রবিবার ● ৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » চট্টগ্রামের বারইয়ারহাটে বাড়ছে মাছের দাম
চট্টগ্রামের বারইয়ারহাটে বাড়ছে মাছের দাম
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ের বাণিজ্যক রাজধানী খ্যাত বারইয়ারহাটে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবধরনের মাছের দাম। কোন কোন মাছ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ক্রেতারা বলছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই মাছের দাম। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সিন্ডিকেট করে মাছের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে মাছ বিক্রেতা ও আড়ৎদাররা এমনটাই দাবি ক্রেতা সাধারণের। কেউ কেউ বলছেন গত দুই, তিন সপ্তাহ আগে যে মাছ ১৮০ টাকায় কিনেছি সেটা এখন ২০০-২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছ চাষি ও আড়তদারদের কাছ থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হয় সেভাবেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাছ বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে মাছ কেনার পাশাপাশি পৌরসভার টোল ও কিছু মাছ নষ্ট এবং পঁচে যায় যার ফলে মাঝে মাঝে কাঙ্খিত লভ্যাংশ উঠেনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছ মাঝারি সাইজের ২৪০-২৬০ টাকা, কাতলা দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের ৪০০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৩৮০ টাকা, নাইলেটিকা ১ কেজি ওজনের ২০০-২২০ টাকা, ছোট সাইজের ১৮০ টাকা, কার্ফু এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ২৫০-২৭০ টাকা, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ১৬০-১৮০ টাকা। সমুদ্রের পোয়া মাছ ১৪০-১৮০, কোন কোন ক্ষেত্রে ২০০-২২০ টাকা, সুরমা মাছ ১৮০-২২০ টাকা। ট্রলারের মাছ বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আগে আড়তদার থেকে ১ মণ মাছ ৪৫০০-৫০০০ টাকায় কেনা গেলেও সেটা বর্তমানে ৬০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মৎস্য প্রকল্প ও পুকুরের মাছ বিক্রেতা নুরুল হুদা বলেন, মন প্রতি নাইলেটিকা ৬৬০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে যেটা আগে ৫০০০-৫৫০০ টাকায় কেনা যেতো। একই কথা জানান, আরেক মাছ বিক্রেতা সুমন। আলিম উল্লাহ রিপন নামে একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গরুর গোসত’র মতো মাছ বিক্রেতারা সমঝোতা সিন্ডিকেট করে মাছের দাম বাড়িয়ে দেয় যেটা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বা সাধ্যের বাইরে চলে যায়, বিশেষ করে রমজান মাস আসলে উপলব্ধি করা যায়। তবে এর জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার।
বারইয়ারহাট বাজারের মেসার্স মুহুরী প্রজেক্ট ফিস এর স্বত্বাধিকারী ও মৎস্য চাষি রেজাউল করিম সুমন বলেন, ২০১৭ সালে মাছের যে খাদ্য ৫০ হাজার টাকায় কেনা যেতো সেটা ২০২৩ সালে ৮০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। গত ৩ মাসে ৩ ধাপে টন প্রতি মাছের খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০০০ টাকা। এছাড়াও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে পরিবহন খরচ সেই সাথে চুন, ঔষধ এসবের দাম বৃদ্ধি তো আছেই। সবকিছু মিলিয়ে হিমশিম অবস্থা।