শিরোনাম:
●   চাঁদপুরে ৪৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবহেলীত ●   জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ●   পাঁচ শতাধিক ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক করে ডিবি ●   জুলাই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে গণস্বাক্ষর ●   ৩৫ তম রক্তদান করে প্রশংসিত মিরসরাইয়ের আনিসুল হক ●   ঘরে ঘরে আলাউদ্দিন তৈরী করো ●   ঈশ্বরগঞ্জে ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ●   চুয়েটে পিএমই ১৯ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান ●   বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে ফিরল ●   সন্ত্রাসী লিপ্টন-কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল মেম্বার গ্রেপ্তার ●   রাবিপ্রবি’তে ‘বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   আত্রাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ●   সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের ৩১ বছর পূর্তি ●   রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ : আহত-৫০ ●   চুয়েটে সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ●   মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে ১১ দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ●   পার্বতীপুরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ●   নৌবাহিনীর উদ্যোগে কাপ্তাইয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা উমর ফারুক এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ●   হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ ●   সাড়ে ৩ মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত টেলিকম ৪ কর্মী ●   আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলায় গ্রেফতার-৫ ●   পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পার হলেও স্থায়ী শান্তি এখনো অধরা : চুক্তির আড়ালে সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে পিসিজেএসএস ●   দীঘিনালায় ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএসের মধ্যে গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ●   ঝালকাঠিতে নিম্নচাপের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল ●   আত্রাইয়ে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ ●   নাজিম উদ্দিন মেম্বারের মত কালসাপই একসময় দংশন করবে বিএনপিকে ●   নারায়ণগঞ্জের চোরাইকৃত ট্রাক পার্বতীপুরে উদ্ধার ●   মিরসরাইয়ে এক বিয়ের বরযাত্রীরা ভুল করে খেয়ে নিলো অন্য বিয়ের খাবার
রাঙামাটি, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মাটি খুড়ে সন্ধান মেলে সাত’শ বছর পুরোনো মসজিদ
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মাটি খুড়ে সন্ধান মেলে সাত’শ বছর পুরোনো মসজিদ
বুধবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাটি খুড়ে সন্ধান মেলে সাত’শ বছর পুরোনো মসজিদ

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৩ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩৩মিঃ) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার একটি প্রাচিন জনপদ৷ এটাকে অনেকে বারো আউলিয়ার শহর বলে থাকেন৷ ইসলাম প্রচারের জন্য বারো আউলিয়া এসেছিলেন এই জনপদে৷ প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে আছে পুরানো শহর মোহম্মদাবাদ৷

১৯৯৩ সালে এখানকার মাটি খুড়ে সন্ধান মেলে পনেরটিরও বেশি মসজিদ৷ এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই প্রাচীন৷ এসব মসজিদগুলো ৭০০ বছরেরও বেশি পুরানো৷ শহর মোহাম্মদাবাদের পুরানো ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, প্রাচীনকালে বারোবাজারের নাম ছিল ছাপাইনগর৷

এ নগর ছিল হিন্দু আর বৌদ্ধ শাসকদের রাজধানী৷ বারো আউলিয়া আসার আগে বৈরাট নগরের বাদশা শাহ সিকান্দার তার সংসর ত্যাগী সন্তানদের কর্মকান্ড ছিল এই জনপদে৷ পরবর্তীতে বারোজন সহচর নিয়ে হযরত খাজা খানজাহান আলী (রঃ) এখানে আসেন৷ সেখান থেকেই এর নাম হয় বারোবাজার৷

যুদ্ধ কিংবা মহামারিতে ছাপাইনগর ধ্বংস হয়ে যায়৷ থেকে যায় প্রাচীন ইতিহাস৷ বারোবাজারের মসজিদগুলোর সঙ্গে বাগেরহাটের কয়েকটি মসজিদের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়৷

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বারোবাজার৷ মহাসড়ক ছেড়ে তাহেরপুর সড়ক ধরে পশ্চিম দিকে যেতে রেল লাইন পেরিয়ে হাতের ডানে শুরুতেই পাওয়া যাবে এক গম্বুজ বিশিষ্ট পাঠাগার মসজিদ৷ বারোবাজারের সবচেয়ে বড় সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদ৷

৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া এ মসজিদটির ভেতরে এখনো দেখা যায় ৪৮ টি পিলার৷ লাল ইটের তৈরি এই মসজিদ আকারে ছোট৷ দীর্ঘদিন মাটি চাপা পড়ে থাকার পর ২০০৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে৷

জনশ্রুতি আছে সুলতানী আমলে নির্মিত এই মসজিদ কেন্দ্রীক একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল৷ মসজিদের পাশেই বড় আকারের একটি দিঘি, নাম পিঠেগড়া পুকুর৷ আবারও তাহেরপুর সড়ক ধরে সামনে এগুতে হবে৷ দুটি বাঁক ঘুরলেই বিশাল দিঘি, নাম পীর পুকুর৷ পশ্চিম পাড়ের মাঝ বরাবর বেশ বড় আকৃতির মসজিদ পীর পুকুর মসজিদ৷ এই মসজিদও ছিল মাটির নিচে৷

১৯৯৪ সালে খনন করে বের করা হয়েছে৷ এই মসজিদে ছাদ নেই, শুধু দেয়াল আছে৷ মসজিদটি লাল ইটের তৈরি৷ তাহেরপুর সড়ক ধরে সামান্য পশ্চিম দিকে এগুলে হাতের বাঁয়ে একটু ভেতরের দিকে আরেকটি মসজিদের দেখা মিলবে৷ এর নাম গোড়া মসজিদ৷ এই মসজিদ চার গম্বুজ বিশিষ্ট৷

মসজিদের মিহরাব ও দেয়ালে পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা ফলের নকশাসহ নানান কারুকার্য মন্ডিত৷ বাইরের দেয়ালও লাল ইটে মোড়ানো৷ ১৯৮৩ সালে এই মসজিদের সন্ধান পায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর৷ এর পূর্ব পাশেও বড় আকৃতির একটি দিঘি আছে৷

মসজিদটি খননের সময় একটি কবরের সন্ধান মেলে৷ জনশ্রুতি আছে কবরটি গোড়াই নামে কোন এক দরবেশের৷ এ থেকেই এর নাম গোড়ার মসজিদ৷ গোড়ার মসজিদ থেকে আবারও তাহেরপুর সড়কে সামনের দিকে চলতে হবে৷ সামান্য গেলে সড়কটির উত্তর পাশে আরও একটি মসজিদ৷

চার গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের নাম শুনলে ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক৷ নাম ‘গলাকাটা মসজিদ’৷ প্রায় ২১ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া এই মসজিদ খনন করা হয় তোলা হয় ১৯৯৪ সালে৷ ছয় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব আছে৷ এর দেয়ালগুলো প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া৷ মাঝখানে আছে লম্বা দুটি কালো পাথর৷

১৯৯৪ সালে মসজিদের পাশেই পুরো এলাকা্ত তথা শহর মোহাম্মদাবাদের প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনগুলোর নির্দেশনা সম্বলিত হাতে আঁকা একটি মানচিত্র৷ জনশ্রুতি আছে, বারোবাজারে এক অত্যাচারী রাজা ছিল৷ প্রজাদের বলি দিয়ে ওই দিঘির মধ্যে ফেলে দিত সে৷ এ কারণেই এর নাম হয় গলাকাটা৷ গলাকাটা মসজিদের সামনে শহর মোহাম্মদাবাদের মানচিত্র৷ বারোবাজারের সবগুলো প্রত্নস্থলের নির্দেশনা আছে এতে৷

গলাকাটা মসজিদ থেকে সামান্য পশ্চিম পাশে, সড়কের বিপরীত দিকে আরেকটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ৷ নাম জোড় বাংলা৷ মসজিদটি খনন করা হয় ১৯৯৩ সালে৷

খননের সময় এখানে একটি ইট পাওয়া যায়, তাতে আরবী অক্ষরে লেখা ছিল, ‘শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইন, আটশো হিজরী’৷ জনশ্রুতি আছে মসজিদের পাশে জোড়া কুড়েঘর ছিল বলেই এর নাম জোড় বাংলা মসজিদ৷

এবার পাশের সড়ক ধরে আরও কিছু দূরে এগুলে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের সাইন বোর্ড চোখে পড়বে৷ পাকা সড়ক ছেড়ে হাতের ডানে মেঠোপথে সামান্য সামনের দিকে চলতে হবে৷ এখানেও বড় একটি পুকুরের দক্ষিণ পাশে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের ধ্বংসাবশেষ৷

এটির শুধু দেয়াল আর নিচের অংশই অবশিষ্ট আছে৷ স্থানীয়দের মতে সর্বপ্রথম গ্রামের লোকজনই মাটিচাপা পড়ে থাকা এই মসজিদ উদ্ধার করে৷ আকারে এ এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি৷ প্রায় ৭৭ ফুট লম্বা ও ৫৫ ফুট চওড়া মসজিদের ভেতরে আছে ৪৮টি পিলার৷ পশ্চিম দেয়ালে লতা-পাতার নকশা সমৃদ্ধ তিনটি মিহরাব আছে৷

সাতগাছিয়া মসজিদ থেকে এবার চলে আসা যাক পেছনের দিকে৷ বারোবাজার রেল লাইনের পশ্চিম দিকে বিশাল এক দিঘির পশ্চিম পাড় ধরে একটি সড়ক চলে গেছে হাসিলবাগ গ্রামে৷ এখানেও একটি বড় দিঘির পশ্চিম পাশে রয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট নুনগোলা মসজিদ৷ বর্গাকৃতির এ মসজিদে তিনটি অর্ধ বৃত্তকার মিহরাব আছে৷

এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ এটি৷ স্থানীয়রা একে লবণগোলা মসজিদও বলে থাকেন৷ তবে এ নামকরণের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না৷ নুনগোলা মসজিদের সামান্য পশ্চিমে হাসিলবাগ গ্রামে আরও একটি এক গম্বুজ মসজিদ আছে৷

হাসিলবাগ মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদের মূল নাম শুকুর মল্লিক মসজিদ৷ পোড়া মাটির তৈরি মসজিদটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ৷ এসব স্থাপনাগুলো ছাড়াও বারোবাজারে আছে আরও কিছু প্রসিদ্ধ স্থান৷

এসবের মধ্যে উল্লেখযাগ্য হল ঘোপের ঢিবি কবরস্থান, নামাজগাহ কবরস্থান, জাহাজঘাটা, মনোহর মসজিদ, দমদম প্রত্নস্থান, বাদেডিহি কবরস্থান, খড়ের দিঘি কবরস্থান ইত্যাদি ৷





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

ঘরে ঘরে আলাউদ্দিন তৈরী করো ঘরে ঘরে আলাউদ্দিন তৈরী করো
সন্ত্রাসী লিপ্টন-কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল মেম্বার গ্রেপ্তার সন্ত্রাসী লিপ্টন-কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল মেম্বার গ্রেপ্তার
নাজিম উদ্দিন মেম্বারের মত কালসাপই একসময় দংশন করবে বিএনপিকে নাজিম উদ্দিন মেম্বারের মত কালসাপই একসময় দংশন করবে বিএনপিকে
কুষ্টিয়াতে সন্ত্রাসীদের হামলায় চাচা ভাতিজা গুরুতর জখম কুষ্টিয়াতে সন্ত্রাসীদের হামলায় চাচা ভাতিজা গুরুতর জখম
সাজিদের রহস্যজনত মৃত্যু ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উত্তাল ইবি সাজিদের রহস্যজনত মৃত্যু ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উত্তাল ইবি
কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন গ্রেফতার কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন গ্রেফতার
বিএনপি’র নেতা ও বিআরবি’র কর্মচারী খালেকের ভূমিদস্যতা রুখবে কে ? বিএনপি’র নেতা ও বিআরবি’র কর্মচারী খালেকের ভূমিদস্যতা রুখবে কে ?
কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও ট্রিপল মার্ডারে রাজু শোন অ্যারেস্ট কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও ট্রিপল মার্ডারে রাজু শোন অ্যারেস্ট
শীর্ষ চরমপন্থী নেতা কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজু আটক শীর্ষ চরমপন্থী নেতা কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজু আটক

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)