মঙ্গলবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » গারমেন্টস মালিকেরা কি আলাদা কোন সরকার চালাচ্ছে ?
গারমেন্টস মালিকেরা কি আলাদা কোন সরকার চালাচ্ছে ?
সাইফুল হক :: ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেয়া হচ্ছে নাতো ? না হলে কেন তারা এত বেপরোয়া, কেন তারা এত স্বেচ্ছাচারী! তারা বলে একটা করে আরেকটা। সরকার, শ্রম মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদেরকে দেয়া অধিকাংশ ওয়াদাই তারা রাখেনি। বহু গারমেন্টস কারখানার মালিকেরা তাদের কথা অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি।এখনো বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া,চট্টগ্রামে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।
মালিকেরা ওয়াদা করেছিলেন করোনার এই বিশেষ দুর্যোগে তারা শ্রমিক ছাটাই করবেন না।কিন্ত প্রায় সবক’টি শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিন শত শত শ্রমিক ছাটাই এর তথ্য আসছে। শ্রমবিধি না মেনে কারখানা লে- অফও করা হচ্ছে।
এপ্রিল এর ৪-৫ তারিখ মালিকদের স্বেচ্ছাচারীতায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের যে অবর্ননীয় ভোগান্তি তার জন্য কোন মালিককে কোনরকম জবাবদিহি করতে হয়নি, শাস্তিও পেতে হয়নি।
গতকাল থেকে আবারও কয়েক শত গারমেন্টস কারখানা চালু করা হয়েছে। কোথায় স্বাস্থ্যবিধি,কোথায় হাজার হাজার শ্রমিকদের সুরক্ষা?
আজ টেলিভিশনগুলো সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে,অধিকাংশ কারখানায় করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছু নেই; সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজের পরিবেশ নেই।যে অর্থনীতিবিদ পরশু গারমেন্টস এর অর্ডার চীন বা ভিয়েতনাম চলে যাবার কারণ দেখিয়ে মালিকদের কথায় গারমেন্টস খোলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন আজ দেখলাম তিনি গারমেন্টস এর কথিত স্বাস্থ্যসুরক্ষা আর কর্মপরিবেশ দেখে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন ন্যূনতম ৭ দিন সময় নিয়ে পরিবেশ তৈরী না করে গারমেন্টস চালু করা ঠিক হয়নি।
এখন হাজার হাজার শ্রমিক আবার করোনা ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হোল।তার উপর রয়েছে জীবন আর জীবিকা নিয়ে চরম দুর্দশা।
সরকার আর দেশের জনগণ কি গারমেন্টস মালিকদেরকে এভাবে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদেরকে নিয়ে ‘যা খুশী কর’ এরকম অবাধ লাইসেন্স দিয়ে রাখবে? এই শ্রমিক, তাদের মানবেতর জীবন আর জীবনের ন্যুনতম নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?
সরকার আর কতকাল এই মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে, কতকাল এই মগের মুল্লুক চলবে?
অবিলম্বে শ্রমিকদের নিয়ে এসব স্বেচ্ছাচারীতা বন্ধ করা দরকার, প্রয়োজন জরুরী একগুচ্ছ কার্যকরি পদক্ষেপ। সরকার তা করতে না পারলে মালিকদের পাশাপাশি তাদেরকেও যাবতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে।
লেখক : রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক, সাইফুল হক, সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
সূত্র : পেইজবুক পেইজ থেকে ।





আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস
গৌতম বুদ্ধের ছয়টি স্মৃতি বিজড়িত আষাঢ়ী পূর্ণিমা
পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান
সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ