শিরোনাম:
●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ●   খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত ●   শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ●   স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ ●   সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই ●   কুষ্টিয়াতে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় ভাতিজা নিহত ●   আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ●   রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন ●   প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ●   এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : বিয়ানীবাজারে প্রতিক বরাদ্দ ●   রাঙামাটি লেকসিটি নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন ●   তহসিলদার শরিফুলের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ●   ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকা ইজারা বকেয়া আদায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ●   গুইমারায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রেফতার ●   মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার করা সেলিমের কিডনি সচল অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভোগছেন ●   দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা ●   সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে ●   পাইন বাগান নব নির্মিত মাদরাসার ভবন ও হেফজ খানার উদ্বোধন ●   বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক ●   ঘোড়াঘাটে ট্রাক চাপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর মৃত্যু ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েটে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ●   ঝালকাঠিতে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ
৫০১ বার পঠিত
রবিবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনাইদহে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ

---জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: হারিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের ঐতিহ্য “মধু বৃক্ষ” খেজুর গাছ। একসময় খেজুরের রস ও গুড় প্রসদ্ধ ছিল। মার্কেটে এর চাহিদা ছিল প্রচুর দহ জেলার কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ শীতকালীন সময়ে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল ছিল খেজুর গাছের উপর। সেই হিসেবে খেজুর গাছ অর্থকারী ফসলের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এখন আর খেজুর গাছের উপরে ভরসা করছে না। প্রায় ৯’শ বছর পূর্বে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে খেজুর গাছ ছিল। কৃষকরা খেজুর বাগান তৈরী করতো বানিজ্যিক ভাবে। প্রাকৃতিক ভাবেও এটা জন্মাতো। এই খেজুর গাছ কে ঘিরে তৈরী হতো মহল। যারা গাছ কাটে তাদেরকে বলা হতো গাছী এবং রস জালানোর আকাকে বলা হতো বান, হাড়ীকে বলা হতো জ্বালা, টিনের গুলিকে বলা হতো তাপাল। বৃটিশ আমলে ঝিনাইদহ জেলায় খেজুরের চিনি উৎপাদনের জন্য প্রচুর কারখানা গড়ে ওঠে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ,মহেশপুর ও যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায় প্রচুর পরিমান খেজুরের গুড় ও চিনি উৎপাদনের কথা শোনা যেত। কপোতাক্ষ নদের কোল ঘেষে চিনি উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠেছিল। খেজুরের চিনি তৈরী করতে পাট্টা শেয়ালার প্রয়োজন হতো বৃটিশ অমলে বঙ্গদেশে খেজুরের গুড় থেকে চিনি তৈরীর প্রধান কারখানা ছিল কোটচাঁদপুরে। সে সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন গরুর গাড়ীতে করে গুড় বিক্রির জন্য কোটচাঁদপুরে আসতো। কপোতাক্ষ ও ভৈরব নদী দিয়ে লঞ্চ ও বড় বড় নৌকা দিয়ে বরিশাল ও নোয়াখালী জেলায় ব্যাবসায়ীরা খেজুরের গুড় নিয়ে যেত এবং সেখান থেকে অন্য মালামাল বৃহত্তর যশোর জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হতো। উনবিংশ শতাদ্বীর প্রথম ভাগে ইউরোপ হতে চিনি কারবার করতে এ দেশে আসে মি. ব্লেক সাহেব পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার (ভারত) বাগদা নামক স্থানে প্রথমে খেজুরের গুড় থেকে চিনি প্রস্তুত কারখানা হয়। কিন্তু সেখানে প্রচুর লোকসান হতে থাকে। কোটচাঁদপুর এই চিনির ব্যবসার সুনাম থাকায় চিনি কোম্পানি পর্যায়ক্রমে চৌগাছায় চিনির কারখানা চালু করেন কলকাতার গ্লায়েটান উইল এন্ড কোং এবং এর ম্যানেজার ছিলেন ম্যাকলিয়ড সাহেব। ১৮৬১ সালের দিকে এই অঞ্চলে অনেক কারখানা গড়ে উঠে। ইউরোপীয়দের মতে চিনি ছাড়াও মদ তৈরী করা হতো। কারখানা ক্রমেই লোকসানের পরিমান বেশী হওয়ায় ১৮৮০ সালে মিঃ নিউ হাউস বিক্রি করে দেন এমেট চেম্বার্স কোম্পানির নিকট। ১৮৭৪ সালের একটি হিসাব মতে, কোটচাঁদপুর ৬৩টি চিনি কারখানা চালু ছিল। ১৯০৯ সালের পর চিনি শিল্প বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত দুই বাংলায় গুড়ের ব্যবসা ছিল জমজমাট। মহেশপুর অঞ্চলের লোকজন পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার মাজদে বাজারে গুড় বিক্রি করে সাপ্তাহিক বাজার করে নিয়ে আসতো। দেশ স্বাধীনের পর এ অঞ্চলের অধিকাংশ খেজুরের গুড় রপ্তানি করা হতো সিলেট অঞ্চলে। বর্তমানে খেজুর গাছ নিধন এবং বানিজ্যক ভাবে চাষ না হওয়ায় খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন ও কালীগঞ্জ শহরে বিশাল গুড়ের হাট রয়েছে। সাপ্তাহিক ২ টি হাটে প্রায় ৫ থেকে ৭ ট্রাক গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চলে যায়। এ হাটে পায়কারি হিসাবে গুড়ের ভাড় বিক্রি হয়। একসময় কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে বড় বড় ব্যবসায়িরা গুড় ষ্টক করে রাখতো। দাম বেশি হলে তারা বিক্রি করতো।





আর্কাইভ