান মতানুসারে এই দুগোত্‍সবের আয়োজন করেন রাজা সুরথ৷ আর রাজা সুরথ এই দূর্গাপূজা করেছিলেন বসন্তকালে৷ সেই পূজা অনুসরন করে পৃথিবীর কোন কোন স্থানে দুগোত্‍সবের আয়োজন করা হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে দূর্গাপূজা জনপ্রিয় সময়টা হল শরতকাল৷ শুরুতে শরতকালে দুগোত্‍সব করেন শ্রী রাম চন্দ্র৷ কৃর্তিবাস রামায়ন অনুসারে রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে লংকাধিপতি রাবন আকুল সুরে দেবীর স্তব শুরু করলেন৷ রাবনের কাতর স্তবে দেবীর হৃদয়ে করুনার উদ্রেক হল৷ রাবনকে অভয় দিলেন তিনি৷ সম্পূর্নরুপে অনাকাংখিত এই খবরে খুুব আশংকিত হলেন রাামচন্দ্র৷ দেবতার এ খবরে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লেন৷ দেবরাজ ইন্দ্র ব্রম্মার কাছে গেলেন৷ এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে পরিত্রান পাবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানালেন ব্রম্মাকে৷ ব্রম্মা রামের কাছে গিয়ে দূর্গা পূজা করার জন্য আবহান জানালেন৷ দূর্গাপূজাই হল এই সংকট থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায়৷ কিন্তু বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের দূর্গাপূজা সাধারনত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ট দিন ষষ্টী থেকে দশম দিন অর্থাত্‍ বিজয়া দশমী দিন পর্যন্ত পাচঁদিন অনুষ্টিত হয়৷ এই পাচঁটি দিনের পূজা যথাক্রমে দূর্গষষ্টী, মহাসপ্তমী, মহাষষ্টী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত৷ দূর্গাপূজা এই পাচঁদিনসহ সমগ্রপক্ষটিকে দেবীপক্ষ সামে আখ্যায়িত করা হয়৷ আর দেবী পক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবশ্যার দিন থেকে৷ এই দিইট “মহালয়া” নামে পরিচিত৷ অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি হয় পঞ্চদশ দিন অর্থাত্‍ পূর্ণিমায়৷ এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত এবং বার্ষিক লক্ষীপূজার দিন হিসাবেও গন্য হয়৷ দূর্গাপূজা মূলত পাচঁ দিনের অনুষ্টান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উত্‍সবের সূচনা হয় এবং কোজাগরী লক্ষীপূজায় হয় তার সমাপ্তি৷ বাংলাদেশে দূর্গোত্‍সবের বহুল প্রচলিত রুপ অর্থাত্‍ মহিষাসুর মর্দিনীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় মার্কন্ডেয় পুরানে৷ মূল পুরানটি চতুর্থ শতাব্দিতে রচনা হলেও দূর্গাপূজা বিবরন সম্বলিত সপ্তশতীতে রয়েছে ৯ম-১২শ শতাব্দির মধ্যকার সময়ের নির্মিত একাধিক মহিষাসুর মর্দিনীর মুর্তিও৷ তবে সেই সব মুর্তিতে মহিষাসুর মর্দিনী কিন্তু পরিবার সমন্বিতা নন৷ উপমহাদেশে জমিদারী প্রথা বিলোপের পর শারদীয় দূর্গপূজায় জমিদারদের অংশ গ্রহন স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা কমে যায়৷ নব্য ধনীক শ্রেনীর উদ্ভবের পরিপ্রেক্ষিতে দূগোত্‍সব আয়োজক কমিটিতে যুক্ত হয় অনেক নতুন নতুন মূখ৷ তবে প্রতিটি দুর্গোত্‍সবই তখনকার সময় আয়োজিত হত সম্পূর্ন একক উদ্যোগে৷ আনুমানিক ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায় ঘটে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা৷
গুপ্তিপাড়ার একটি ধনী পরিবারের আকস্মিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে অনিশ্চয়তার সন্মূখীন হয় ঐ বাড়ীটির বাত্‍ষরিক দূর্গাপূজার আয়োজন৷ তখন গুপ্তিপাড়ায়ার ১২ জন বন্ধু মহলের যুবক এগিয়ে আসেন যৌথ উদ্যোগে দূর্গাপূজা পালন করার জন্য৷ এই ১২ জন ইয়ার বা বন্ধু সংঘবদ্ধভাবে গ্রহন করে পূজা পালনের সার্বিক দায়িত্ব৷ আর গুপ্তিপাড়ার এই পূজাটি মানুষের কাছে পরিচিত হয় “বারোইয়ারী” বা বারোয়ারী পূজা নামে৷ এই বারোয়ারী পূজার সুত্র ধরে একক উদ্যোগে সম্পাদিত দুর্গাপূজাই আজ পরিনত হল সার্বজনীন শারদীয় উত্‍সবে৷ ধনীর আঙ্গিনা থেকে দূর্গাপূজা নেমে এলো অনেকটা সাধারন মানুষের সাধ্যের মাঝে৷ গুপ্তিপাড়ার আদর্শ অনুসরন করে সম্মিলিত উদ্যোগে বারোয়ারী পূজা ছড়িয়ে পড়ল ভারতীয় উপমহাদেশসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে৷ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের এই নৈকট্য সাধারন মানুষকে সাহস জোগালো দুর্গাপূজা মতো সর্ববৃহত্‍ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্টানে বিত্তশালীদের একচেটিয়ে অধিকারে ভাগ বসানোর৷ ব্যক্তি বা বারোয়ারীর সীমা ছাড়িয়ে দূর্গাপূজা আজ পরিনত হল সার্বজনীন শারদীয় উত্‍সবে৷ ভারতবর্ষে ব্রিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন যখন জোরদার হয়ে উঠল তখন মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের পাশাপাশি সশস্ত্র বিপবের পথে স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টাও চলল সমানে তালে ৷ ইংরেজদের নজর এড়াতে দুর্গোত্‍সবকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে লাগল বিপ্লবীরা৷ ধর্মীয় অনুষ্টানে ছদ্মাবরনে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে সংঘবদ্ধ করার একমাত্র উপায় হল এই শারদীয় দূর্গাপুজা৷ কালের পরিক্রমায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান হল৷ বিভাজিত হয়ে পড়ল অবিভক্ত বাংলা৷ পাকিস্থান অপশাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে বিভাজিত বাংলার পুর্বাঞ্চল রুপান্তরিত হল বাংলাদেশ নামের একটি নতুন স্বাধীন রাষ্টে৷ আর বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষের অসামপ্রদায়িক প্রবনতা শারদীয় দূর্গাত্‍সবকে আজ পরিনত করল প্রকৃত অর্থেই বাঙ্গলীর সার্বজনীন উত্‍সবে৷ বছর ঘুরে এই সার্বজনীন দূর্গাপূজা এলেই বাঙ্গালী হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন মেতে উঠেন এক আনন্দ উত্‍সবের আমেজে৷ এই প্রানবন্ত আমেজ সকলের মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা বয়ে আনুক৷
লেখকঃ- প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,নবীগঞ্জ।
আপলোড : ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : সন্ধ্যা ৬.২০ মিঃ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)