শিরোনাম:
●   শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ●   স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ ●   সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই ●   কুষ্টিয়াতে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় ভাতিজা নিহত ●   আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ●   রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন ●   প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ●   এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : বিয়ানীবাজারে প্রতিক বরাদ্দ ●   রাঙামাটি লেকসিটি নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন ●   তহসিলদার শরিফুলের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ●   ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকা ইজারা বকেয়া আদায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ●   গুইমারায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রেফতার ●   মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার করা সেলিমের কিডনি সচল অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভোগছেন ●   দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা ●   সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে ●   পাইন বাগান নব নির্মিত মাদরাসার ভবন ও হেফজ খানার উদ্বোধন ●   বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক ●   ঘোড়াঘাটে ট্রাক চাপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর মৃত্যু ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েটে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ●   ঝালকাঠিতে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার ●   টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি ●   গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান এলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান নাবেদ, শিলা ●   মিরসরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নয়ন বিজয়ী ●   কুষ্টিয়া সদরে আতাউর রহমান খোকসায় শান্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ
রাঙামাটি, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » গুনীজন » মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র ১১০তম জন্মদিন উদযাপন
প্রথম পাতা » গুনীজন » মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র ১১০তম জন্মদিন উদযাপন
৫৯৯ বার পঠিত
শনিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র ১১০তম জন্মদিন উদযাপন

---উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া :: (১২ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৫৩মি.) গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানবতাবাদী বৌদ্ধ মনিষা, বাঙ্গালী বৌদ্ধদের অবিসংবাদিত নেতা, অগ্রসার মহাকমপ্লেক্স, ধর্মরাজিক মহাবিহার, নব পন্ডিত বিহার, বুদ্ধ গয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার সহ বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, একুশে পদক, মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ২৪তম মহামান্য মহাসংঘনায়ক শ্রীসদ্ধর্মভাণক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র ১১০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ঢাকা ধর্মরাজিক মহাবিহারে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছে।
এছাড়া মহাসংঘনায়ক পবিত্র জন্মজনপদ হোয়ারাপাড়া গ্রামে ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ভন্তের পবিত্র শ্মশান বেদীতে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, জন্মদিনের কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন, স্মৃতিচারণ সভা ও চিত্র প্রদর্শনীসহ ধর্মীয় ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে মহা সমারোহে পালন করা হচ্ছে ।
গর্বিত জনপদ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন পূর্বগুজরা হোয়ারাপাড়া গ্রামে এই মহান পূণ্যপুরুষ মহাসংঘনায়ক শ্রীসদ্ধর্মভাণক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- কর্মধন বড়ুয়া, মাতা- চিন্তাবতী বড়ুয়া। বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরের গৃহী নাম শশাঙ্ক বড়ুয়া। স্থানীয় নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে তাঁর স্কুল জীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে মহামুনি এ্যাংলো পালি বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। ১৯২৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পিতৃব্য অগ্রসারের উপধ্যায়ত্বে শ্রামন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়ে শশাঙ্ক বড়ুয়ার স্থলে নাম রাখা হয় বিশুদ্ধানন্দ শ্রামন।
সে সময়ে তিনি বাংলায় ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধি হয়ে সর্বভারতীয় বৌদ্ধ সম্মেলনে যোগ দেন এবং সেখানে কলিকাতায় অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ও নেতাজী সুভাষ বসুর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসেন।
এ সময়ে তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ চট্টগ্রামের বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্যসেনের সঙ্গে এদেশে স্বরাজ প্রতিষ্ঠার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হন। তাঁদের অকৃত্রিম দেশপ্রেম বোধ ও স্বদেশ প্রীতি পরবর্তীকালে প্রয়াত মহাথেরের জীবনে বিশেষভাবে প্রভাবান্বিত করে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৩০ সালে স্বীয় গুরু সংঘনায়ক অগ্রসার মহাস্থবিরের নিকট উপসম্পদাব্রত গ্রহণ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার্থে ভারতের বেনারস গমন করেন।
১৯৩১ সালে তিনি বুদ্ধগয়া, রাজগীর, নালন্দা, সারনাথ, কুশিপাড়া, লুতুম্বিনী প্রভৃতি তীর্থস্থান সমূহ পরিভ্রমণ করেন। ১৩৩৪ সালে বিশুদ্ধানন্দ বৌদ্ধ ধর্মের উপর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য শ্রীলংকার বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিন বছর অধ্যায়নের পর ১৯৩৭ সালে তিনি “শ্রী সদ্ধর্মভাণক” অভিধায় ভূষিত হন। শ্রীলংকা হতে শিক্ষা শেষ করে তিনি নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এখানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৩৮ এ তিনি ভাগীরথ নগর হোয়ারাপাড়ায় অগ্রসার জয়ন্তী ও বৌদ্ধ সমিতির সভায় যোগ দেন। ১৯৩৯ এ পালি ভাষায় উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের জন্য হোয়ার পাড়ায় সুদর্শন বিহারে পালি শিক্ষার জন্য “অগ্রসার পালি কলেজ” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪০ এর দশকে তিনি কলিকাতাস্থ নালন্দা বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষের পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় বেনীমাধব বড়ুয়া, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সহায়তায় একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করে আর্তমানবতার সেবায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে দরিদ্র বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে নিজ গ্রামের সুদর্শন বিহারে অগ্রসার অনাথালয় নামে একটি অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি অগ্রসার মহাকমপ্লেক্স নামে সুপরিচিত। যার অধীনে অগ্রসার মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম,অগ্রসার স্মৃতি সমিতি সহ বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে শিলক বৌদ্ধ সম্মেলনে তিনি “পূর্ব পাকিস্তান বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ” প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫০ সালে শিলকে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি সভাপতিত্ব করেন। এ বছরে তিনি ঘমরফঢ তণফফমষ্রদধয মত ঈলঢঢদর্ধ্র সম্মেলনে যোগদেয়ার জন্য শ্রীলংকা যান। ১৯৫১সালে ঢাকায় একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং মূখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫৪ তে রেঙ্গুনে বৌদ্ধ সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে কাঠমন্ডুতে ঘমরফঢ তণফফমষ্রদধয মত ঈলঢঢদর্ধ্র সম্মেলনে যোগ দেন। এ বছর তাঁর উদ্যোগে ‘মাসিক কৃষি’ নামে এক সাময়িকীর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৭ সালে নয়াদিল্লীতে এবং জাপানে বুদ্ধ জয়ন্তীতে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে ভিয়েতনামে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে সে দেশের বৌদ্ধ সমাজের সাতে সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে অনশন ব্রত পালন করেন। ১৯৬২ সালে পূর্বপাকিস্তান সরকার কর্তৃক ঢাকায় প্রদত্ত জমিতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। থাইল্যান্ডের তৎকালিন রাজা ও রাণী এ বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে আসেন। ১৯৬১ সালে ঢাকায় রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সংবর্ধনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শ্রীলংকা, বার্মা, নেপাল, ভারত, জাপান, আমেরিকাসহ প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে মূল্যবান বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯৬৫ সালে তাঁকে মহাথের পদে অভিষিক্ত করা হয়। ১৯৬৬ সালে তিনি শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধধর্ম ও শান্তি সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ঢাকা ধর্মরাজিক বিহারে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ অনাথালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৮ সালে তাঁর একক প্রচেষ্ঠায় চট্টগ্রাম শহরে “নব পণ্ডিত বিহার” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনে ‘ঘউৗ’ সম্মেলনে মানবাধিকার বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
১৯৮১ সালে তাঁরই উদ্যোগে বিশুদ্ধানন্দ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি গঠিত হয়। সেখানে মেধাবী এবং দরিদ্র বৌদ্ধ ছাত্রদের সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি “নব সমতট” নামক একটি সংবাদ সাময়িকী ও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে বিশুদ্ধানন্দের ৭৬ বৎসর আয়ুষ্কাল পূর্তি উপলক্ষে হীরক জয়ন্তী উদযাপন করা হয়।
১৯৮৫ সালে বালিকাদের জন্য অগ্রসার মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পাহাড়পুরে আন্তর্জাতিক সেমিনারের বক্তব্য দেন। ১৯৮৮ সালে তিনি রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া ভ্রমণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯০ সালে তিনি “মহাসংঘনায়ক” পদে অধিষ্ঠিত হন।
বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত (১) “রক্ত ঝড়া দিন”একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখিত যা ১৯৭২ এ প্রকাশিত হয়। (২) “স্মৃতি কথা” একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ যা ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। (৩) ভক্তিশতক একটি অনুবাদ গ্রন্থ। (৪) বৌদ্ধ দর্শনে সত্যদর্শন গ্রন্থটি দ্বিতীয় পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ কলিকাতাস্থ ধর্মাধার বৌদ্ধগ্রন্থ প্রকাশনী কর্তৃক ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়।
বিশুদ্ধানন্দ মহাথের আজীবন বৌদ্ধ সমাজের উ্ন্নয়নে ব্রতি থেকে কাজ করেছেন। তিনি যে সকল সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন তা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং যে সব প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাঁর একটি বিবরণ এখানে প্রদান করছি। (১) বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ (২) কমলাপুর ধর্মরাজিক কমপ্লেক্স (৩) অনাথালয়, (৫) আবাসিক, (৬) হাই স্কুল, (৭) কিন্ডার গার্টেন স্কুল, (৮) বহুমূখী কারিগরি বিদ্যালয়, (৯) পালি কলেজ, (১০) ছাপাখানা তিনটি, (১১) পাঠাগার, (১২) অতীশ দীপঙ্কর স্মৃতি সংগ্রহশালা, (১৩) মিনি হাসপাতাল, (১৪) আন্তর্জাতিক উপাসনালয় ব্রজ যোগিনী প্রকল্প প্রভৃতি। তিনি বিশ্বধর্ম সম্মেলনে এবং হংকং এ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ সেমিনারে যোগদেন এবং মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিশুদ্ধানন্দ মহাথের তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানীত হয়েছেন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক “তখমা এ পাকিস্তান” সম্মানে সম্মানীত হন। ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক শান্তিপদকে তাঁকে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৩ সালে নরওয়ের অসলোস্থ গান্ধী শান্তি ফাউন্ডেশন কর্তৃক মহাত্ম গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে তাঁকে সম্মানীত করা হয়।
সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৫ সালে তাঁকে মরণোত্তর “২১ শে পদকে” ভূষিত করা হয়। আর্ন্তজাতিকভাবে সমাদৃত, চট্টগ্রামের গৌরব বিশিষ্ট বৌদ্ধ ধর্মীয় সাধক, ও সমাজ নির্মাণের অগ্রদূত, সমাজের আলোকিত মহাপুরুষ বিশুদ্ধানন্দ মহাথের
১৯৯৪ সালের ২ মার্চ বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শোক সাগরে ভাসিয়ে চট্টগ্রামের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মহাপ্রয়াণ লাভ করেন। ১৯৯৫ সালের ১১-১৩ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আজ এই শুভ ক্ষণে এই ক্ষনজন্মা মহাপুরুষের স্মৃতির প্রতি গভীর থেকে গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।





গুনীজন এর আরও খবর

বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী
সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ : বাঘ-ভাল্লুক ভরা পাহাড়ে পথ চলায় অতিক্রম করেছে ৫৪ বছর সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ : বাঘ-ভাল্লুক ভরা পাহাড়ে পথ চলায় অতিক্রম করেছে ৫৪ বছর
তিলোকানন্দ মহাথের মহোদয়ের মহাপরিনির্বাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর শোক তিলোকানন্দ মহাথের মহোদয়ের মহাপরিনির্বাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর শোক
১৫ নভেম্বর একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতা জীবনে ৫৫ বছরে পর্দাপণ ১৫ নভেম্বর একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতা জীবনে ৫৫ বছরে পর্দাপণ
কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
বামপন্থী নেতা হামিদুল হক আর নেই : বিপ্লবী  ওয়ার্কার্স পার্টির শোক বামপন্থী নেতা হামিদুল হক আর নেই : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খান এর  মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খান এর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন এই দেশ ও জনপদের এক শ্রেষ্ঠ সন্তান জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন এই দেশ ও জনপদের এক শ্রেষ্ঠ সন্তান
দেশের যোদ্ধা বন্ধু সবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই দেশের যোদ্ধা বন্ধু সবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই

আর্কাইভ