রবিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » দৈনিক ভোরের চেতনা ২৬ বছরে পদার্পণ
দৈনিক ভোরের চেতনা ২৬ বছরে পদার্পণ
স্টাফ রিপোর্টার :: শনিবার ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাঙামাটি পলোয়াল পার্ক ও কটেজে প্রতিনিধি সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলা, অঞ্চলের প্রতিনিধিগণ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের যে কয়টি পর্যটন জেলা রয়েছে তারমধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা অন্যতম। রাঙামাটিতে বেষ্টিত পাহাড় এবং খুবই চমৎকার হ্রদ রয়েছে। পাহাড় এবং হ্রদ! এই দুইটি সৌন্দর্য একসাথে দেখতে হলে অবশ্যই রাঙামাটি আসতে হবে। সত্যিকার অর্থে রাঙামাটি একটি সুন্দর জেলা। এই জেলার সুন্দর দিকগুলো যদি দেখতে চান। ১ দিনে তা সম্ভব হবে না। কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে হবে। তাহলে রাঙামাটিতে অনেক ইনজয় পাওয়া যাবে।
দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকা’র ২৬ বৎসরে পদার্পণ। ২৬ বছর মানে তারুণ্যের প্রতীক, ২৬ মানে একটি তারুণ্যের শক্তি মনে করতে পারি। ২৬ বছর কিন্তু কম না। অনেকটা লম্বা সময় ধরে পত্রিকা টিকে আছে। তাদের সংবাদ পরিবেশনার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে ২৬ বছর ধরে পত্রিকাটি প্রকাশিত হচ্ছে বলে আমি মনে করছি।
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে ডিসি বলেন, বিশেষ করে আমি মনে করি যারা সাংবাদিক বা যারা সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। আপনাদের কিন্তু অনেক পড়ালেখা করতে হবে। জ্ঞান থাকতে হবে সকল বিষয়ের। যা মনে আসবে; পত্রিকায় তা লিখে দিলেন। সাংবাদিকতার মানে সেটা নয়। আপনি যে বিষয়ের উপর নিউজ করবেন। সেটার সঠিক স্টাডি করে নিউজ করতে হবে। এমন অনেক পত্রিকা আমি দেখি। শতভাগ ভুয়া নিউজ ছাপানো হয়েছে। একটা ভুয়া নিউজের কারণে একজন ব্যক্তির বা সমাজের কতটুকুন ক্ষতি হতে পারে এটা চিন্তার বিষয়। সুতরাং যে নিউজ আমি করবো সেটা ভালো করে যাচাই-বাছাই করে তারপর করবো। মাত্র ফাইভ পর্যন্ত পরে দুই কলম লেখে এমন অনেকেই সাংবাদিকতা করছেন। তাহলে তার অবস্থা এমনই হবে। সবশেষে আমি এটাই বলবো, আপনি যে বিষয়ের উপর নিউজ করবেন বা যে, জেলার নিউজ করবেন, পাশাপাশি ওই জেলার ভালো দিকগুলা লিখলে জেলাটির সুনাম তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেশ এবং বিদেশে তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে।
উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন, স্বাগত জানিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙামাটি প্রতিনিধি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এ.কে.এম. মকছুদ আহমেদ, বলেন, রাঙামাটি হোক, চট্টগ্রাম হোক, ঢাকা হোক বা বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে একটি পত্রিকা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া, প্রকাশ করা। এটা অত্যন্ত একটি কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে বর্তমানে সংবাদপত্রের অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমান সময়ে পত্রিকা টিকিয়ে রাখা কতখানি কঠিন ব্যাপার, এ বিষয়টা আমি বুঝি।
আমাদের পার্বত্য অঞ্চল (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এই তিনটি জেলায় ব্যক্তিগত (প্রাইভেট) কোন বিজ্ঞাপন নেই। সম্পূর্ণ সরকারী বিজ্ঞাপনের উপরে নির্ভরশীল। কিছু অফিস আমাদেরকে ছোটখাটো বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা যে, জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকা’র ২৬ বছরে পদার্পণ করছেন। নতুন বছরের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়, আলোচনা সভার এই আয়োজন করছেন। এটি তো আরো কঠিন ব্যাপার ও অত্যন্ত সাহসের ব্যাপার। এই জাতীয় দৈনিক পত্রিকাটা আপনারা টিকিয়ে রাখবেন।
পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনারা আপনাদের নিজেদের বিষয় তো দেখবেন এবং তার সাথে প্রতিনিধিদের বিষয়টাও বিবেচনা করবেন। আমি ১৯৬৯ থেকে দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতা শুরু। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকয় ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আছি। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাথে জড়িত রয়েছি। আমি ১৯৮২ সাল থেকে ৮৭ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ গ্রামীণ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ছিলাম। ওই সময আমি সারা দেশ ঘুরে দেখেছি। পত্রিকার নীতিমালা সম্পর্কে আমার বেশ ধারণা রয়েছে।
পত্রিকার সকল প্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হলুদ সাংবাদিকতার বিপক্ষে আমার অনেক লেখনি রয়েছে। সবসময় আমি এ বিষয়ে বলাবলি করি। আমার সাংবাদিকতার ৫৫ বৎসর পার করেছি। আমি শুরু থেকেই হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে আসছি। আজ আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, অপ-সংবাদিকতা থেকে আপনারা অবশ্যই দূরে থাকবেন।





রাঙামাটিতে দৈনিক সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন
মহান বিজয় দিবসে রাঙামাটি জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি
কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
রাঙামাটিতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে বিজিবির শ্রদ্ধা
রাবিপ্রবি’তে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস উদযাপন
রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী