সোমবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামো সমস্যায় ৪০ স্কুল
শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামো সমস্যায় ৪০ স্কুল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩০ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪০মি.) ঝিনাইদহে তিন বছর আগে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পায় ছয়টি বিদ্যালয়৷ কিন্তু অবকাঠামো সমস্যা আর শিক্ষকস্বল্পতার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতা দেখাতে পারেনি৷ এর মধ্যে চলতি বছর আরও ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর অনুমতি দেয়৷ বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে সদর উপজেলার ফুরসন্ধী, কালীগঞ্জের দামোদরপুর, কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীকুন্ডু, মহেশপুরের কুশাডাঙ্গা, শৈলকুপার কবিরপুর ও হরিণাকুন্ডু কাপাশহাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷
এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, অবকাঠামো সমস্যা আর শিক্ষকস্বল্পতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালানো তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে৷
২০১৬ সালে এই তালিকায় আরও ৩৪টি বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়৷ এর মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়টি, কালীগঞ্জে ছয়টি, কোটচাঁদপুরে তিনটি, মহেশপুরে ছয়টি, শৈলকুপায় আটটি ও হরিণাকুন্ডুু উপজেলায় পাঁচটি বিদ্যালয় আছে৷
কালীগঞ্জের দামোদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে সাতজন ক্লাস করছে৷ শিক্ষক সুমন বিশ্বাস ক্লাস নিচ্ছেন৷ চাটাই দিয়ে ভাগ করা কক্ষের আরেক পাশে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির চারজন শিক্ষক সুমনের জন্য অপেক্ষা করছেন৷
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রকিব উদ্দিন জানান, ২০১৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৭ জন ভর্তি হয়েছিল৷ কিন্তু শিক্ষকস্বল্পতার কারণে ঠিকমতো ক্লাস নিতে না পারায় অনেকে অন্যত্র চলে গেছে৷ ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মাত্র ৯ জন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়৷ কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিবছর ৪৫ থেকে ৫০ জন থাকে৷
শিক্ষকেরা বলেন, স্কুলে বর্তমানে ২৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে৷ শিক্ষক আছেন মাত্র পাঁচজন৷ একজন দীর্ঘদিন ধরে প্রেষণে অন্যত্র আছেন৷ একজন শিক্ষক মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাসগুলো নেন৷ এর মধ্যে বিদ্যালয়ে মাত্র চারটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে৷ কিন্তু দরকার কমপক্ষে ছয়টি৷
হরিণাকুন্ডু কাপাশহাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে৷ প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সাতটি ক্লাস একসঙ্গে চালাতে হয়, কিন্তু কক্ষ আছে ছয়টি৷ যে ছয়টি কক্ষ রয়েছে তার মধ্যে তিনটি পুরোনো টিনশেডের৷ সামান্য বৃষ্টি হলে সেখানে ক্লাস নেওয়া যায় না৷
তিনি আরও বলেন, এ বিদ্যালয়ে ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে৷ আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ বছর ৩১ জন ভর্তি হয়েছে৷ দিন দিন শিক্ষার্থী কমছে৷ বর্তমানে সপ্তম শ্রেণিতে ২৪, অষ্টম শ্রেণিতে ৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে৷ শিক্ষক আছেন ১০ জন৷
কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী পড়ছে৷ শ্রেণিকক্ষসংকট আছে৷ মেয়েদের জন্য পৃথক বাথরুম ও কমনরুমের দরকার৷ কিন্তু ব্যবস্থা করতে পারছেন না৷
হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনছার আলী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন৷ তাহলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর সুফল পাওয়া যাবে৷
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষকসংকট অনেকটা কমে এসেছে৷ অল্পদিনে আরও কমে যাবে৷ ওই স্কুলগুলোতে নতুন ভবন এবং মেয়েদের জন্য পৃথক বাথরুমের বিষয়টি তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন৷





কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করল আটককৃত স্বামী