শিরোনাম:
●   জনগণকে কষ্টে রেখে ক্ষমতায় থাকা যায় না : মোমিন মেহেদী ●   জব্দকৃত টেপেন্টার মূল আসামি প্রান্ত পুলিশ লাইনের মালি ●   মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খান এর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক ●   ২০১৮ সালের মত সংলাপে কোন কুটকৌশলে এবার কেউ বিভ্রান্ত হবেনা ●   খাগড়াছড়িতে বিজিবি’র আন্তঃ ব্যাটালিয়ন কুস্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ●   নিখোঁজের ৪দিন পর মোটরসাইকেল চালকের গলিত লাশ উদ্ধার ●   কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত ●   আত্রাই উপজেলায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আত্রাই শুকটিগাছা রাবার ড্যামের কাজ শুরু ●   গাজীপুরে অজ্ঞাত মহিলার মরদেহ উদ্ধার ●   ঊনসত্তর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাণের উৎসবে মিলিত হলো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ●   আটক স্লিপ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক সার্জেন্টে সুব্রত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই ইজিবাইকসহ ঘর আগুনে পুড়ে ছাই ●   খাগড়াছড়ি আদালতে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ●   বিশ্বনাথে ট্রান্সফরমার চুরির মামলায় আটক-৩ ●   ঘোড়াঘাটে বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন ●   মুনতাহা কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার’র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   গাইনি চিকিৎসকের অবহেলায় আবারো বন্ধ হতে যাচ্ছে অপারেশন কার্যক্রম ●   ঝালকাঠিতে ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা’ উদ্বোধন করেন পলক এমপি ●   সরকার শান্তিপূর্ণ পথে বিদায় না নিলে গণসংগ্রামে পথে দেশের মানুষ তাদেরকে বিদায় দেবে ●   রাউজানে হত্যার ঘটনায় ইদ্রিস মিয়া গ্রেপ্তার ●   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ●   সরকার যদি পুরো বাংলাদেশে অটোরিক্সা বন্ধ করে দেন, বিশ্বনাথেও ইজি বাইক বন্ধ রাখবেন ●   নবীগঞ্জে স্মাট ভূমি সেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন ●   গ্রেটার দেউলগ্রাম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে-র নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ●   শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক অনির্বাণ বড়ুয়া ●   সরকার ও সরকারি দল বেসামাল হয়ে দেশকে ভয়ংকর বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ●   তীব্র গরমে বাড়েছে তালশাঁসের কদর ●   আগামীকাল ২৩ মে বেলা ১১ টায় গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা দক্ষিণের পদযাত্রা ●   মায়ের সাথে অভিমানে ছেলের আত্মহত্যা ●   দুর্ধর্ষ মকরম ডাকাত চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার
রাঙামাটি, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘জাঁত’ শব্দটি শুধু অতীতের গল্প
প্রথম পাতা » কৃষি » কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘জাঁত’ শব্দটি শুধু অতীতের গল্প
১২৫ বার পঠিত
সোমবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘জাঁত’ শব্দটি শুধু অতীতের গল্প

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি পেশার ওপর নির্ভরশী। এক সময় ফসলে পানি সেচের আদি যন্ত্র ছিল জাঁত। যা কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘জাত’ শব্দটি শুধু অতীতের গল্প হয়ে রয়েছে।

আদিকালে পানি সেচের অন্যতম মাধ্যম ‘জাঁত’ এর অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নাম থাকলেও উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা একে জাঁত বলেই চেনেন। এক সময় এই জাঁতের ব্যবহার ছিল গ্রাম-বাংলার প্রায় প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে। এখন জাঁত চলে গেছে জাদুঘরে। কৃষক হয়ে পড়েছে যন্ত্রনির্ভর।

আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় মাঝখান দিয়ে একে বেকে বয়ে চলেছে নদী-নালা ও ডোবা থেকে জাঁতের মাধ্যমে পানি সেচে কৃষক জমিতে ফসল ফলাতো।

উপজেলার বিভিন্ন প্রবীণ লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খালবিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে ‘জাঁত’ ছিল অতুলনীয়। গ্রাম-বাংলার কৃষকের আদি চিন্তা-চেতনার ফল ছিল এ কাঠের জাঁত আবিষ্কার।
আম অথবা কাঁঠালজাতীয় গাছের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানে খোদাই করে ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কোনো কোনো স্থানে নারিকেল, তাল, জিগা, সুপারি ও পাইন গাছ দিয়েও এ জাঁত তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে কাঠের তক্তা দিয়েও এ দোন তৈরি করা হয়। এতে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া অন্য কোনো খরচ হয় না।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ বলেন, ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে জাঁতের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় জাঁতের ব্যবহার এখন আর নেই।

উপজেলা বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মজিদ মন্ডল বলেন, নদী-নালা ও বিলে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এসব নদী-নালা ও বিল থেকে জাঁতের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতির।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, বাংলার কৃষির আদি ঐতিহ্য অনেক কৃষক এখনও শখের বসে কিছু যন্ত্র ধরে রেখেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এসব আদি যন্ত্র একটি শিক্ষনীয় বিষয়। শখের বসে এসব আদি যন্ত্রের ব্যবহার কৃষিতে কৃষকের আগ্রহ ও ভালবাসার বহি:প্রকাশ। শুধু এসব আদি যন্ত্রপাতি নয় কৃষক এখন বিষমুক্ত বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে বিভিন্ন দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। যা মানব স্বাস্থ্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য অপরিহার্য।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)