মঙ্গলবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » চাটমোহরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
চাটমোহরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
চাটমোহর প্রতিনিধি :: (৬ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৬মি.) মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর চাটমোহরে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে চাটমোহর পৌরসদরের প্রধান প্রধান সড়কে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ময়েজ এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী এস এম মোজাহারুল হক এর সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডঃ সাখাওয়াত হোসেন সাখো, বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী, গোলজার হোসেন, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রায় সারা দেশ মুক্তির স্বাদ পেলেও বিজয়ের চারদিন পরে ২০ ডিসেম্বর চাটমোহরে উড়ে মুক্তির পতাকা। এই দিনে চাটমোহর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়।
সে সময়ের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক ময়েজ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ মে হানাদাররা চাটমোহর দখল করে নেয়। তারা প্রাচীন এ জনপদটি আগুন দিয়ে ঝলসে দেয়। ব্যাংক লুট করে। ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ খাঁন ও ক্যশিয়ার শামসুল ইসলাম সহ দু’জন গার্ডকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর রঘুনাথ কুন্ড, অশ্বিনী কুন্ডু, যতীন কুন্ডু ও ঝরু ঠাকুরকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর গঠিত হয় শান্তি কমিটি। প্রায় সাড়ে সাত মাস চাটমোহর পাক হানাদারদের দখলে থাকে।
ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধারা চাটমোহর শহরকে ঘিরে ফেলেন। ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম থানা আক্রমন করেন। কমান্ডার মোজাম্মেল হক ময়েজ, সহকারী কমান্ডার এসএম মোজাহারুল হক, ইদ্র্রিস আলী চঞ্চল, আমজাদ হোসেন লাল এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়াশি আক্রমনের মুখে হানাদাররা থানায় আটকা পড়ে। ১৫ ডিসেম্বর রাতে এক আক্রমনে বেশ কয়েকজন পাক হানাদার নিহত হয়। পরদিন সকালে হানাদাররা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা রামনগর গ্রামের দুই সহোদর মোসলেম ও তালেবকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এসএম মোজাহারুল হক জানান, ১৬ ডিসেম্বর অবস্থা বেগতিক বুঝে হানাদাররা থানায় সাদা পতাকা উড়িয়ে ফ্লাগ মিটিং এর আহ্বান জানায়। এ অবস্থায় দুইদিন আক্রমন বন্ধ থাকে। ১৮ ডিসেম্বর হানাদারদের আহ্বানে সারা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা থানায় প্রবেশ করে আলোচনায় বসে। হানাদাররা মুক্তিবাহিনী নয়, মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনের শর্ত দেয়। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা আক্রমন বন্ধ রেখে ২০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বকুলকে মিত্রবাহিনীর পোষাক পরিয়ে নকল মিত্রবাহিনী সাজিয়ে চাটমোহরে নিয়ে আসেন। এদিন বেলা ২ টায় তার কাছেই হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করে।





বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের শরিকদের সাথে বেঈমানী করেছে : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি
প্রার্থীদের দলের প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক : ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি ও এসপিদের নেতৃত্বে জেলা কমিটি বাতিল : ইসি
বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক
পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেক খানি বন্ধ করা সম্ভব
স্বাধীতনার ৫৩ বছরে প্রথম বার জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা পেলেন দলিত জনগোষ্ঠীর নেতা ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু
পাসপোর্ট করতে আর লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
সেনাবাহিনী প্রধানের কুয়েত সফর