রবিবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ চার দিনেও আমলে নেয়নি পুলিশ
বিশ্বনাথে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ চার দিনেও আমলে নেয়নি পুলিশ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৮ মি.) বিশ্বনাথে চারদিনেও বন কর্মকর্তার দেয়া সরকারি গাছ কাটার লিখিত অভিযোগটি রহস্যজনকভাবে আমলে নেয়নি পুলিশ। গত ১২ জানুয়ারি উপজেলা বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান পাঠান চরচন্ডি নদী চরের সরকারি তিনটি রেন্ট্রি গাছ কাটার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগে উপজেলার ছত্তিশ গ্রামের মৃত জফর আলীর পুত্র আবদুর রউফ’কে অভিযুক্ত করা হয়। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযুক্ত পক্ষের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক থাকায় উৎকোচ নিয়ে অভিযোগটি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর গত শুক্রবার জেলা বন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে ১৪ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে ওই তিনটি কাটা গাছের বিভিন্ন মাপের ২১পিছ গাছের টুকরো জব্দ করে তার হেফাজতে রেখেছেন বলে দাবি করেন বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান পাঠান। কিন্তু ওই গাছগুলো জব্ধ করে বন কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। পুলিশ ও বন কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। গত ৩১ডিসেম্বর নদীর চর থেকে অবৈধভাবে লাখ টাকা মুল্যের ওই তিনটি রেন্ট্রি গাছ কাটেন আবদুর রউফ। গাছগুলো কাটার ঘটনায় গত ৫জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এলাকবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছত্তিশ গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর পুত্র সুহেল মিয়া। কিন্তু সরকারি ওই তিনটি গাছ কাটার অভিযোগটি পুলিশ চার দিনেও আমলে না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান অভিযুক্তকারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারি কর্মকর্তা থানার এসআই হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন অভিযোগটি তদন্ত করতে এসআই হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগটি জিডি মূলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়া গেলে মামলা রেকর্ড করা হবে বলে তিনি জানান।