শিরোনাম:
●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন ●   প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল ●   রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব ●   ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ●   ঘোড়াঘাটে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   খাগড়াছড়িতে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের ব্রিফিং ●   নিয়মরক্ষার উপজেলা নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়, অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র ●   জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের স্বীকৃতির দাবির স্মারকলিপি হস্তান্তর ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাষ্টের কার্যনিবাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসের এডি’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ ●   ঘোড়াঘাট বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ●   নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে : সাইফুল হক ●   কাউখালীতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু ●   রাঙামাটিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা ●   কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে রাঙামাটিতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ●   কল্পনা অপহরণ মামলা খারিজের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভ ●   নিখোঁজ তরুণী উদ্ধার হওয়ার পরেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি পরিবার ●   ঈশ্বরগঞ্জে প্রার্থীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা ●   গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একশ্রেণীর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে ●   বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রেস ইউনিটির নাম সংশোধন ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত B ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আহত-৪ ●   বান্দরবানে শিশু আইন-২০১৩ শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ●   রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মাদকসহ গ্রেফতার-৫ ●   ঘোড়াঘাটে খাদ্য গুদাম সিলগালা কর্মকর্তা উধাও ●   নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন সাংবাদিক লিয়াকত ●   সন্দ্বীপে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে গবাদি পশু বিতরণ ●   লন্ডনে এনায়েত খান মহিলা কলেজের সকল সদস্যদের মিলন মেলা ●   রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত
রাঙামাটি, বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১০ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া
৮২৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১০ নভেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া

---অনলাইন ডেক্স :: (সূত্র তথ্য অধিদপ্তর তথ্য বিবরণী) বর্তমান সভ্যতাকে বলা হয় ইন্টারনেট সভ্যতা। ইন্টারনেট মানেই অনলাইন। এই সভ্যতায় আমাদের যাত্রাকে আমরা “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বলে চিহ্নিত করেছি। আমাদের স্বপ্ন, আমরা ২০২১ সালের মাঝে বঙ্গবন্ধুর একুশ শতকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। আমরা এই সময়ে হতে চাই একটি সমৃদ্ধ-উন্নত মধ্যম আয়ের দেশ, যাতে থাকবেনা দারিদ্র, থাকবেনা অশিক্ষা বা বৈষ্যৈ। আমরা সেই স্বপ্নকে পুরণ করতে চাই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন আমরা এরই মাঝে আমাদের চারপাশের সবকিছুকে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। সেই লক্ষ্য অর্জন এবং সার্বিক ভাবে সারা দুনিয়ার মতো জাতিগতভাবে আমাদের ইন্টারনেট নির্ভরতাও প্রশ্নাতীত। ২০১৩ সালের জুন মাসের হিসাব অনুসারে দুনিয়ার ২৪০ কোটি ৫৫লাখ ১৮ হাজার ৩৭৬ জন ইন্টারনেট ল্টবহার করতো, যার শতকরা ৪৪ ভাগই এশিয়ার। বাংলাদেশের অবস্থা দুনিয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। এদেশে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখা ছিলো ৩ কোটি ৬১ লাখ ২৮ হাজার ৫৯২। প্রযুক্তিগত দিকে থেকেও ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ অংশ। এখন মানুষের জীবনযাপন, তথ্য আদান-প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ,পরিচালনা, ব্যবসা-বাণিজ, যোগাযোগ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ইন্টারনেট। লেখা,চিত্র ও শব্দ ও ইন্টারএাকটিভিটি সহযোগে ইন্টারনেটে তথ্য ও উপাত্তকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব যা আর কোন মাধ্যমেই তেমনটা সম্ভব নয়। এটি একদিকে হতে পারে খবরের কাগজ, ব্যক্তিগত ডাইরী বা সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। অন্যদিকে ইন্টারএাকটিভিটিসহ রেডিও, টিভি সম্প্রচারও এই প্রযুক্তিতে সম্ভব। এখনই বিভিন্ন ধরনের নিউজ পোর্টাল, নিউজ ব্লগ, আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও ইত্যাদি নানা ধরনের অনলাইন গণমাধ্যমের আবির্ভাব ঘটছে। দেশের বিদ্যমান কাগজ ও সম্প্রচারনির্ভর জাতীয় গণমাধ্যম গুলোও এখন ইন্টারনেটকে নির্ভর করছে এবং তাদের তথ্য-উপাত্ত ও সম্প্রচার ইন্টারনেটেও প্রকাশ করছে। ফলে ইতিমধ্যে বিরাজমান সকল গণ মাধ্যমের চাইতেও রুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে অনলাইন গণ মাধ্যম। বস্তুত দেশে অনলাইন গণ মাধ্যমের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটি দিনে দিনে আরও বাড়তেই থাকবে। সেই প্রেক্ষিতটির প্রতি লক্ষ্য রেখে এখনই একথা বলা যায় যে, অনলাইনে প্রকাশিত গণমাধ্যমের বিষয়টিকে আর অবহেলা করা যায়না।

বিদ্যমান অবস্থায় এইসব গণ মাধ্যম একদিকে কোন স্বীকৃতি বা সুযোগসুবিধা পায়না, অন্যদিকে গণমাধ্যমের জাতীয় মান রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। এটি এখন যেমন খুশি তেমন সাজো অবস্থায় চলছে। কোন আইন কানুন নিয়ম নীতি, নিবন্ধন ইত্যাদি এখানে বিদ্যমান নেই। এমন অবস্থা কোন মহলেরই কাম্য হতে পারেনা।

এজন্যেই জাতীয় অনলাইন গণ মাধ্যমের স্বীকৃতি, মান বজায় ও নীতিনৈতিকতা গড়ে তোলার জন একটি জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণীত হওয়া বাঞ্ছণীয়। সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে একটি খসড়া প্রস্তুত করে প্রকাশ করেছিলো গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে । প্রকাশিত সেই খসড়াটি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভায় খসড়া প্রণয়নের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। সেই উপ-কমিটি আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে একটি খসড়া প্রস্তুত করে।

১.১নীতিমালার নাম:
এই নীতিমালার নাম জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৪।
১.২ নীতিমালার উদ্দেশ ও লক্ষ্য
.১ অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনার ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা;
১.২.২ অনলাইন গণ মাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতি ও মান অনুস্মরণ, গণতন্ত্রের বিকাশ, বহুত্ববাদ ও বৈচিত্রতা
সঠিকতা, নিরপেক্ষতা ও গণমুখীনতা বজায় রাখা এবং তথ্যের অবাধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা;
১.২.৩ জনগণের মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে গণমাধ্যম সমুহের অধিকতর স্বাধীনতা এবং দায়বদ্ধতা
নিশ্চিতকরণ;
১.২.৪ অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্যাগ গ্রহণ এবং এর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান;
১.২.৫ সরকারি ও বেসরকারি অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় উন্মুক্ত ও সুষম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা;
১.২.৬ সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অনলাইন গণমাধ্যমকে আরো গতিশীল ও দক্ষ করে গড়ে তোলা;
১.২.৭ অনলাইন গণ মাধ্যমের সহায়তায় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ,
কর্মসংস্থান, রপ্তানী বৃদ্ধি, সরকারি সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচন ইত্যাদি কর্মসচিতে জনগণের
অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা;
১.২.৮ সমাজের সকল ক্ষেত্রে সকল প্রকারের বৈষ্যৈ নিরসন করে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠায় অনলাইন গণমাধ্যমের ভমিকা নিশ্চিত
করা।
১.৩ নীতিমালার প্রধান দিকসমুহ :
১.৩.১ অনলাইন গণমাধ্যম সেবা প্রদানকারীদের লাইসেন্স প্রদান, পর্যবেক্ষণ (Monitoring)) এবং মান বজায় রাখার লক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক
কাঠামো গড়ে তোলা;
১.৩.২ লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে সকল অনলাইন গণমাধ্যমকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আওতায় এনে এ সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা
করা;
১.৩.৩ জনস্বার্থ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূলবোধ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সামঞ্জ্য রেখে যাতে
অনলাইন গণমাধ্যম সেবাদানকারী কর্তৃক তথ্য ও উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার করা হয় তা নিশ্চিতকরণ;
১.৩.৪ বাংলাদেশের নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমের ভমিকা নিশ্চিতকরণ;
১.৩.৫ অনলাইন গণ মাধ্যমের সহায়তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও সম্মান সমুন্নত
রাখার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ;
১.৩.৬ সমাজে নৈতিক অবক্ষয় রোধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকরণ;
১.৩.৭ জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে অনলাইন গণমাধ্যমের অবদান নিশ্চিতকরণ;
১.৩.৮ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা;
১.৩.৯ অশ্লীলতা রোধ এবং সামাজিক মূ্ল্যবোধের পরিপন্থী কোন বিজ্ঞাপন বা তথ্য- উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার না করার মাধ্যমে
সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ, দেশীয় সাহিত, কৃষ্টি/ সংস্কৃতি উন্নয়নে সহায়তাকরণ।
১.৩.১০ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধে সহায়তা করা।
১.৪ নীতিমালার কৌশলসমহ
১.৪.১ এ নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সকল অংশীজন (Stakeholder) দের পরামর্শ গ্রহণ;
১.৪.২ এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন করা;
১.৪.৩ অনলাইন গণমাধ্যম কমিশনের মাধ্যমে গণ- মাধ্যমের কর্মকান্ড- সমন্বয় করা।
১.৫: সংজ্ঞা ও পরিধি
এই নীতিমালার আলোকে অনলাইন গণমাধ্যম বলতে বাংলা, ইংরেজি বা অন্য কোন ভাষায় জনগণের জন্য ইন্টারনেট মাধ্যমে
ভিডিও, অডিও, টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়ার অন্য কোন রূপে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে
বোঝাবে। এই ধরনের সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এই নীতিমালার পরিধিতে থাকবেন। সরকার ব্লগ বা অন্য ধরনের কাঠামোতে
পরিচালিত অনলাইন প্রকাশনা, প্রচার বা সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানকে এই গণমাধ্যমের আওতায় আনতে পারবেন।
দ্বিতীয় অধ্যায় :
অনলাইন গণমাধ্যম লাইন্সেন্স
২.১ লাইসেন্স প্রদান
২.১.১ সকল অনলাইন গণ মাধ্যমকে সরকারের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে; সরকার লাইসেন্স ফিস বাবদ “নাম মাত্র ফিস”
ধার্য করবে।
২.১.২ সরকার একটি লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নিয়মে অনলাইন গণ মাধ্যমকে লাইসেন্স প্রদান
করবে। বিদ্যমান অনলাইন গণমাধ্যমসমুহ শর্ত পরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স পাবে।
২.১.৩ সরকার অংশীজনদের (Stakeholder) সাথে আলোচনা করে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামুলক
উন্মুক্ত স্বতন্ত্র আইন/ নীতিমালা/ বিধিমালা প্রণয়ন করবে। এতে লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি, লাইসেন্স প্রদানের যো্গ্যতা ও অযোগ্যতা,
লাইসেন্স বাতিল ও অগ্রায়নের বিধান বর্ণিত থাকবে;
২.১.৪ এ সম্পর্কিত আইন/ নীতিমালা/ বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় এ সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয়
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
২.১.৫ লাইসেন্স প্রাপ্ত সকল অনলাইন গণ মাধ্যম সরকারের কাছে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে এবং শর্ত পরণ সাপেক্ষে
সরকারি বিজ্ঞাপনসহ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পাবে।
তৃতীয় অধ্যায়
অনলাইনে তথ্য-উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার সংক্রান্ত নীতিমালা
৩.১ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার ইতিহাস
৩.১.১ তথ্যের অবাধগ্যেতা, শিক্ষার প্রসার, উন্নয়নমলক কর্মকান্ডে সকলকে উদ্ধুদ্ধকরণ, নির্মল আনন্দদান ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা
হবে অনলাইন গণমাধ্যমের তথ্য- উপাত্ত প্রকাশ ও সম্প্রচারের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যেরভিত্তিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার,
প্রকাশ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে;
৩.১.২ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও নীতিমালা সমুন্নত রাখতে
হবে;
৩.১.৩ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাসসহ সর্বজন স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা গৌরবান্বিত করতে হবে।
৩.২ সংবাদ ও তথ্যমুলক বিষয়াদি :
৩.২.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত কোন তথ্য- উপাত্ত কোন প্রকার অসঙ্গতিপর্ণ বিভ্রান্তিমুলক অসত্য
তথ্য বা উপাত্ত দেয়া যাবেনা। সকল প্রকারের তথ্য-উপাত্তে উভয় পক্ষের যুক্তিসমুহ যথাযথ ভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকতে হবে;
৩.২.২ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নিম্নবর্ণিত জাতীয়রুত্বপর্ণ অনুষ্ঠানসমহের তথ্য-উপাত্ত বাধ্যতামুলকভাবে প্রচার, প্রকাশ বা
সম্প্রচার করতে হবে। যথাঃ- জরুরী আবহাওয়া বার্তা, স্বাস্থবার্তা, গুরুত্বপর্ণ ঘোষণা, সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রেস নোট, সরকার
কর্তৃক সময় সময় অনুমোদিত জাতীয় গুরুত্বপর্ণ অনুষ্ঠানসমুহ ইতাদি।
৩.৩ ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুভুতি
৩.৩.১ দেশীয় সংস্কৃতির অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের আবহমানকালের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার প্রতিফলন, বাংলাদেশী
সংস্কৃতির সঙ্গে জনসাধারণের নিবিড় যোগসুত্র স্থাপন এবং বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে
দেশীয় সংস্কৃতির সুষ্ঠু প্রতিফলন করতে হবে;
৩.৩.২ ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীসমহের সংস্কৃতির অগ্রগতির জন্য তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন করতে হবে।
৩.৩.৩ সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্প ও শিল্পীদের অনুসন্ধান ও আবিষ্কার করে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে
হবে এবং জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে;
৩.৩.৪ রাষ্ট্র ভাষাকে যোগ্য মর্যাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে অনুষ্ঠান এবং এই উদ্দেশে সঠিক বাংলা বানান ও উচ্চারণের একটি
আদর্শ মান স্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। তথ্য পাঠ, প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনক্রমেই প্রমিত বানান বা উচ্চারণের মান
শিথিল করা যাবে না; প্রয়োজনে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে, তবে কোনক্রমেই কোন অঞ্চলের প্রতি কৌতুক বা পরিহাস
করার জন্য আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবেনা;
৩.৩.৫ সকল ধর্মীয় অনুভতির প্রতি পর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে;
৩.৩.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য উপাত্তে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় তথা সমাজ
জীবনের সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমমর্যাদা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের লক্ষে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নারী সমাজ আমাদের
জাতিকে প্রত্যয়দীপ্ত রাখার ব্যাপারে সত্যিকারের অর্থপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এর স্পষ্ট প্রতিফলন থাকতে হবে।
৩.৪ উন্নয়নমলক কর্মকান্ড :
৩.৪.১ উন্নয়নমলক কর্মকা- বিশেষ করে স্বেচ্ছাভিত্তিক কাজের উদ্বুদ্ধকরণ এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ বা
সম্প্রচারের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে। একই সাথে শ্রমের মর্যাদা ও কায়িক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং এজন্য কোন পেশা বা বৃত্তি যে অমর্যাদাকর নয় সেটি তথ্য-উপাত্ত
প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচারের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলতে হবে;
৩.৪.২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশকে
স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার আন্দোলনে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক ও অনান্য কর্মীদেরকে
গুরুত্বপর্ণ ভমিকা ও দায়িত্ব পালনে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে;
৩.৪.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে জনসংখা বৃদ্ধির ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণকে
সচেতন রাখতে ও এ সম্পর্কে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শালীনতা, রুচি ও দেশীয় কৃষ্টির প্রতি
লক্ষ্য রেখে জনসংখা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত প্রদান করতে হবে;
৩.৪.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে জনসাধারণকে দেশের শিল্পের উন্নয়নের ও
দেশের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে হবে;
৩.৪.৫ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে যুব সম্প্রদায়ের সৃজনশীল চিন্তাধারা ও শক্তিকে
কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের পথনির্দেশনা দিতে হবে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে ফলপ্রসু ইঙ্গিত প্রদান করতে হবে;
৩.৪.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে উন্নয়ন, সামাজিক কুসংস্কার
থেকে মুক্তি এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ অবদমনের দায়িত্ব পালন করার লক্ষে সকল প্রকার দুর্নীতি দমন ও সমাধানের সুস্পষ্ট
ইঙ্গিত থাকতে হবে;
৩.৪.৭ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সকল তথ্য-উপাত্তে জাতীয় সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন সংশ্লিষ্ট সকল
কর্মচারী এবং জনসাধারণকে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সচেতন করে তুলতে হবে।
৩.৫ তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার বিষয়ক সতর্কতা :
৩.৫.১ অনলাইন গণমাধ্যমে শিশু বা নারীর প্রতি সহিংসতা, অসমমুলক আচরণ বা হয়রানীমুলক কর্মকান্ডকে উদ্ধুদ্ধ করে এমন
অনুষ্ঠান প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না;
৩.৫.২ অনলাইন গণমাধ্যমে শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক, মানবিক এবং নৈতিক গঠনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এমন ধরণের অশ্লীল,
তথ্যগতভাবে ভ্রান্ত বা ভাষাগতভাবে অশোভন কিংবা সহিংসতামুলক অনুষ্ঠান প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না;
৩.৫.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে কোন প্রকার অশোভন উক্তি/ আচরণ করা যাবে না এবং অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা
অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তনে সহায়ক হতে পারে এমন তথ্য উপাত্ত বা দৃশাবলী প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা
যাবেনা;
৩.৫.৫ অনলাইন গণমাব্ধমে মানবিক অনুভতিতে আঘাত করে এমন তথ্য-উপাত্ত, হতাকান্ড-, নৃশংস হত্যাকান্ড, দুর্ঘটনায়
নিহত ও আত্মহতার মৃতদেহ এবং নির্যাতিত, ধর্ষিত এবং ব্যভিচার এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ কোন নারী বা শিশুর স্থির বা চলচ্চিত্র প্রদর্শন
করা যাবেনা;
৩.৫.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে মানবিক অনুভতিতে আঘাত করে করে এমন কোন মানুষ বা প্রাণী নির্যাতনের এমন দৃশ্য তথ্য উপাত্ত বা
দৃশাবলী প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবেনা;
৩.৫.৭ অনলাইন গণমাধ্যমে দেশী ও বিদেশী ছবি/ অনুষ্ঠানে অশ্লীল, হিংসাত্মক, সন্ত্রাসমুলক এবং দেশীয় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের
পরিপন্থী কোন তথ্য উপাত্ত বা দৃশাবলী প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবেনা;
৩.৬ শিক্ষামুলক তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার:
৩.৬.১ অনলাইন গণমাধ্যমে জনস্বার্থে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট শিক্ষার আলো পৌঁছে
দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষামুলক তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করতে হবে।
৩.৬.২ অনলাইন গণমাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক শিক্ষামুলক কর্মকান্ড বা তথ্য নির্ভর প্রতিবেদন প্রস্তুত বা প্রামাণ্য
তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করতে হবে।
৩.৬.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে দেশের প্রতিটি নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষর হতে সচেতন ও আগ্রহী করার জন্যে তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ
ও সম্প্রচার করতে হবে।
৩.৭ বিবিধ
৩.৭.১ প্রতেকটি অনলাইন গণ মাব্ধমের সুনির্দিষ্ট charter of duties ও সম্পাদকীয় নীতিমালা থাকতে হবে;
৩.৭.২ সকল তথ উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করার ক্ষেত্রে The Censorship of FilmAct- 1963, ICT Act
বা সংশ্লিষ্ট আইনসমুহ ও তার অধীন প্রণীত বিধি বা নীতিমালার পরিপন্থী কোন তথ্য উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবেনা।
চতুর্থ অধ্যায়
বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নীতিমালা
৪.১ রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় ব্যক্তি এবং বিজ্ঞাপন
৪.১.১ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিদেশী কুটনীতিক এবং জাতীয় বীরদের অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত
পণ্যের বিজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে গণসচেতনতা ও সমাজ সংস্কার ‍মুলক বিজ্ঞাপনে দেশের স্বনামধন্য নাগরিকদের
সম্মতিক্রমে বিজ্ঞাপনে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে;
৪.১.২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ভাষা, দৃশ্য কিংবা নির্দেশনা কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক
অনুভতির প্রতি পীড়াদায়ক হতে পারবে না। ধর্মীয় অনুভতিকে ল্টবহারের মাব্ধমে পŸের বাণিজিক উদ্দেশ হাসিলের লক্ষেম
র, গীর্জা ইতাদি স্থানের ধর্মীয় স্থিরচিত্র কিংবা চলমান চিত্র উপস্থাপন করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপনে ল্টবহৃত বিষয়বস্তুর
প্রয়োজনে ধর্মীয় অনুভূতিকে আহত না করে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের চিত্র প্রকাশ বা প্রদর্শন বিবেচনা করা যেতে পারে;
৪.১.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে বন্ধু রাষ্ট্রসমুহের সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি করতে পারে, এমন বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা
যাবে না;
৪.১.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধর্ম বা মতাবলম্বীদের মধ্যে বিদ্বেষ বা বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে এমন বিজ্ঞাপন প্রচার প্রকাশ বা
সম্প্রচার করা যাবে না।
৪.২ পণ্য, পণ্যের মান এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
৪.২.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট
(বিএসটিআই) এর তালিকাভুক্ত পণ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিএসটিআই মান নিয়ন্ত্রণ সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া
অনান্য ক্ষেত্রে (যেখানে প্রযোজ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মান নিয়ন্ত্রণ সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে;
৪.২.২ অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে এমন কোন বর্ণনা বা দাবী প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না যাতে জনগণ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে প্রতারিত হতে পারে;
৪.২.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে প্রতিযোগী পণ্যের তুলনা বা নিন্দা করে শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করা
যাবে না। অন্য পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে অমর্যাদাকর কোন উক্তি করা যাবে না;
৪.২.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদের আকারে বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না। অনুষ্ঠান হতে বিজ্ঞাপন ভিন্নতর
হতে হবে। নাটক বা কোন অনুষ্ঠানের ভিতরে বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু প্রত্যক্ষ করা যাবে না;
৪.২.৫ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনের অডিও মানসম্মত এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে, অতি
কোলাহলপর্ণ ও কর্ণপীড়াদায়ক হবে না। বিজ্ঞাপনে নোংরা ও অশ্লীল শব্দ, উক্তি, সংলাপ, জিংগেল ও গালিগালাজ ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত
করা যাবে না;
৪.২.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে কোন দেশী- বিদেশী গান বা গানের অংশ বা গানের সুর
সুরকার ও স্বত্বাধিকারীর অনাপত্তি নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে;
৪.২.৭ অনলাইন গণমাধ্যমে কোন ধরণের নকল বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না;
৪.২.৮ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ঔষধ জাতীয় পণ্য, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনেষ্টিক
সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইতাদির ক্ষেত্রে স্বাস্থ মন্ত্রণালয় অথবা তার অধীনস্থ অধিদপ্তরের অনুমোদন/ ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে;
৪.২.৯ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত পেশাগত পরামর্শ পরিহার করতে হবে। ঔষধপত্র, চিকিৎসা বিষয়ক
পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরামর্শ প্রদান করা যাবে না এবং তাদের পরিচয় প্রচার,
প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না। অনুরূপভাবে অনান্য ক্ষেত্রে বাণিজিকভাবে ব্যবহৃত পণ্যের বিজ্ঞাপনে পেশাগত পরামর্শ পরিহার
করতে হবে। তবে, সচেতনতামুলক বিজ্ঞাপন যেমন- এইডস, ডায়রিয়া, ডেংগু, যক্ষ্মা, মহামারি ইত্যাদি প্রতিরোধ, মাদক নিয়ন্ত্রণ,
এসিড নিক্ষেপ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুমতিক্রমে পরিচয়সহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পেশাগত পরামর্শ দেখানো যেতে পারে;
৪.২.১০ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত দেশে উৎপাদিত তথা দেশীয় বা সেবার বিজ্ঞাপনে দেশীয় মডেল
ব্যবহার করতে হবে। তবে, দেশীয় পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনে সীমিত সংখ্যক বিদেশী মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে;
৪.২.১১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিদেশে উৎপাদিত পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনে বিদেশী মডেল ব্যবহার
করা যেতে পারে;
৪.২.১২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে পরিবেশ বিনষ্টকারী বা বন্ধুসুলভ নয় এমন দৃশ্য দেখানো
যাবে না;
৪.২.১৩ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত গুরুত্বপর্ণ ভবন, স্থাপনা, কার্যালয়,
যেমন- জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, কোর্ট বা আদালত ও আদালতের কার্যক্রম, সেনানিবাস
এলাকা, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি প্রদর্শন করা যাবে না।
৪.৩ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা এবং সংস্কৃতি
৪.৩.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে মহান স্বাধীনতা দিবস, মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থান, ভাষা
আন্দোলন ইত্যাদি পর্যায়ের বিষয়গুলোর মর্যাদা ও সম্মান সমুন্নত রাখার লক্ষে এবিষয় গুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্তর্ভূক্ত করা
যাবে না;
৪.৩.২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত কোন বিজ্ঞাপন শোভনীয়, সুন্দর, সুরুচিপর্ণ ও পরিমার্জিত কিনা এ
বিষয়ে কোনরূপ দ্বিধা/ সন্দেহ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট নিউজ পোর্টালের অনলাইন টিভি চ্যানেলকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
৪.৩.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত কোন বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয় এবং যা
শিশু- কিশোর এবং যুব সমাজের মধ্যে হতাশা বা সংস্কৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা যাবেনা। কিশোর বা যুব সমাজ অর্থনৈতিক
ও সামাজিকভাবে হেয় হয় এবং শারিরীক অক্ষম বা দৈহিক বর্ণনাকে কেন্দ্র করে কোন বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যাবে না
এবং শ্রমের মর্যাদা থেকে বিরত রাখার কোন ধারণাকে (concept) গ্রহণ করা যাবে না;
৪.৩.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপন দেশের প্রচলিত আইন, রীতি- নীতি, ঐতিহ ও সংস্কৃতির
সাথে সামঞ্জস্যপর্ণ হতে হবে। বিজ্ঞাপনে রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা বা সংহতি বিনষ্ট হয় এমন কোন মনোভাব প্রদর্শন করা যাবে না;
৪.৩.৫ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণকারী মডেলদের পোষাক- পরিচ্ছদ শালীনতাপূর্ণ
ও সামঞ্জস্যপর্ণ হতে হবে।
৪.৪ শিশু এবং নারীর অধিকার :
৪.৪.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে শিশুদের পরনিন্দা, বিবাদ, কলহের দৃশ্য পরিহার করতে
হবে ও চরিত্র গঠনের সুশিক্ষা প্রদানের দিকে বিশেষ লক্ষ্য দিতে হবে;
৪.৪.২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে শিশুদের নৈতিক, মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
করতে পারে এমন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। শিশুদের স্বাভাবিক বিশ্বাস ও স্বভাব সুলভ সরলতার সুযোগকে প্রতারণাপর্ণ ও
চাতুর্যের সাথ কাজে লাগিয়ে কোন বাণিজিক উদ্দেশ্যে হাসিলের প্রয়াস গ্রহণযো্যে হবে না;
৪.৪.৩ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত গুড়ো দুধের বিজ্ঞাপনে ৫ (পাঁচ) বছরের কম বয়সের শিশুদের মডেল
হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না কিংবা ছবি প্রদর্শন করা যাবে না। এছাড়া গুড়ো দুধের বিজ্ঞাপনে নিম্নলিখিত দুইটি বাক্য পৃথকভাবে
সুপার ইম্পোজ করে সুস্পষ্টাক্ষরে দেখাতে হবেঃ
ক) সম্প্রচারের ক্ষেত্রে “শিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই’’- কমপক্ষে ৫ সেকেন্ড দেখাতে হবে। প্রকাশনার ক্ষেত্রে এই বাক্যটি
গুরুত্বপর্ণভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
খ) সম্প্রচারের ক্ষেত্রে “এইঁ গুড়ো দুধ এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নয়”- কমপক্ষে ৫ সেকেন্ড দেখাতে হবে। প্রকাশনার
ক্ষেত্রে এই বাক্যটি গুরুত্বপর্ণ ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
৪.৪.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত শিশুদের বিজ্ঞাপনে এমন কিছু প্রচার করা যাবে না যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি
করে এবং সরাসরি ভাবে শিশুদেরকে প্রলুব্ধ করে এবং তাদের শারীরিক এবং মানসিক গঠন ব্যাহত করে;
৪.৪.৫ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত যে কান খাদ্য বা পানীয় এর বিজ্ঞাপনে উক্ত খাদ্য বা পানীয়ের পুষ্টি ও
খাদ্যগুণ এবং স্বাস্থগত প্রভাব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং সুপার ইম্পোজ করে স্পষ্টাক্ষরে দেখাতে হবে; প্রকাশনার ক্ষেত্রে
এইসব বিষয় গুরুত্বপর্ণভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
৪.৪.৬ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে শিশুদের দ্বারা বিপদজনক কোন দ্রব্য যেমন- বিস্ফোরক,
দিয়াশলাই, প্রেট্রোল বা দগ্ধকারক দ্রব্য, যন্ত্র বা বদক্ষতিক যন্ত্রপাতি, ঔষধপত্র ইতাদি ল্টবহারের দৃশ দেখানো যাবে না। যে কোন
পরিস্থিতিতে বিজ্ঞাপনচিত্রে শিশুদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। ঝুঁকিপর্ণ
দৃ্শ্য দেখানো যাবে না;
৪.৪.৭ অনলাইন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চর্চা এবং যৌক্তিক বিরতির
সময়সীমা অনুসরণ করতে হবে। এই বিষয়ে কোন অভিযোগ আসলে অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিবে;
৪.৪.৮ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনচিত্রে ভয়- ভীতি সৃষ্টিকারী কোন কিছু প্রদর্শন করা যাবে না।
ফাঁসি, শ্বাসরোধ, আত্মহত্যা, অঙ্গবিচ্ছেদ ইত্যাদি বীভৎস দৃশ্য দেখানো যাবে না। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তির স্নায়ুর উপর
চাপ সৃষ্টি করতে পারে এরূপ প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার যাবে না;
৪.৪.৯ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ধর্ষণ, ব্যভিচার, অশ্লীল ছবি বা চলচ্চিত্র দেখানো, নারী
নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বা তাঁদের প্রতি শারীরিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে, কিশোরী ও
মহিলাদের উত্যক্তকরণ এবং তাঁদের প্রতি অশোভন অঙ্গভঙ্গীতে উৎসাহ দেয় এই ধরনের বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞাপন চিত্র প্রচার, প্রকাশ বা
সম্প্রচার করা যাবে না।
৪.৫ বিবিধ
৪.৫.১ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনী অথবা দেশের আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায়
নিয়োজিত অন কোন বাহিনীর প্রতি অশোভন কটাক্ষ, বিদ্রুপ বা অবমাননা করা যাবে না। বাণিজিক উদ্দেশে নির্মিত কোন একটি
পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসাবে প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ বা অন্য কোন আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসদের প্রদর্শন করা
যাবে না। তবে, জনস্বার্থে জনসচেতনতা ও সমাজ সংস্কারমলক বিজ্ঞাপনে প্রয়োজনবোধে এসব বাহিনীর লোকদের বিজ্ঞাপনচিত্রে
অনুমতিক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিজস্ব কোন ঘোষণা বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিজ্ঞাপন হিসাবে
প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করা যেতে পারে;
৪.৫.২ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নীতিবোধের উন্নয়ন, সামাজিক
কুসংস্কার থেকে মুক্তি এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ রোধ করার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকতে হবে;
৪.৫.৩ অনলাইন গণ মাধ্যমকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজ দায়িত্বে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন
নীতিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ না করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট গণ মাধ্যমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
৪.৫.৪ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপণানিক শব্দাবলী, পরিসংখ্যান, উদ্বৃতি ইত্যাদি বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের
ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, যেন সাধারণ দর্শকদের নিকট বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়। পরবর্তীতে সৃষ্ট কোন জটিলতার জন্য
বিজ্ঞাপনদাতাকে দায়- দায়িত্ব বহন করতে হবে;
৪.৫.৫ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপন শোভনীয়, সুন্দর, সুরুচিপর্ণ ও পরিমার্জিত হতে হবে;
৪.৫.৬ সানিটারী নাপকিন, কনডম প্রভৃতিসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর বিজ্ঞাপন প্রচারকালে বিজ্ঞাপনের ভাষা, দৃশ ও সংলাপ মার্জিত
ও শোভনীয় হতে হবে;
৪.৫.৭ নিম্নবর্ণিত পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন প্রচারযোগ বিবেচিত হবে নাঃ
১. বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়পত্র বিহীন/ অননুমোদিত অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান;
২. পত্র মিতালী ক্লাব, নাইট ক্লাব, বার, সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় এমন ক্লাব বা সমিতি;
৩. ভাগ্য গণনাকারী ও এতদসংক্রান্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
৪. লাইসেন্স বিহীন ব্যবসায় কর্মকান্ড এবং কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান/ সার্ভিস
৫. বাজি ধরা, জুয়া খেলা বা এতদসংক্রান্ত সংস্থা/ কোম্পানী/ ব্যক্তি;
৬. সিগারেট, বিড়ি, চুরুট ইত্যাদি তামাকজাত পণ্য;
৭. মদ, গাঁজা, চরস, হেরোইন,ফেন্সিডিল ইত্যাদি মাদক/ নেশা জাতীয় পণ্য;
৮. এলকোহল মিশ্রিত এবং নেশা জাতীয় পণ্য(এলকোহলের পরিমাণ যাই হোক না কেন);
৯. মহিলাদের বক্ষ বর্ধন, পুরুষ ও মহিলাদের বা শিশু কিশোরদের স্লিমিং, ওজন হ্রাস অথবা সীমিতকরণ, ফিগার নিয়ন্ত্রণ এর জন্য
ব্যবহৃত অননুমোদিত ঔষধপত্র অথবা চিকিৎসা, যৌন দুর্বলতা, অকাল বার্ধক্য ইত্যাদি বিষয়ক বিশেষ চিকিৎসা, স্বপ্নে প্রাপ্ত ঔষধ,
মাদুলী, কবজ, যাদু ইত্যাদি;
১০. অবৈধ চাঁদা বা বেআইনী চাঁদা আদায় সংক্রান্ত;
১১. ব্যবসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিবাদ সংক্রান্ত ইত্যাদি;
১২. সরকারের অনুমোদনবিহীন আবাসিক ভবন বা স্থাপনা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন।
১৩. মেধাস্বত্ত্ব লঙ্ঘনকারী কোন পণ্য।
৪.৫.৮ এ নীতিমালায় উল্লেখ নাই এমন বিষয়ে অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন সিদ্ধান্ত দিবে। অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন গঠিত না
হওয়া পর্যন্ত এই সকল বিষয়ে সরকার প্রচলিত নিয়মানুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞাপনদাতা অনলাইন গণ
মাধ্যমের মধ্যে বিজ্ঞাপন বিষয়ে মতবিরোধ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত চড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
পঞ্চম অধ্যায়
তথ উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারের অনুপযুক্ততা
৫.১.১ এই নীতিমালায় প্রণীত তথ্য উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার এবং বিজ্ঞাপন নীতিসমহ অনুসরণে ব্যর্থতা;
৫.১.২ জাতীয় আর্দশ বা উদ্দেশের প্রতি কোন প্রকার ব্যাঙ্গ বা বিদ্রুপ, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবমাননা বা ব্যাঙ্গ কিংবা
বাংলাদেশের জনগণের জাতীয় চরিত্রের প্রতি কটাক্ষ অথবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের অখন্ডতা বা সংহতি ক্ষুন্ন হতে
পারে এমন প্রবণতা;
৫.১.৩ বিচ্ছিন্নতা বা অসন্তোষ সৃষ্টির লক্ষেজতি বা শ্রেণী বিদ্বেষ প্রচার, কোন ধর্মের প্রতি বিদ্রুপ, অবমাননা বা আক্রমণ, বিভিন্ন
ধর্মীয় সম্প্রদায়, বর্ণ বা মতাবলম্বীদের মধ্যে বিদ্বেষ বা বিভেদ সৃষ্টি;
৫.১.৪ কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বা মর্যাদা হানিকর তথ্য প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবে না। তবে, এমন কোন তথ্য
যা গুরুত্বপর্ণ জনস্বার্থকে সরাসরিভাবে ক্ষুন্ন করে, সেই সকলক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি কর্তৃক সংগঠিত জনস্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড সংক্রান্ত তথ্য
গোপনীয়তার আওতায় পড়বে না;
৫.১.৫ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন ধরণের সামরিক বা সরকারি গোপন তথ্য ফাঁস করা যাবেনা;
৫.১.৬ ধর্মীয় মলবোধে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে, আইন- শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে উৎসাহ প্রদান করতে পারে, এবং আইন- শৃঙ্খলা
ভঙ্গের প্রতি সহানুভতি সৃষ্টি করে এমন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবেনা।
৫.১.৭ সশস্ত্র বাহিনী অথবা দেশের আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত দায়িত্বশীল অন্য কোন বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ, বিদ্রুপ বা
অবমাননা, অপরাধ নিবারণ ও নির্ণয়ে অথবা অপরাধীদের দন্ডবিধানে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের হাস্যস্পদ করে তাদের
ভাবমর্তি বিনষ্ট করে এমন তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবেনা।
৫.১.৮ কোন বিদেশী রাষ্ট্রের অনুকুলে এমন ধরণের প্রচারণা যা বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে বিরোধের কোন একটি বিষয়কে
প্রভাবিত করতে পারে কিংবা একটি বন্ধুভাবাপন্ন বিদেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন ধরণের প্রচারণা যার ফলে সেই রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের
মধ্যে সুসম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হতে পারে এমন তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবেনা।
৫.১.৯ কোন জনগোষ্ঠী, জাতি বা দেশের মর্যাদা বা ইতিহাসের ক্ষতিকর ঘটনা/ দৃশ্য বিনাস বা ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি এমন
তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবেনা।
৫.১.১০ ধর্ষণ, ব্যভিচার, নারী ও শিশুর উপর অপরাধমলক আক্রমণ, নারী ও শিশুদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা, উত্যক্তকরণ, পতিতাবৃত্তি
এবং দালালী, কামুক বা অশোভন দেহভঙ্গী, নৈতিক মান অনুযায়ী শয্যারদৃশের বহির্গত কোন দৃশ সংযোজন এমন তথ্য ও
উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবে না।
৫.১.১১ শারীরিক নিগ্রহ অথবা মাত্রাতিরিক্ত প্রসব বেদনা প্রদর্শন, যৌন ব্যধি, অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ, জখম ও ছেদন ইত্যাদি দৃশ্য
সত্যিকার ফাঁসিতে লটকানো বা বীভৎস হতাকান্ড, শ্বাসরোধ করে এবং আত্মহতার দৃশ্য প্রদর্শন;
৫.১.১২ রাজনৈতিক উদ্দেশে কোন বিদ্রোহ, নৈরা্জ্য এবং হিংসাত্মক ঘটনা প্রদর্শন করা এমন তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও
সম্প্রচার করা যাবেনা।
৫.১.১৩ আইন- শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা আইন অমান করার পক্ষে সহানুভুতি সৃষ্টি করে এমন এমন তথ্য ও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও
সম্প্রচার করা যাবেনা।
ষষ্ঠ অধ্যায়
অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন
৬.১ অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন গঠন
৬.১.১ অনলাইন গণ মাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান, গুণগত মান নিশ্চিতকরণ সম্প্রচারে অনায (unjust)ও অনুচিত (unfair)
বিষয়াদি পরিহারকরণ এবং গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে (unwarranted infirngement of privacy) এমন বিষয়াদি পরিহারের
বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং পরিবীক্ষণের জন একটি অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন গঠিত হবে;
৬.১.২ অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত তথ্য-উপাত্ত এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মান সম্পর্কে জনগণের
অভিযোগ গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তিকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
৬.১.৩ এই কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে;
৬.১.৪ এই কমিশনে একজন চেয়ারমান এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য থাকবে;
৬.১.৫ চেয়ারমান এবং সদস্যগণ তথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত একটি অনুসন্ধান কমিটি(Search Committee) দ্বারা নির্বাচিত
হবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। অনুসন্ধান কমিটি অংশীজনদের (Stakeholder) প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে
যার মধ্যে থাকবে নারী একটিভিস্ট, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাক-
স্বাধীনতা(Freedom of Expression) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞ।
৬.১.৬ কমিশন ন্মিবর্ণিত দায়িত্ব পালন করবে:
১. অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন কর্তৃক জারীকৃত নিয়মাবলী(Code) যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা ধারাবাহিকভাবে
মনিটর করবে;
২. অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন সকল গণ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে প্রকাশিত বা প্রচারিত অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্পর্কিত
সাপ্তাহিক/ পাক্ষিক/ মাসিক/ বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করে তা তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট পেশ করবে;
৩. অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন প্রয়োজন মনে করলে যে কোন অনলাইন গণ মাধ্যম প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারবে;
৪. এ কমিশন কোন অনলাইন গণ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচারের অনুপযোগী ও নীতিমালার পরিপন্থী মনে করলে
সংশ্লিষ্ট অনলাইন গণ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিতে পারবে এবং এতদসংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ
করবে;
৫. অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন নীতিমালার পরিপন্থী কার্যক্রম গ্রহণ এবং দেশের বিদমান আইন ও বিধিবিধান লংঘনের সুনির্দিষ্ট
অভিযোগে বা স্বপ্রণোদিতভাবে যে কোন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন সরকারের নিকট
সুপারিশ করতে পারবে;
৬. কমিশন আইনের বাস্তবায়ন বা পরিবর্তনের জন্য বা পরিবর্ধনের জন্য, নীতিমালা প্রণয়ন এবং পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী
প্রাসঙ্গিক অংশীজন (Stakeholder) দের পরামর্শ গ্রহণ করবে।
৬.২ অনুসরণীয় নিয়মাবলী (Code of Guidance)
৬.২.১ অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের জন একটি অনুসরণীয় নিয়মাবলী
(Code of Guidance))তরী করবে এবং সময়ে সময়ে অংশীজনদের সাথে পরামর্শক্রমে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয়
সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবে। এ নিয়মাবলী প্রণয়নের ক্ষেত্রে কমিশন বর্ণিত বিষয়সমহ নিশ্চিত করবে:
(ক) প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে অনার্য (unjust)এবং অনুচিত (unfair) বিষয়সমুহ পরীবিক্ষণ;
(খ) অযৌক্তিক/ অসমর্থিতভাবে গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে (unwarranted infringement of privacy) এমন বিষয়াদি পরিহার;
(গ) প্রতেকটি প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্টCharter of Duties তথ্য উন্মুক্তকরণ নীতিমালা (Disclosure Policy)ও সম্পাদকীয়
নীতিমালা অনুসরণ নিশ্চিতকরণ।
৬.৩ অভিযোগ ও নিষ্পত্তি
৬.৩.১ যে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য-উপাত্ত যদি কোন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার ক্ষুন্ন করে তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশনের নিকট তথ্য উপাত্ত প্রকাশের বা অনুষ্ঠান প্রচারের ৩০ (ত্রিশ)
দিনের মধ্যে অভিযোগ দাখিল করতে পারবে;
৬.৩.২ অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন প্রাপ্ত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে ও উভয় পক্ষের শুনানি করে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে এবং সরকারের নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে;
৬.৩.৩ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকার আইন/ বিধি দ্বারা নির্ধারিত শাস্তির বিধান করতে পারবে।
৭. নীতিমালার হালনাগাদকরণ
এই নীতিমালা যে কোন সময়ে অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে হালনাগাদ করা যাবে। প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক
নীতিমালার সাথে এই নীতিমালা সংযুক্ত হতে পারবে।
সর্বশেষ সভায় খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার পর দুটি মতামত পাওয়া গেছে। এরপর আর কোন সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এই
মতামতগুলো আলোচিত হতে পারেনি। মুল কমিটির আলোচনার জ্যু মতামতগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো:
* অনলাইন নিউজপোর্টাল এসোসিয়েশন-এর মতামত;
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)-এর পক্ষ থেকে সু-নির্দিষ্ট মতামত নিচে উপস্থাপন করা হলো :
০১. পোর্টালের জন্য ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশনের পূর্বে কমিশন থেকে নামের ছাড়পত্র সংগ্রহ বাধ্যতামুলক করতে হবে।
০২. মূল ডোমেইনের সাথে মিল রেখে কোন ভাবেই কোন ডোমেইনের রেজিষ্ট্রেশন দেয়া যাবে না। যেমন Banglanews24.com
নেয়া আছে। এ ক্ষেত্রে Banglanews71.com, কিম্বা banglanews16.com অথবা banglanews-21.net বা
banglanews24bd.com বা banglanews.net নামে কোন ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে না। তদ্রুপ bd24live.com নাম পূর্বে নেয়া আছে । কেউ যদি bdlive24.com নামে ডোমেইন নিতে চায় তা পারবে না। অথবা bijoynews24.com ডোমেইন পূর্বে নেয়া আছে কউ যদি bijoynews.com অথবা bijoynews24.net কিম্বা bijoynews21.com রেজিষ্ট্রেশন করতে চায় তাহলে তা পারবে না।
রেজিষ্ট্রেশনের পূর্বে অবশই কমিটিকে ডোমেইন যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। অর্থাৎ মূল Domen Name যে আগে রেজিষ্ট্রশন
করেছে বা করবে তার নামটি গ্রহনীয় হবে। যেমন ডিএফপি থেকে নামের ছাড়পত্র নেয়া লাগে । যে করণে দেশের কোথায় কোন প্রিন্ট
মিডিয়ার নামের ডুপ্লিকেশন নেই।
০৩. ব্লগারদেরও রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ব্যতিরেকে কেউ অনলাইন পোর্টাল বা ব্লগ নির্মাণ কিংবা সংবাদ,
ফিচার কিম্বা কোন লেখা কিম্বা কোন ছবি /কার্টুন প্রকাশ বা প্রচার করতে পারবে না।
০৪. লাইসেন্স প্রদানকারি সংস্থা অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশন সর্বচ্চো ৭-৯জনকে নিয়ে গঠন করা যেতে পারে । এর মধ্যে একজন
চেয়ারমান, একজন সদস্য সচিব বাকিদেরকে সদস্য মনোনীত করা যেতে পারে। অবশই সৎ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন
গঠন করতে হবে । তা না হলে স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতি প্রবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক
নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কারি সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব মোস্তাফা জব্বার ও সরকারের চাপিয়ে দেয়া অনলাইন নীতিমালা-১২এর বিরুদ্ধে
আন্দোলনকারি সংগঠন “বনপা” ও “বোমা”র ২ জন প্রতিনিধিকে অনলাইন গণ মাধ্যম কমিশনে সদস্য হিসেবে অবশই সম্পৃক্ত
করতে হবে।
০৫. সকল প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন সংস্করণের ক্ষেত্রেও লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামুলক হতে হবে। কেননা আমাদের দেশ পত্রিকা প্রকাশনা
বন্ধ থাকলেও অনলাইনে আমার দেশ প্রচারিত হচেছ। বাধ্যবাধকতা না থাকলে সেখানে সরকার কিম্বা ধর্ম অথবা রাষ্ট্র বিরোধী
প্রচারণা চালানো সম্ভব।
০৬.. ১.৩.৯ ধারায় অশ্লীলতা রোধ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সু-নির্দিষ্ট ভাবে বলা নেই যে কেউ তার পোর্টালে অশ্লীল লেখা বা ছবি বা
কার্টুন প্রকাশ করলে অথবা সন্ত্রাস কিন্বা জঙ্গিবাদকে উস্কে দিলে ওই পোর্টাল মালিকের বিরুদ্ধে কি আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এ ব্যাপারে সু-
নির্দিষ্ট কোন ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা ?
০৭. ৫.১.১০ ধারায় ধর্ষণ, ব্যভিচার, নারী ও শিশুর উপর অপরাধমলক আক্রমণ, নারী ও শিশুদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা, উত্যক্তকরণ,
পতিতাবৃত্তি এবং দালালী, কামুক বা অশোভন দেহভঙ্গী, নতিক মান অনুযায়ী গ্রাহ্য শযাদৃশে্যর বহির্গত কোন দৃশ্য সংযোজন এমন
তথ্যও উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবে না। যদি প্রকাশ করা হয় সে ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান কি হবে তা উল্লেখ নেই । এ
বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন কিনা ?
অনুরূপ
৫.১.১১ ধারায় শারীরিক নিগ্রহ অথবা মাত্রাতিরিক্ত প্রসব বেদনা প্রদর্শন, যৌন ব্যাধি, অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ, জখম ও ছেদন
ইত্যাদি দৃশ্য, সত্যিকার ফাঁসিতে লটকানো বা বীভৎস হতাকান্ড, শ্বাসরোধ করে এবং আত্মহত্যার দৃশ্য প্রদর্শন করা যাবে না । যদি
প্রচার করা হয় তার শাস্তির বিধান কি হবে ?
বাংলা নিউজ২ ৪ ডট কম-এর প্রধান সম্পাদক জনাব আলমগীর হোসেন নিম্নোক্ত মতামত প্রদান করেন:
দ্বিতীয় অধ্যায়
এক. অনলাইন গণমাধ্যমে নিয়োগের জন একটি নির্দিষ্ট কাঠামো থাকবে।
দুই. একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী থাকলেই লাইসেন্সের জন্য যোগ হবে।
তিন. একটি নির্দিষ্ট অফিস স্পেসে নিজস্ব অফিস ঠিকানা থাকতে হবে।
চার. নিয়োগপ্রাপ্তরা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তাদের মাসিক বেতন পাবেন।
পাঁচ. বেতন বোর্ড রোয়েদাদ মেনে অনলাইন গণমাধ্যমে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিশোধ করতে হবে।
চতুর্থ অধ্যায়
বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নীতিমালা
এক. বেতন বোর্ড রোয়েদাদ মেনে বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং অনান্য শর্তপুরণ করলে সংবাদপত্রের মতে অনলাইন গণমাধ্যমও
সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
দুই. বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে অনান্য সংবাদমাধ্যমের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা অনলাইনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে
প্রয়োগযোগ হবে।
…………………………………………………………………………………………………………..
মোস্তাফা জব্বার এর চিঠি
২২ এপ্রিল ২০১৪
প্রধান তথ্য অফিসার
প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট
তথ্য মন্ত্রণালয়
গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
বিষয়: জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া
প্রিয় মহোদয়,
আমি এতদসঙ্গে জাতীয় অনলাইন নীতিমালার খসড়াটি উপস্থাপন করছি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের টেলিভিশন-১ শাখার পত্র নং ১৫-০২৩.০০৬.০০.০০.০১.২০১২/৩৮ (১৪)
তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৩ মোতাবেক অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির
আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে মনোনীত করা হয়। এর অন্য সদসরা হলেন বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম-এর এডিটর ইন চিফ জনাব
আলমগীর হোসেন,বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র সভাপতি, জনাব শামসুল আলম স্বপন, ভি নিউজ বিডি ডটকম-এর সম্পাদক জয়ন্ত আচার্য, পিটিবি নিউজ ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক জনাব আশীষ কুমার দে, এবং বাংলাদেশ প্রেস
ইন্সটিটিউট-এর মহাপরিচালক জনাব শাহ আলমগীর। প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পিআইবির সাবেক মহাপরিচালক জনাব দুলাল বিশ্বাস এই কিমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই কমিটি আমার সভাপতিত্ত্বে গত ২০.০১.১৩, ০৩.০৯.১৩, ১৩.১১.১৩ ও ১৮.০২.১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত চারটি সভায় আলাপ
আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংযুক্ত খসড়া প্রণয়ন করেছে।
মূল কমিটির বিবেচনার জন্য উক্ত খসড়াটি প্রেরিত হলো।
ধনবাদান্তে
আপনার অকৃত্রিম
মোস্তাফা জব্বার
কমিটি প্রধান
জাতীয় অনলাইন গণ মাধ্যম খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন উপ কমিটি
আনন্দ কম্পিউটার্স
১৮৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০। বাংলাদেশ
ফোন: ০১৭১১৫৩০৪৫২

অনলাইন গণ মাধ্যম নীতিমালা খসড়া প্রণয়ন উপ-কমিটি আহ্বায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার অনেকটা একক ভাবেই গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪’র সভায় উপস্থাপন করেন। ওই সভায় বনপা’র প্রস্তাবে “নাম মাত্র ফি ” ধার্য করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল রেজিষ্ট্রেশন খসড়া নীতিমালা অনুমোদিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ; দেশের বেশ কয়েকটি নামি-দামি নিউজ পোর্টাল “ ৫ লাখ টাকা রেজিষ্ট্রেশন ফি ”রেখে অনলাইন নীতিমালা পাস হতে যাচ্ছে মর্মে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে পোর্টাল মালিকের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে যা অনিভিপ্রেত।

জাতীয় অনলাইন গণ মাধ্যম খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার গত ২২ এপ্রিল পত্রের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনলাইন গণ মাধ্যম খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেছেন। দেশের সকল পোর্টাল মালিক,সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যকার বিভ্রান্তি দূর করার জন্য অনলাইন গণ মাধ্যম খসড়া নীতিমালা হুবহু উপস্থাপন করা হলো। এ বিষয়ে কারো কোন বক্তব্য থাকলে নিচের ইমেইল ঠিকানায় তা প্রেরণ করার জন্য বনপা’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলো।
( বি: দ্র: খসড়া নীতিমালা সহ চিঠি ও বনপা’র বক্তব্য হুবহু যে কোন সংবাদপত্র বা অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা যাবে )
ধন্যবাদসহ-
শামসুল আলম স্বপন
সদস্য
জাতীয় অনলাইন গণ মাধ্যম খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন উপ-কমিটি

সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন (বনপা)





তথ্যপ্রযুক্তি এর আরও খবর

গণমাধ্যমের  স্বাধীনতা একশ্রেণীর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একশ্রেণীর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে
রাবিপ্রবি’তে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাবিপ্রবি’তে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক
ধর্ষণের পর আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ধর্ষণের পর আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
সিলেটে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ শীর্ষক সেমিনার সিলেটে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ শীর্ষক সেমিনার
সাইবার ক্রাইম এর অভিযোগে খাগড়াছড়িতে শিক্ষক গ্রেফতার সাইবার ক্রাইম এর অভিযোগে খাগড়াছড়িতে শিক্ষক গ্রেফতার
অপপ্রচারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অপপ্রচারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
১৫ মাস পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই মামলায় জামিন পেল খাদিজাতুল ১৫ মাস পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই মামলায় জামিন পেল খাদিজাতুল
আদিলুর -নাসির জামিন মঞ্জুরকে স্বাগত জানিয়েছে ইউপিডিএফ আদিলুর -নাসির জামিন মঞ্জুরকে স্বাগত জানিয়েছে ইউপিডিএফ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন ৫ সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন ৫ সাংবাদিক

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)