বৃহস্পতিবার ● ২৩ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » বরগুনা » বামনায় তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
বামনায় তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
 বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার বামনা উপজেলার কাকচিড়া গোলককাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে ঢুকে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া মো.শামীমকে (১০) নামে এক শিশুকে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মারধর করেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটির দেবর মজনু হাওলাদার মনু। প্রভাবশালী মজনুর অব্যাহত হুমকিতে গুরুতর আহত শামীমকে গত দুইদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দিতেও পারেনি শিশুটির পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত শামীমকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শামীম উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মো. চুন্নু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মজনু হাওলাদার মনু উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মৃতু আর্শ্বেদ হাওলাদারে ছেলে। স্থানীয় ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানাগেছে, কাকচিড়া গোলককাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গত রবিবার দুপুর ১২টায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর ক্লাশ ছুটির পরে শ্রেনী কক্ষে বই রাখাকে কেন্দ্র করে সহপাঠী মজনু হাওলাদারের নাতি লিয়ার (৯) সাথে শামীমের দ্বন্দ হয়।
এ খবর পেয়ে মজনু হাওলাদার ও তার মেয়ে রানী বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের ঢুকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাচান সহ উপস্থিত শিক্ষকদের সামনে বেধকর মারধর করে এবং শিক্ষার্থীকে তুলে আছাড় মারে। এতে শামীম গুরুতর আহত হয়। ্ঘটনাস্থলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও শিশুটিকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে শিক্ষার্থী শামীম জানায়। তবে ওই দিন প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটির উপস্থিত হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর থাকলেও সে ঘটনার সময় বিদ্যালয় উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষার্থী শামীমকে মারধরের খবর শুনে প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটি বিদ্যালয়ে আসেন। এর পর প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটি ও সহকারী শিক্ষক আবু হাচান উল্টো শিক্ষার্থী শামীমকে বাকা দেয় এবং বিষয়টি বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের কাছে জানাতে নিষেধ করেন। শামীম আহত অবস্থায় বাড়ীতে গেলে তার নানী ও খালা প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তখন প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটি, সহকারী শিক্ষক আবুল হাচান এবং অভিযুক্ত মজনু হাওলাদার মনু এ বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকী দেয়।
প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটি, সহকারী শিক্ষক আবু হাচান এবং অভিযুক্ত মজনু হাওলাদার মনুর অব্যাহত হুমকির ভয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার গত দুই দিনে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে পারেনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় আহত শিক্ষার্থী শামীমকে চিকিৎসার জন্য বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো.ইব্রাহীম মাঝির ছেলে মো. জাকির(৮) জানায়, মজনু হাওলাদার ও তার মেয়ে ক্লাশে ঢুকে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শামীমকে মারধর করে। সে শিক্ষকদের সহায়তা চাইলেও শিক্ষকরা তাকে রক্ষা করেনি। অভিযুক্ত মজনু হাওলাদার মনু বলেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে মারা আমার অন্যায় হইছে। আমার নাতীকে মারছে এই জন্য আমি রাগে শামীমকে দুএকটা চরথাপর দিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বিউটি বলেন,আমি বিরোধ মিটিয়ে দিয়েছি।
কি বিরোধ হয়ে ছিল সে বিষয় জানতে চাইলে সে বলেন,যে বিরোধই হউক আমি মিডাইয়া দিছি, স্যারের সাথে বলছি, আমাকে উত্তেজিত করবেন না।
বামনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র মালাকর বলেন, আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছি এবং বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তে জন্য একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনাটি আমরা জেনেছি
শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

      
      
      



    রিফাত হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি    
    করোনায় মৃত্যু দাফন কাজে এগিয়ে এলো এক মানবতার ফেরিওয়ালা    
    আ’লীগ নেতা গোলাম কবির আর নেই    
    বরগুনায় চাল আত্মসাৎকারী ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আটক    
    বরগুনার ইয়াবা পাচারকারী নারী সাংবাদিক পটিয়া থানা থেকে উধাও    
    মিন্নির জামিন না মঞ্জুর : ৫ দিনের রিমান্ডে    
    বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা    
    বিষখালীর ভাঙ্গন রোধের আশ্বাস দিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী    
    বরগুনায় স্ত্রী ও মেয়েকে পুড়িয়ে স্বামীর আত্মহত্যা    
    বরগুনায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা