

বুধবার ● ২৮ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে
ফটিকছড়িতে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি :: প্রচণ্ড তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন। আর এর মাঝেই একটু স্বস্তি পেতে সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধু মাসের ফল তাল শাঁসের কদর বেড়েছে। প্রচন্ড গরমে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভালই বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি ফল তাল শাঁস।
সরেজমিনে উপজেলার নাজিরহাট,বিবিরহাট,নানুপুরসহ
বিভিন্ন বাজার মোড়ে মোড়ে হরদমে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। আবার কোথাও কোথাও ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাতেও ঘুরে ঘুরে তাল শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
এ কথায় তাল শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে।
তবে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক একটি তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
জানা যায়,উপজেলায় তাল গাছের সংখ্যা খুবই কম। বলতে গেলে বিলুপ্তের পথে এ গাছ। যার ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য দেশের বিভিন্নস্থান থেকে তাল শাঁস সংগ্রহ করে বিক্রি করতে হয় বলে খরচ বেশি পড়ে বলে জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতা আনোয়ার বলেন,বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গরম বাড়ার কারণে এখন তালের শাঁসের বিক্রি বেশ ভালো। তাই তালের শাঁসের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রতা জামশেদ বলেন,তাল শাস খুব মজাদার একটি ফল। তাল শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি হলেও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের।
ক্রেতা মোহাম্মদ আবুল বশর বলেন,পরিবারের সকলের জন্য তাল শাঁস নিলাম। এ গরমে তাল শাঁস খেতে খুব মজা।
ক্রেতা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন,এক সময় দুই টাকা থেকে পাঁচ টাকা তাল শাঁস বিক্রি হত। তখন তেমন চাহিদাও ছিলনা। এখন চাহিদাও বেড়েছে সাথে দামও বেড়েছে।
শিক্ষার্থীর কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ব্যবসায়ী
ফটিকছড়ি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নাজিরহাট পৌরসভায় গাড়িতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা
ফেরত দিয়েছেন বাজারের এক ব্যবসায়ী।
বুধবার ২৮ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে টাকার প্রকৃত মালিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ওই টাকা ফেরত দেন ব্যবসায়ীর নাম দ্বীন মোহাম্মদ (৪৫)।
তিনি নাজিরহাট বাজারের সিটি সেন্টারের পুস্পা টেইলার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায় বসবাস করেন।
জানাগেছে, গত মঙ্গলবার সকালের দিকে নাজিরহাট বাজারে যাওয়ার পথে একটি রিক্সাভ্যাটে উঠেন ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ। উঠেই তিনি সেখানে কিছু টাকা ও কাগজপত্র কুড়িয়ে পান। কাগজপত্রের লেখার সূত্রধরে তিনি টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে থাকেন। জানতে পারেন ওই টাকাটা নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে অবহিত করে বিষয়টি নিশ্চিত হন তিনি।
সেই অনুযায়ী নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার চৌধুরীর মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর টাকা ও কাগজপত্র ফেরত দেন তিনি।
ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘রিক্সাভ্যানে উঠে দেখি গাড়ির প্যাঁদানিতে কিছু টাকা ও কাগজপত্র। এসব কোন এক শিক্ষার্থীর বুঝতে পেরে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে টাকাটা তার হাতে তুলে দিয়েছি।’
নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার চৌধুরী বলেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া ওই ব্যবসায়ী প্রথমে মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে জানান। পরে টাকা এবং কাগজপত্রগুলো এনে বিদ্যালয়ে জমা দেন। সব ঠিকঠাক মিল পাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীর হাতে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়।’
হারানো টাকা ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল আদন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সততায় ভরা মানুষ খুবই বিরল। তিনি সততার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’