বুধবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নেতারা কর্মীদের মূল্যায়ন না করলে আগামীতে তারা দলের মনোনয়ন পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
নেতারা কর্মীদের মূল্যায়ন না করলে আগামীতে তারা দলের মনোনয়ন পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: (১৯ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ২.১৫ মি.) “আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মীদের মূল্যায়ন না করলে আগামীতে তারা দলের মনোনয়ন পাবেন না।
পকেট কমিটি করে বসন্তের কোকিলদের যিনি ঠাঁই দেবেন তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, দলে তার স্থান হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মীদের মূল্যায়ন না করলে আগামীতে তারা দলেন মনোনয়ন পাবেন না। তৃণমূলের কর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। এই নিবেদিত কর্মীরাই ওয়ান ইলেভেনের উত্তাল সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সে সময়ে কোনো বসন্তের কোকিলদের রাজপথে দেখা যায়নি।”
৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট খানজাহান আলী কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির কাছে আওয়ামী লীগের নাম প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটির কাছে মঙ্গলবার সকালে পাঁচজনের নাম পাঠিয়েছে। ওই নাম থেকে কাউকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না করা হলেও আমরা এর প্রতিবাদ করবো না। রাষ্ট্রপতি যাকে উপযুক্ত মনে করবেন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিবেন। আর আওয়ামী লীগ তাকেই সাদরে গ্রহণ করবেন।”
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে বিএনপিকে অহেতুক জল না ঘোলা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। আপনারাও ওই নির্বাচনে অংশ নেবেন।”
ব্যর্থতার হতাশায় বিএনপি এখন বেপরোয়া বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, “তারা এখন পথহারা পথিক। তারা রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ। আন্দোলনের নামে খালেদার মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না।”
আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বা বিরোধী দল, যেখানেই থাকুক, সব সময় রাজপথে থাকে। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। দলে ছিটেফোঁটা সমস্যা থাকতেই পারে। যারা দলের পরগাছা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ।”
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যে বুলেট হত্যা করেছে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু সে বুলেটের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ষড়যন্ত্রকারীদের মনে রাখতে হবে, ১৯৮১ সালের শেখ হাসিনা আর ২০১৭ সালের শেখ হাসিনা এক নয়। বরং হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই এসব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ঠেকানো যাবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যত জনপ্রিয় হচ্ছেন, দিন দিন তত তার শত্রু বাড়ছে, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। তিনি প্রচ- ঝুঁকির মধ্যে আজ দেশ চালাচ্ছেন।
সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ আখ্যা দিয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, এ দেশ সকল ধর্মের মানুষের। সবাইকে এ উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের সঙ্গে আপোষ করলে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভেবে ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অন্যান্য ধর্মের মানুষদের প্রতি আহবানও জানান তিনি।বাগেরহাট জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ সকল আওয়ামী সংগঠন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্বে সোচ্চার থাকবেি বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপির সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত নারী এমপি হ্যাপী বড়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শারমিন সুলতানা লিলি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সেখ তুহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারন সম্পাদক সরদার নাহিয়ান আল সুলতান ওশান, সহ সভাপতি ইমরুল কায়েস পান্থ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিসাতুল ইসলাম অরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তাসবীর বাশার, অনিরুদ্ধ দাস, প্রচার সম্পাদক পিয়াস, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি উজ্জল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক রানা সরদার প্রমুখ।