সোমবার ● ৩০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে গ্রামবাসির সর্বচ্চ সতর্কতায় এই প্রথম একটি গ্রাম করা হল “লকডাউন” সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন
ঝিনাইদহে গ্রামবাসির সর্বচ্চ সতর্কতায় এই প্রথম একটি গ্রাম করা হল “লকডাউন” সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম একটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামবাসির সচেতনতায় স্থানীয় উদ্যোগে সতর্কতা স্বরুপ এই কার্যক্রমে প্রশাসন সহায়তা দিচ্ছে। গ্রামটির নাম আনন্দবাগ। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা, তিন রাস্তার মোড়েই বসানো হয়েছে তল্লাসী চৌকি। যারাই গ্রামে প্রবেশ করছেন তাদের পরিচয় এবং প্রয়োজন নিশ্চিত হয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে জীবানুনাশক দিয়ে গোটা শরীর স্প্রে করে দিচ্ছে। আর গ্রামের মানুষগুলোর প্রয়োজন ছাড়া বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরী প্রয়োজন বুঝে বেরুতে দিলেও ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে জীবানুনাশক। পাশাপাশি গ্রামের হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা তৈরী করে তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন গ্রামবাসি। পালাক্রমে গ্রামের লোকজন এই তল্লাসী চৌকির দায়িত্ব ছাড়াও গ্রামটি লকডাউন করতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। গত তিনদিন তারা এভাবে নিজেদের গ্রামটিকে সুরক্ষা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামবাসির দাবি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলবে তাদের এই কার্যক্রম। সরেজমিনে আনন্দবাগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পাইকপাড়া মোড়ের তল্লাসী চৌকিতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক রুহুল আমিন। তাদের কাছে পৌছানো মাত্র দুই যুবক ছুটে আসেন। কোনো কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই জীবানুনাশক দিয়ে সমস্ত শরীর স্প্রে করে দেওয়া হলো। এরপর সাংবাদিক শুনতেই যুবকদ্বয় বললেন কিছু করার নেই এভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করছেন। যিনিই আনন্দবাগ গ্রামে প্রবেশ করবেন তাকেই এই স্প্রে’র মুখোমুখি হতে হবে। আনন্দবাগ গ্রামের তল্লাসী চৌকিতে কথা হয় শিক্ষক রুহুল আমিন ও আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে। তারা জানান, ২৫ মার্চ তারা গ্রামের মসজিদে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে ২৬ মার্চ থেকে আনন্দবাগ গ্রামটি স্থানীয় ভাবে লকডাউন করে দিয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আনন্দবাগ গ্রামে ১৪০ টি পরিবারে দুই হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা রয়েছে। সবগুলো রাস্তার মোড়ে তাদের ছেলেরা কাজ করছেন। মোড়ে বাঁশ বেঁেধ চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। সেখানে পটাশ ও স্যাভলন মিশ্রিত পানি, সাবান আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বসে আছেন যুবকরা। কেউ গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে স্প্রে করানো হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের হোসেন জানান, এভাবে গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়ায় নিত্য আয়ের মানুষগুলোর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এই কথা চিন্তা করে তারা হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা করেছেন। এ অবস্থা যতদিন চলবে ততদিন গ্রামের মানুষ তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। যেহেতু সারা দেশে লকডাউন চলছে, সেখানে গ্রামবাসির এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। তবে সতর্ক থাকতে হবে কোনো ভাবেই যেন জরুরী প্রয়োজন বাঁধাগ্রস্থ না হয়।





ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করল আটককৃত স্বামী
কুষ্টিয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার