শিরোনাম:
●   পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ●   ৮ বছর পর খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি ●   পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঘোড়াঘাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ড্রাইভার ও হেলপার নিহত ●   অবিলম্বে ‘হিট ইমারজেন্সী ‘ জারী করুন, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ●   ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন ●   ঈশ্বরগঞ্জে মহিলা এমপি ব্যরিস্টার ফারজানাকে বরণ ●   মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ●   অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা ●   নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা ●   সাজেকে নিহত ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ●   রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত ●   সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক ●   আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে রাঙামাটিতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   তীব্র দাবদাহে মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার প্রক্রিয়া করেছে বন বিভাগ ●   কাপ্তাই সড়কে রাতেও চলছে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ●   রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ ●   দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সাংবাদিক এর বাগান বাড়ি পুড়ে দেয়ার আজ ২ মাস : ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রকাশ ●   আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩৫ বছর পরিচালিত হচ্ছে অনির্বাচিতদের দ্বারা ●   রাঙামাটির চার উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ : ৮ মে নির্বাচন ●   কল্পনা অপহরণ মামলা রাঙামাটি কোর্টে ডিসমিস করায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ক্ষোভ প্রকাশ ●   নিরীহ মানুষকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ●   আনসারের অস্ত্রলুটের ঘটনায় রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে ●   বান্দরবানে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   নিজের অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আনসার সদস্যদের আত্মহত্যা ●   কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে হ্রদের ড্রেজিং করা দরকার
রাঙামাটি, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » পার্বত্য অঞ্চলের সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত করে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিটির সংশোধন করা আজ সময়ের দাবি — নির্মল বড়ুয়া মিলন
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » পার্বত্য অঞ্চলের সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত করে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিটির সংশোধন করা আজ সময়ের দাবি — নির্মল বড়ুয়া মিলন
৬৬৮ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পার্বত্য অঞ্চলের সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত করে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিটির সংশোধন করা আজ সময়ের দাবি — নির্মল বড়ুয়া মিলন

---

১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত্‍ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ভিতর কোন ইতিবাচক প্রভাব বা জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি৷
গত ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ শনিবার ঢাকায় সুন্দরবন হোটেলে পিসিজেএসএস প্রধান সাবেক গেরিলা নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি “অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে”৷ আসলেই তাই ৷ পার্বত্য চুক্তি ধারা গুলি যোগউপযোগী করা আবশ্যক, ১৮ বছর যাবত্‍ পার্বত্য অঞ্চলের সাধারন মানুষ এদেশের অতি পুরাতন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে প্রধান বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে ধৈর্য্য ধারণ করে ছিল৷
চাদাঁবাজ,অস্ত্রধারী ও উগ্রসম্প্রদায়ের বেড়াজালে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আর এদেশের ইতিহাস বলে দেয়, বাঙ্গালীর পিঠ একবার দেয়ালে ঠেকে গেলে তারা জীবণ রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নিতে দ্বিধাবোধ কখনো করে নাই, এবারও করবেনা৷
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল নাগরিকের সম অধিকার নিশ্চিত হয়নি ৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিটি বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান পরিপন্থী এতে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত হয়নি৷
পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত করে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিটির সংশোধন করে সংযোজনের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির নিকট উপস্থাপন করা হইল৷
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৈমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রাখিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চরে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তরফ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অদিবাসীদের পক্ষ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিম্নে বর্ণিত চারি খন্ড (ক,খ,গ,ঘ) সম্বলিত চুক্তিতে উপনীত হন৷ কিন্তু এই চুক্তিটি কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে বা একটি সম্প্রদায়কে প্রধান্য দেয়া হয়েছে বিধায় পার্বত্য চুক্তির মুল লক্ষ্য ঠিক রেখে সংশোধনী একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে যা সংযোজনের নিমিত্তে তোলে ধরা হইল৷
ক) সাধারণ
১৷ উভয় পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে (উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করিয়া) এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন অর্জন করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করিয়াছেন; (সংযোজ : ক্ষুদ্র সম্প্রদায় ও বাঙ্গালী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করিয়া)
২৷ উভয়পৰ এই চুক্তির আওতায় যতাশীঘ্র ইহার বিভিন্ন ধারার বিবৃত ঐক্যমত্য ও পালনীয় দায়িত্ব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন, বিধানাবলী, রীতিসমূহ প্রণয়ন, পরির্বতন, সংশোধন ও সংযোজন আইন মোতাবেক করা হইবে বলিয়া স্থিরীকৃত করিয়াছেন;
৩৷ এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ করিবার লক্ষে নিম্নে বর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হইবে৷
(ক) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য : আহ্বায়ক
(খ) এই চুক্তির আওতায় গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান : সদস্য
(গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি : সদস্য
সংযোজ : ((ঘ) তিন পার্বত্য জেলা হতে তিনজন বাঙ্গালীকে চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা ; যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/জনপ্রতিনিধিত্ব করেন এমন ধরনের ব্যাক্তিবর্গকে যুক্ত করা)৷
৪৷ এই চুক্তি উভয় পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত ও সহি করিবার তারিখ হইতে বলবত্‍ হইবে৷ বলবত্‍ হইবার তারিখ হইতে এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ হইতে সম্পাদনীয় সকল পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই চুক্তি বলবত্‍ থাকিবে৷
খ) পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/ পার্বত্য জেলা পরিষদ
উভয পক্ষ এই চুক্তি বলবত্‍ হওয়ার পূর্ব পর্যনত্ম বিদ্যমান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (রাঙামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, বান্দরবান পার্বত্য জেলা সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯) এবং এর বিভিন্ন ধারাসমূহের নিম্নে বর্ণিত পরির্বতন, সংশোধন, সংযোজন ও অবলোপন করার বিষয়ে ও লক্ষে একমত হইয়াছেন : ১৷ পরিষদের বিভিন্ন ধারায় ব্যবহৃত “উপজাতি” শব্দটি বলবত্‍ থাকিবে৷(সংযোজ :উপজাতি শব্দটি বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র সম্প্রদায় ও বাঙ্গালী শব্দটি বলবত্‍ থাকিবে)৷
২৷ “পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ” এর নাম সংশোধন করিয়া তদপরিবর্তে এই পরিষদ “পার্বত্য জেলা পরিষদ” নামে অভিহিত থাকিবে৷
৩৷”অউপজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা” বলিতে যিনি উপজাতীয় নহেন এবং যাহার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গা জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় সাধারণত : বসবাস করেন তাহাকে বুঝাইবে৷( সংযোজন : অউপজাতীয় স্থলে বাঙ্গালী এবং উপজাতীয় স্থলে ক্ষুদ্র সম্প্রদায় হইবে)৷
৪৷ ক) প্রতিটি পার্বত্য জেলা পরিষদে মহিলাদের জন্য ৩ (তিন) টি আসন থাকিবে৷ এইসব আসনের এক-র্ততীয়াংশ (১/৩) অ-উপজাতীয়দের জন্য হইবে৷(সংযোজন : পার্বত্য বসবাসরত প্রতিটি সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ১ জন করে মোট ১৭(সতের) টি আসন থাকিবে যেমন; মুসলমান -১,চাকমা-১,হিন্দু-১,মারমা-১,বড়ুয়া-১,তনচংগা-১,ত্রিপুরা-১,লুসাই-১,পাংখোয়া-১,অহমিয়া-১,ম্রো-১,সাওতাল-১,খুমি-১,বম-১,চাক-১,রাখাইন-১, ও প্রান্তিক/দলিত সম্প্রদায়ের - ১ প্রতিনিধি অবশ্যই রাখতে হবে)৷
খ) ৪ নম্বর ধারার উপ-ধারা ১,২,৩,ও ৪- মূল আইন মোতাবেক বলবত্‍ থাকিবে৷(সংযোজন: ৪ নম্বর ধারার উপ-ধারা ১,২,৩,ও ৪- মূল আইন পরিবর্তন হইবে)৷
গ) ৪ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৫)-এর দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত “ডেপুটি কমিশনার” এবং “ডেপুটি কমিশনারের” শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে “সার্কেল চীফ” এবং “সার্কেল চীফের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে৷ (সংযোজন : “সার্কেল চীফ” শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে সার্কেল কর আদায়কারী প্রতিস্থাপিত হইবে)৷
ঘ) ৪ নম্বর ধারার নিম্নোক্ত উপ-ধারা সংযোজন করা হইবে- “কোন ব্যক্তি অউপজাতীয় কিনা এবং হইলে তিনি কোন সম্প্রদায়ের সদস্য তাহা সংশ্লিষ্ট মৌজার হেডম্যান/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের চীফ স্থির করিবেন এবং এতদ সম্পর্কে সার্কেল চীফের নিকট হইতে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট ব্যতীত কোন ব্যক্তি অউপজাতীয় হিসাবে কোন অউপজাতীয় সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হইতে পারিবেন না”৷(সংযোজন : “সার্কেল চীফ” শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে সার্কেল কর আদায়কারী প্রতিস্থাপিত হইবে)৷
৫৷ ৭ নম্বর ধারায় বর্ণিত আছে যে, চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যপদে নির্বাচিত ব্যক্তি তাঁহার কার্য্যভার গ্রহনের পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের সম্মুখে শপথ গ্রহন বা ঘোষনা করিবেন৷ ইহা সংশোধন করিয়া “চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার”-এর পরিবর্তে “হাই কোট ডিভিশনের কোন বিচারপতি” কর্তৃক সদস্যরা শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন- অংশটুকু সনি্নবেশ করা হইবে৷
৬৷ ৮ নম্বর ধারার চতুর্থ পংক্তিতে অবস্থিত “চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের নিকট” শব্দগুলির পরিবর্তে “নির্বাচন বিধি অনুসারে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে৷
---
৭৷ ১০ নম্বর ধারার দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত “তিন বত্‍সর” শব্দগুলির পরিবর্তে “পাঁচ বত্‍সর” শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে৷(সংযোজন : “পাঁচ বত্‍সর” শব্দগুলির পরিবর্তে “চার বত্‍সর” শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে)৷
৮৷ ১৪ নম্বর ধারার চেয়ারম্যানের পদ কোন কারনে শূণ্য হইলে বা তাঁহার অনুপস্থিতিতে পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত একজন উপজাতীয় সদস্য সভাপতিত্ব করবেন এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন বলিয়া বিধান থাকিবে৷ (সংযোজ : ১৪ নম্বর ধারার চেয়ারম্যানের পদ কোন কারনে শূণ্য হইলে বা তাঁহার অনুপস্থিতিতে পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত একজন উপজাতীয় শব্দটির পরিবর্তে যে কোন সম্প্রদায়ের সদস্য সভাপতিত্ব করবেন)৷
৯৷ বিদ্যমান ১৭ নং ধারা নিম্নে উল্লেখিত বাক্যগুলি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইবে : আইনের আওতায় কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকাভূক্ত হওয়ার যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারিবেন যদি তিনি (১) বাংলাদেশের নাগরিক হন; (২) তাহার বয়স ১৮ বত্‍সরের কম না হয়; (৩) কোন উপযুক্ত আদালত তাহাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষনা না করিয়া থাকেন; (৪) তিনি পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হন৷(সংযোজন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন সময় সময় জারিকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নির্ধারন করা হইবে)৷
১০৷ ২০ নম্বর ধারার (২) উপ-ধারায় “নির্বাচনি এলাকা নিধারণ ” শব্দগুলি স্বতন্ত্রভাবে সংযোজন করা হইবে৷
১১৷ ২৫ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) এ পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান এবং তাহার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সদস্য গণ কর্তৃক একজন উপজাতীয় সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন বলিয়া বিধান থাকিবে৷ ( সংযোজন : এ পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান এবং তাহার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সদস্য গণ কর্তৃক একজন উপজাতীয় শব্দটির পরিবর্তে যে কোন সম্প্রদায়ের সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন বলিয়া বিধান থাকিবে৷)৷
১২৷ যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলার সমসত্ম মং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত নহে, সেহেতু খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আইনে ২৬ নম্বর ধারায় বর্ণিত “খাগড়াছড়ি মং চীফ” এর পরিবর্তে “মং সার্কেলের চীফ এবং চাকমা সার্কেলের চীফ” শব্দগুরি প্রতিস্থাপন করা হইবে৷ অনুরূপভাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভায় বোমাং সার্কেলের চীফেরও উপস্থিত থাকার সুযোগ রাখা হইবে৷ একইভাবে বান্দরবান জেলা পরিষদের সভায় বোমাং সার্কেলের চীফ ইচ্ছা করিলে বা আমন্ত্রিত হইলে পরিসদের সভায় যোগদান করিতে পারিবেন বলিয়া বিধান রাখা হইবে৷৷(সংযোজন : “সার্কেল চীফ” শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে সার্কেল কর আদায়কারী প্রতিস্থাপিত হইবে)৷
১৩৷ ৩১ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ পরিষদে সরকারের উপ-সচিব সমতুল্য একজন মুখ্য নির্বাহী র্কমর্কতা সচিব হিসাবে থাকিবেন এবং এই পদে উপজাতীয় র্কমর্কতাদের অগ্রধিকার প্রদান করা হইবে বলিয়া বিধান থাকিবে৷ (সংযোজন : উপজাতীয় কর্মকর্তাদের অগ্রধিকার প্রদান করা হইবে বলিয়া যে বিধান করা হইয়াছে তত্‍স্থলে পার্বত্য অঞ্চলের যে সম্প্রদায়ের কর্মকর্তাকে অগ্রধিকার প্রদান করা হইবে বলিয়া বিধান থাকিবে)৷
১৪৷ ক) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) এ পরিষদের কার্যাদি সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে পরিষদ সরকারের অনুমোদনক্রমে, বিভিন্ন শ্রেণীর র্কমকর্তা ও র্কমচারীর পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে বলিয়া বিধান থাকিবে৷
খ) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে প্রণয়ন করা হইবে ঃ “পরিষদ প্রবিধান অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে র্কমচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহাদেরকে বদলী ও সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে৷ তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার বজায় রাখিতে হইবে”৷ (সংযোজন : যে কোন আদেশ জারি করার পুর্বে অবশ্যই যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের চড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে)৷
গ) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) এ পরিষদের অন্যান্য পদে সরকার পরিষদের পরামর্শক্রমে বিধি অনুযায়ি র্কমকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এই সকল কর্মকর্তাকে সরকার অন্যত্র বদলী, সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে বলিয়া বিধান থাকিবে৷
১৫৷ ৩৩ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) এ বিধি অনুযায়ী হইবে বলিয়া উল্লেখ থাকিবে৷
১৬৷ ৩৬ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) এর তৃতীয় পংক্তিতে অবস্থিত “অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন প্রকারে” শব্দগুলি বিলুপ্ত করা হইবে৷
১৭৷ ক) ৩৭ নম্বর ধারার (১) উপ-ধারার চতুর্থত : এর মূল আইন বলবত্‍ থাকিবে৷
খ) ৩৭ নম্বর ধারার (২) উপ-ধারা (ঘ) তে বিধি অনুযায়ি হইবে বলিয়া উল্লেখিত হইবে৷ (সংযোজন : ক্রমিক নং ১৫,১৬ ও ১৭ তে যাহাই থাকুক না কেন পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের সমঅধিকার শব্দটি যুক্ত হইবে)৷
১৮৷ ৩৮ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) বাতিল করা হইবে এবং উপ-ধারা (৪) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই উপ-ধারা প্রণয়ন করা হইবে : কোন অর্থ বত্‍সর শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময় সেই অর্থ বত্‍সরের জন্য, প্রয়োজন হইলে, একটি বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন করা যাইবে৷
১৯৷ ৪২ নম্বর ধারায় নিম্নোক্ত উপ-ধারা সংযোজন করা হইবে : পরিষদ সরকার হইতে প্রাপ্য অর্থে হস্তান্তরিত বিশয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে, এবং জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিষদের মাধ্যমে সংশ্রিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করিবে৷
২০৷ ৪৫ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) এর দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত “সরকার” শব্দটির পরিবর্তে “পরিষদ” শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হইবে৷
২১৷ ৫০, ৫১ ও ৫২ নম্বর ধারা গুলি বাতিল করিয়া তদ্পরিবর্তে নিম্নোক্ত ধারা প্রণয়ন করা হইবে : এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত পরিষদের কার্যকলাপের সামঞ্ছস্য সাধনের নিশ্চয়তা বিধানকল্পে সরকার প্রয়োজনে পরিষদকে পরামর্শ প্রদান বা অনুশাসন করিতে পারিবে৷ সরকার যদি নিশ্চিতভাবে এইরূপ প্রমাণ লাভ করিয়া থাকে যে, পরিষদ বা পরিষদের পক্ষে কৃত বা প্রসত্মাবিত কোন কাজর্কম আইনের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নহে অথবা জনস্বার্থের পরিপন্থী, তাহা হইলে সরকার লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিষদের নিকট হইতে তথ্য ও ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবে, এবং পরামর্শ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
২২৷ ৫৩ ধারার (৩) উপ-ধারার “বাতিল থাকার মেয়াদশেষ হইলে” শব্দগুলি বাতিল করিয়া তদ্পরিবর্তে “এই আইন” শব্দটির পূর্বে “পরিষদ বাতিল হইলে নব্বই দিনের মধ্যে” শব্দগুলি সনি্নবেশ করা হইবে৷
২৩৷ ৬১ নম্বর ধারার তৃতীয় ও চতুর্থ পংক্তিতে অবস্থিত “সরকারের” শব্দটির পরিবর্তে “মন্ত্রণালয়ের” শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হইবে৷
২৪৷ ক) ৬২নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই উপ-ধারাটি প্রণয়ন করা হইবে : আপাতত : বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও তদনিম্ন সত্মরের সকল সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ কর্তৃকনিযুক্ত হইবেন এবং পরিষদ তাঁহাদের বদলী ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাঁহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার বজায় রাখিতে হইবে৷ ( সংযোজন : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলার উপজাতীয়দের পরিবর্তে সকল সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে)৷ ইত্যাদি …………
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল জনগণের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন ?
১. পার্বত্য চুক্তির পর ১৯৯৭ থেকে ২০১৫ জুন মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে সাবেক শান্তি বাহিনীর কতজন সদস্যদের ভিতর কত মেট্টিক টন সরকার থেকে খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দেয়া হয় ?
২. ১৯৯৭ সাল থেকে কতজন যুবক/যুবতী শান্তি বাহিনীতে যোগদান করেছেন ?
৩. পিসিজেএসএস এর প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার পরামর্শক কে বা কাহারা সম্ভব হলে এদের নামসহ তথ্য যদি থাকে ?
৪. ১৯৯৭ সালের পর থেকে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কতটি চাকমা পরিবার রাঙামাটি শহরে স্থায়ী ভাবে বাড়ি - ঘর নির্মান করেছেন ?
৫. মোনঘর অনাথ আশ্রম সুকৌশলে যেভাবে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে পাচার করেছে তা রোধকল্পে সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন ?
৬. অস্ত্রধারী শান্তি বাহিনীর দেশে বর্তনাম ঘাটি গুলি কোন কোন স্থানে অবস্থিত সম্ভব হলে স্থানের নামসহ ?
৭. ১৯৯৮ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে কেন্দ্রীয় সরকার আপদকালীন নামে যে সব খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দিয়েছেন তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান আছে কি ?
৮. বিগত তিন মাস যাবত্‍ পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ), ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ), পিসিজেএসএস (সংস্কারপস্থী) ও পিসিজেএসএস (করুনালংকার ভিক্ষু গ্রম্নপ) এর ভিতর কি ধরনের সমযোতা বা অস্ত্র বিরতী হয়েছে তা কত দিন বলবত্‍ থাকবে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র বিরতী সরকারের কোন লাভ বা স্থানীয় প্রশাসনের কোন লাভ হচ্ছে কি ?
৯. পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ), ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ), পিসিজেএসএস (সংস্কারপস্থী) ও পিসিজেএসএস (করুনালংকার ভিক্ষু গ্রুপ) এর ভিতর সমযোতা বা অস্ত্র বিরতী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একক ভাবে কেবল মাত্র চাকমাদের সব গুলি সিটে জিতে নেয়ার অপকৌশল কি না ?
১০ . স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নিদেশ জারী থাকার পরও একজন ভারতীয় হাই কমিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারী কি ভাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এসে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের (চাকমা) সাথে বৈঠক করে গেলেন বা এরা সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নিদেশনাকে অমান্য করছেন কি না ?
১১ . তিন পার্বত্য এলাকায় বিজিবি’র ভুমিকা বিজ্ঞজনদের কাছে রহস্যজনক আসলে কি ?

লেখক - নির্মল বড়ুয়া মিলন
প্রধান সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)