মঙ্গলবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » সময়োপযোগী ব্যতিক্রমী টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাস’
সময়োপযোগী ব্যতিক্রমী টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাস’
নজরুল ইসলাম তোফ :: আমরা আমাদেরই পুনরাবৃত্তি। তবে কি শিল্পের রূপবদলের ব্যাপারটি তেমনিই ? ঘটিতকে বারবার ঘটমান করে দেখা? এ নাকি আমাদের ‘অভ্যাস’! যা-ই হোক, অভ্যাস বা বদঅভ্যাস যাই বলি না কেন, শিল্পের রূপবদলের কাজটি কিন্তু সহজ নয়। সব চাইতে গুরুত্বের সহিত নাট্যকারের ভাবনার বিষয়টি উপস্হাপনের কারণ এই যে, অভ্যাসই মানুষের সৃষ্টি এক ধরনের রং বদলের নেতিবাচক চিত্র। সে অভ্যাসকে দিনে দিনে নেতিবাচক দিকে গড়াতে থাকে এটিই নাট্যকারের লিখিত শিল্পপ্রয়োগ। আসলে বেশিরভাগ মানুষই স্ব ইচ্ছায় সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু সেটি আবার যদি নেশা থেকে শুরু করে নারী ইভটিজিং হয়, তাহলে দেশিও দণ্ডবিধি অনুযায়ী শালীনতার উদ্দেশ্যে কোন মন্তব্য, অঙ্গ ভঙ্গি বা কোন কাজ করলে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা আবার তা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
কিন্তু নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা এই টেলিফিল্ম ‘বদঅভাস’কে সে দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন না। বলতে চাচ্ছেন, নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত এক স্কুল শিক্ষকের কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের কথা। স্কুল শিক্ষকের সৎ উপার্জনে সংসার চালানোই মুশকিল, তার উপর পালিত ছেলের দ্বাবি, আই ফোন, দামি ল্যাপটপ, হাই সোসাইটির ছেলেদের মতই দামি পোশাক-আশাক, কি করে দিতে পারে বাবা স্কুল মাষ্টার? অতি সামান্য বেতনের চাকরি তাঁর। এদিকে ছেলে জানবে কি করে মা তার ছোট বেলা থেকেই ঘরে নেই, বাবা পালিত ছেলের মতো করে কখনই দেখে না তাকে। আপনের আক্ষেপ, তার চাহিদার অপূর্ণতার সঙ্গে তার মার চাহিদাকে পুরন না করেই হয়তো কষ্ট দিয়ে অকালেই মেরে ফেলেছে মাকে। আপন মায়ের কথা বাবাকে বললেই বাবা স্কুল মাষ্টার এড়িয়ে চলেন। কারণ আপনের বাবা তো বিয়েই করেনি। আপনকে এই কথা জানালে যদি কষ্ট পায়।
অপর দিকে, বাবার উপর জেদ করে আপন অবাধ্য হয়ে অসৎ সংগে দিনে দিনে বদঅভাসের দিকে পা বাড়ায়। আবার আপন যে কোন মেয়ে দেখলেই তাকে মা সরূপ মনে করে অপলক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকে! কিন্তু ধনীর দুলালি স্নেহা তা না বুঝেই, আপনকে কটুক্তি করে। স্নেহা এমন দৃষ্টি মেনে না নিয়েই প্রতিবাদ করে এবং তার মা নার্গীসের কাছে বলে, আহসান মাষ্টারের ছেলে সর্বদাই কলেজের করিডোরে পথে-ঘাটে ইভটিজিং করে। মা নার্গীস অবাক হয় এবং কল্পনায় আনে, আমার প্রেমিক কি সেই আহসান। মেয়েকে জিজ্ঞেস করে, আহসান কোন স্কুলের মাষ্টার? একদিন নার্গীস সেখানে গিয়ে দেখে তার সেই প্রেমীক আহসান। এমন পস্হিতিতে কি করবে সে, নার্গীস রাগ লুকিয়ে রেখে বলে তুমি কি বিয়ে করে ঘর সংসার করে দুষ্ট ছেলের জন্ম দিয়েছ ?
আহসান তাকে আর মিথ্যা বলতে পারেনা। প্রেমিক আহসান তো বিয়েই করেনি, নার্গীস অবাক হয়ে বলে, তাহলে সন্তান আপন কি করে জন্ম নিলো। তখন আবেগ তাড়িত কন্ঠে আহসান বলে, তোমার কাছ থেকে যেদিন শেষ দেখা করে বাড়ী ফিরি সেই মুহুর্তেই পথের মাঝে এই ছোট্ট ছেলেটি কাঁদে, অনেকেই তাকে দেখে চলে যায়, আমি যেতে পারিনি। তাকে আজ লালন পালন করে নাম রেখেছি আপন। কথা গুলো শুনে নার্গীসের চোখে পানি আসে এবং বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম আমাদের ছেলে হলে ‘আপন’ নাম রাখবো। তুমি কিনা কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের ‘আপন’ নাম রেখে আমাদের প্রেমকে অমর করেছ। অপর দিকে নার্গীস আহসানের কথাও রেখেছে, মেয়ের নাম রেখেছে স্নেহা। আপন, স্নেহার এমন প্রেম কাহিনী নিয়ে নার্গীস ও আহসান আসলে কি করতে পারে। শেষ হবে তা টেলিভিশনের পর্দায়। তরুন নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা এমনিভাবে তার টেলিফিল্মে চমৎকার ক্লাইমেকস্ এনেছেন।
পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম বলেন, পৃথিবীতে এমন অনেক মহান পেশা বা নেশা আছে, যা করতে ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন পড়ে। এ কথার সাথে একমত না দ্বিমত-সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। তবে একটা বিষয়ে মোটামুটি সবাই কম বেশি এক মত হবেন যে, এদেশের নির্মাণের মান এখন অনেকটাই এগিয়েছে অথবা মানসম্মত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন উৎসবে দেশীও সিনেমা প্রদর্শনী হচ্ছে। চমৎকার ও দুর্দান্ত সব সিনেমা সুধী মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এমন কি মাঝে মধ্যে পুরস্কারও ছিনিয়ে আনছে। অর্থের অভাবে অথবা অন্য কোন কারণে যখন একটা ফিল্ম, সিনেমা হলের উপযোগী করে বানানো যায় না কিংবা গুটি কয়েক সিনেমা হল ছাড়া সারা দেশের সিনেমা হল গুলোতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয় না, সেটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের দীনতা বোঝাতেই যথেষ্ট।
এই আলাপ গুরুজন-অভিজ্ঞজনেরা আরো বিশদভাবে ব্যাখা দিতে পারবেন বলে মনে করেন পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম। তবে টেলিফিল্মটির গল্পের গাঁথুনি ও চিত্রনাট্যে পরিপূর্ণতা সম্পূর্ণভাবে আধুনিক প্যার্টানে বিরাজমান। ভুল-ত্রুটির অভাব থাকলেই বরং দর্শকের প্রাণের তেষ্টা মেটে। সেখানে সমালোচনার খাতায় দারুণ প্রভাব ফেলে। এই ফিল্মের পরিচালক আশিক উল আলম সে আশাটুকুই করেন। সহকারী পরিচালক হিসেবে ফাহিম শাহারিয়ার, উয়াইব আহম্মেদ অপু, অনি ও রেহান হাবিব রয়েছেন। গ্রীন এ্যারো প্রডাকশন হাউজের ব্যানারে টেলিফিল্মটি অবশ্যই নির্মাণ হবে। ভালো একটি কাজ, নির্মাণে ভালো কিছুই আশা করেন পরিচালক। যোগ্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সমন্নয়ে এই শৈল্পিক বিনোদন নির্ভর টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাস’ দেশিও বেসরকারি চ্যানেলের জন্যই নির্মিত হচ্ছে।





বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের শরিকদের সাথে বেঈমানী করেছে : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি
প্রার্থীদের দলের প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক : ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি ও এসপিদের নেতৃত্বে জেলা কমিটি বাতিল : ইসি
বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক
পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেক খানি বন্ধ করা সম্ভব
স্বাধীতনার ৫৩ বছরে প্রথম বার জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা পেলেন দলিত জনগোষ্ঠীর নেতা ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু
পাসপোর্ট করতে আর লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
সেনাবাহিনী প্রধানের কুয়েত সফর