শিরোনাম:
●   প্রেমের টানে পাকিস্থানি তরুণী বাংলাদেশে ●   আগামীকাল ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকার ●   ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ইলেন ভুট্টো ●   বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ●   দিনাজপুর-৫ মনোনয়ন প্রত্যাশী নূরুল হুদা বাবু’র সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় ●   কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দিন ●   বাজুস এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন এনামুল খান দোলন ●   বাজুস এর নতুন সহ-সভাপতি হলেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   মুসমানের সেকুলারিজম হওয়ার কোন সুযোগ নেই ●   ভোটে কোটি টাকা খরচকারীদের চক্র ভাঙ্গতে হবে : ব্যারিস্টার ফুয়াদ ●   রাজাভুবন বিদ্যালয় পরিদর্শনে হুমাম কাদের চৌধুরী ●   মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন ●   বেতবুনিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   তীরে এসে তরি ডোবাবেন না : সাইফুল হক ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী মামলার আসামিসহ গ্রেফতার-৬ ●   আত্রাইয়ে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন ●   বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমবায় সমিতি এর শুভেচ্ছা বিনিময় ●   কাপ্তাইয়ে জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   কাউখালীতে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   পাচারকালে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবাসহ মিরসরাইয়ে গ্রেফতার-২ ●   রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক নেতাকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ●   ঈশ্বরগঞ্জে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিল মাদকচক্র ●   কাপ্তাইয়ে সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন ●   ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেট সহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি ●   পার্বতীপুরে মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ল্যাপটপসহ ২ লক্ষ টাকার পুরুষ্কার ●   রাঙ্গামাটিতে শিক্ষক, কেয়ারটেকারদের মাসিক সভা ●   ধর্মরত্ন বৌদ্ধ বিহারে কোংন্ওয়ং জাদিতে বুদ্ধ ধাতু স্থাপন ও কঠিন চীবর দান পালন ●   দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন ●   রাঙ্গুনিয়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশ
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » ঐতিহ্যবাহী সেই খেজুরের রস হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলা থেকে
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » ঐতিহ্যবাহী সেই খেজুরের রস হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলা থেকে
শনিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঐতিহ্যবাহী সেই খেজুরের রস হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলা থেকে

---হাসান আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::পটুয়াখালীর উপজেলাগুলোতে শীতের সকালে বছর কয়েক আগেও চোখে পড়তো রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জাম সহ গাছিদের ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাকডাক দিতেন। শীতের মৌসুম শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি চলতো খেজুরের রস কিংবা রসের পাটালি গুড় দিয়ে মজাদার পিঠাপুলির আয়োজন।

এছাড়া খেজুরের রস দিয়ে তৈরি ঝোলা গুড়ের নাম রয়েছে দেশব্যাপী। তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। এর প্রধান কারণ বিভিন্ন কারণে খেজুর গাছ নিধন করছে মানুষ। এতে দিনে দিনে পটুয়াখালীতে কমছে খেজুরের গাছ। দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে খেজুরের রস।

এদিকে, শীত মৌসুম ঘনিয়ে আসতেই পটুয়াখালীর উপজেলাগুলোতে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছের রস আহরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন গাছিরা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক এই মধুবৃক্ষ (খেজুর গাছ) ঘিরে গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। তুলনামূলকভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে খেজুর গাছ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

গ্রামের মাঠে আর মেঠোপথের ধারে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই খেজুরগাছ অস্তিত্ব আজ সঙ্কটে। যে হারে খেজুরগাছ নিধন হচ্ছে সে তুলনায় রোপণ করা হয় না।

শীত মৌসুমে সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে শেষ করা যাবে না। আর খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েস তো খুবই মজাদার। এ কারণে শীত মৌসুমের গ্রামাঞ্চলে রসের ক্ষীর, পায়েস ও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শুধু খেজুরের রসই নয়, এর থেকে তৈরি হয় গুড় ও প্রাকৃতিক ভিনেগার। রস আর গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা ৩নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ইউনুচ মৃধা বলেন, কাঁচা রসের পায়েস খাওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারি না। আমাদের নাতি-নাতনীরা তো আর সেই দুধচিতই পিঠা, পুলি-পায়েস খেতে পায় না। তবুও ছিটেফোঁটা তাদেরও কিছু দিতে হয়। তাই যে কয়টি খেজুর গাছ আছে তা থেকেই রস, গুড়, পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়।

একই উপজেলার ময়দা গ্রামের মো. রহিম জানান, গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এক সময় উপজেলা খেজুর রসের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখন গাছ যেমন কমে গেছে তেমনি কমে গেছে গাছির সংখ্যাও। ফলে প্রকৃতিগত সুস্বাদু রস এখন আর তেমন নেই। তবুও কয়েকটা গাছের পরিচর্যা করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি হাছিরা ।

গাছি মো.আব্দুল চৌকিদার জানান, খেজুরের গাছ কমে যাওয়ায় তাদের চাহিদাও কমে গেছে। আগে এই কাজ করে ভালোভাবেই সংসার চালাতেন। এমনকি আগে যে আয় রোজগার হতো তাতে সঞ্চয়ও থাকতো, যা দিয়ে বছরের আরো কয়েক মাস সংসারের খরচ চলতো।আমড়াগাছিয়া গ্রামে যে কয়েকটা খেজুর গাছ আছে তা বুড়ো হয়ে যাওয়ায় রস তেমন পাওয়া যায় না। রস বাজারে বিক্রির মতো আগের সেই অবস্থা নেই। তিনি আরও জানান, এইতো বছর কয়েক আগে এক হাড়ি খেজুর রস বিক্রি করতাম ৫০ টাকা। এখন খেজুর গাছ না থাকায় সে রসের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা।

জানা গেছে, অনেক সময় ঘরবাড়ি নির্মাণ করার জন্য খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয় এবং পুকুর ডোবায় গাট দেয়ার কারনেও খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয়। ফলে দিন দিন খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)