শনিবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » লামায় ৪ বছরেও শেষ হয়নি জনস্বাস্থ্য পানি শোধনাগারের নির্মাণ কাজ
লামায় ৪ বছরেও শেষ হয়নি জনস্বাস্থ্য পানি শোধনাগারের নির্মাণ কাজ
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (৬ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৬মি.) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবানের লামা পৌরসভায় মাতামুহুরী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধনের মাধ্যমে সরবরাহের নিমিত্তে শোধনাগার নির্মাণ ও পাইপ লাইন স্থাপন কাজ গত চার বছরেও শেষ হয়নি। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করে।
জানা যায়, ৬ কোটি টাকার প্রাক্কলনে গৃহীত প্রকল্পটি রিভাইজ করে ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না মেলায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের লামা পৌরসভার অংশের প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করার পরও লামা পৌরসভার জনসাধারণ শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহের সুফল পাচ্ছে না।
গৃহীত প্রকল্পের আওতায় লামা পৌরসভায় প্রতি ঘন্টায় ১০০ ঘনমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ ও ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পাইপ লাইন স্থাপন কাজের কার্যাদেশ প্রদান করে। বান্দরবানের বালাঘাটার মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যা নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৫টি প্যাকেজেরই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পাইপ লাইন স্থাপনের ৪টি প্যাকেজের মধ্যে ৮৮ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে মর্মে জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। বরাদ্ধ না থাকায় ৪২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার কার্যাদেশ দেওয়া অপর প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি শোধনাগার নিমার্ণ কাজের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়  ২ কোটি ৪১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যার পক্ষে ফরিদ নিজাম উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান পানি শোধনাগার প্রকল্পের মেকানিক্যাল, মিশিনারিজ ও ইলেকট্রিকেল কোন কাজ করা হয়নি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শোধনাগারের নির্মাণ কাজ শেষ করতে গিয়ে সিডিউলের বাহিরে বাস্তবতার নিরিখে অনেক কাজ করতে হবে। যার কারণে অতিরিক্ত ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় বেড়ে গেছে। ঠিকাদার বিল না পাওয়ায় শোধনাগার হস্তান্তর ও পাইপ লাইন স্থাপন কাজ শেষ করছে না।
লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মাতামুহুরি নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধন করে  সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। বর্তমানে পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরো টাকার প্রয়োজন রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিমার্ণ খরচ বেড়ে গেছে। রিভাইজ প্রাক্কলন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই অর্থ মন্ত্রণালয় বর্ধিত অর্থ ছাড় করবে।

      
      
      



    আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা    
    কাউখালীতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত    
    কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত    
    ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত    
    বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক    
    আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ    
    শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান    
    ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা    
    রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি    
    সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান