শিরোনাম:
●   রাউজানে এলজি ও কার্তুজ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযুদ্ধা সমরেন্দ্র দাশের পরলোক গমন ●   বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   শিশু সন্তানকে ফেলে সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া, বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার স্বামী ●   দীপু দাসের লাশকে ঝুলিয়ে পোড়ানোর বিভৎসতা গণআতংক তৈরী করেছে ●   ইট ভাটা চালুর দাবিতে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ ●   কাউখালীতে ফেরিওয়ালা নিখোঁজ ●   ঝালকাঠিতে সাবেক মেয়র রানা আটক ●   দেখা নেই সূর্যের, আত্রাইয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা ●   রাউজান যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা ●   পার্বতীপুরে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ●   রাউজানে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার ●   আক্রান্ত প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবন পরিদর্শনে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ●   কাপ্তাই হ্রদে কায়াকিং করার সময় পর্যটকের মৃত্যু ●   ঈশান তালুকদার বাড়ী মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে আচারিয পূজা, অষ্ট পরিস্কার ও সংঘদান অনুষ্টান অনুষ্ঠিত ●   ৬ দফা দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ●   ঝালকাঠিতে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত ●   জেসিএক্স এর তিনদিন ব্যাপী আবাসন মেলা শুরু ●   ঝালকাঠিতে হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ●   হাদি হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ●   দৈনিক পথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী ঘটনা ●   হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ●   কাউখালীতে ইউপিডিএফ কালেক্টরের আস্তানায় মদ তৈরির সরাঞ্জাম ও চাঁদার রশিদ উদ্ধার ●   বড়দিন উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা ●   খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তিতে প্রকাশনা উৎসব ●   আত্রাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ ‘কচ জাল’ জব্দ ●   মিরসরাইয়ে অবৈধ বালু মহালে যৌথ অভিযান ●   ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত ●   মায়ের মোবাইল আসক্তিতে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের মূখপাত্র নির্মল বড়ুয়া মিলনের জন্মদিনে বড়ুয়া নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মঙ্গলবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

--- রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর প্রতিনিধি :: দেশের একমাত্র লাভজনক দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য খোলাবাজারে কয়লা বিক্রির দাবীতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ সোমবার ২২ ডিস্মেবর বেলা ১২টায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম শিকদার বলেন, দেশের একমাত্র লাভজনক বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিটি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে। ২০০৫ সাল হতে বানিজ্যিকভাবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। উত্তোলন শুরু হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত খনিটি সাফল্যের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত কয়েক বছর অর্থাৎ ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৬-১৭ করবছরে জাতীয় পর্যায় করদাতা হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে। যা কয়লা খনির জন্য একটি বড় অর্জন। সরকারি রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস হিসেবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বিশেষ ভূমিকা পালন কর আসছে। ২০০৫ সাল হতে এ পর্যন্ত ভ্যাট, ট্যাক্স, রয়্যালটি, কাস্টম ডিউটি ও অন্যান্য রাজস্ব বাবদ প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে সরকারি রাজস্ব আয়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান যখন লোকসানের সম্মুখীন, তখন আমাদের এই গর্বের খনি শুরু থেকেই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। অতীতে কয়লা স্থানীয় ইটভাটা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হলেও মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে বর্তমানে কেবল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। কিছু দীর্ঘদিন ধরে বড়পুকুরিয্য তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় কয়লা ব্যবহৃত হচ্ছে না। কোল ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে বর্তমানে ৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কোল ইয়ার্ডের কয়লা মজুত নিরাপদ মজুত উচ্চতার চেয়ে অনেক বেশী। স্বাভাবিকভাবে কয়লার মজুত ৫-৭ ফুট উচ্চতায় রাখা হয়। বর্তমানে প্রায় ৫০ ফুটের বেশী উচ্চতায় কয়লা জমে রাখার ফলে পাহাড় ধ্বসের মতো ধসে পড়েছে। বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে হাইওয়ে সড়ক বন্ধ হওযার উপক্রম করেছে। একদিকে, পিডিবি কয়লা ব্যবহার করতে পারছে না। ডমিস্টিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তাদের কাছে কয়লা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনির উৎপাদন ব্যয় প্রতি টন ১৭৬ ডলার অথচ পিডিবি কয়লা খনিকে ৯১-১০৭ ডলার করে মূল্য পরিশোধ করায় কয়লা খনি বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকার দুর্বলতা আড়াল করতেই খনি বন্ধের প্রক্রিয়া জোরদার করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবি’র কর্মকর্তারা কয়লা খনির পরিচালনা পর্ষদের পদ বাগিয়ে নিয়ে ক্রেতা হয়ে বেআইনিভাবে কয়লার মূল্য নির্ধারণে বিক্রেতার ভূমিকা পালন করছে। অর্থাৎ ক্রেতা তার ক্রয়কৃত মালামালের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করছে। এই কয়লার খোলা বাজার মূল্য যেখানে ২০০ ডলারের উপরে সেখানে গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা করে অযৌক্তিকভাবে প্রতি টন কয়লার মূল্য ১৭৬ ডলার থেকে হ্রাস করে ৯১-১০৭ ডলারে বিল প্রদান করছে। এমনটি হলে, কয়লা খনিটি আর লাভজনক থাকতে পারবে না এবং লোকসানের অজুহাতে এটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে খনিটির সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ২০-২৫ হাজার পরিবার তাদের জীবিকা হারানোসহ আর্থিকভাবে সংকটে পড়বে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে জরুরী ৬ দফা দাবি তুলে ধরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিকে লাভজনক ও সচল রাখতে এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে ১) পিডিবিতে ৯১-১০৭ ডলারে কয়লা বিক্রয়ের পরিবর্তে লোকাল মার্কেটে ২০০ ডলারের বেশী দামে বিক্রয় সম্ভব। তাই বড়পুকুরিয়ার কয়লা লোকাল মার্কেটে বিক্রয় করা হোক। ২) লোকাল মার্কেটে কয়লা বিক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পিডিবির কয়লার মূল্যে নির্ধারণ করতে হবে। ৩) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির বোর্ড বিদ্যুতের লোক দিয়ে চালানো যাবে না। ৪) অযৌক্তিক ভাবে কয়লার দাম কমিয়ে খনি বন্ধের চক্রান্ত বন্ধ হোক। ৫) খনি আমাদের রুটি-রুজি, তাই কয়লার দাম নির্ধারণে আমাদেরও মতামত নিতে হবে। ৬) নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, এই খনি আদমজী পাট কলের মতো লস প্রজেক্ট হবে না। ৭) খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের রেশন ও অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা বাড়াতে হবে।
বক্তারা বলেন, ইতোপূর্বে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির খনি বন্ধের আন্দোলনের সময যখন প্রশাসন নীরব ছিল তখন খনি শ্রমিক ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের ফলে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি পলায়ন করে এবং খনি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পয়ে এখনো তা পূর্ণ উৎপাদনে রয়েছে। আগামীতে আমরা পূর্বের মতোই সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিকে ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করতে বাধ্য হবো।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাহেনুল ইসলাম, সিনিয়র সভাপতি রবিউল ইসলাম, বড়পুকুরিয়া কুলি লোড-আনলোড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শওকত আলী প্রমুখ।





আর্কাইভ