ঝালকাঠি দুটি ইটের পাঁজায় দমকল বাহিনী দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (২৫ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৭মি.) সত্যের সন্ধানে দাবানল টুয়েন্টিফোর ডটকমে অবৈধ ইটের পাজাঁর ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল থেকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক এর নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিকনা এলাকায় দুইটি ইটের পাঁজায় অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষটাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. বশির গাজী। এরপর ঐ অসাধু অবৈধ ইটপাঁজা ব্যবসায়ীরা রাতেই পুর্নরায় ঐ ইটের পাঁজায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করে। খবর পেয়ে আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে পূর্ণরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী ঝালকাঠি ফায়ার র্সাভিস নিয়ে ঐ দুটি ইটের পাঁজায় পূর্নরায় অভিযান চালায় এসময় ঐ অসাধু ব্যবসায়ীদের না পেলেও ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ম্যানদের দিয়ে পানি দিয়ে ঐ অবৈধ পাঁজা দুটি ধ্বংস করে। এসময় দুটি ইটের পাঁজায় সংরক্ষিত মালামাল ও ঐ পাঁজায় কোনরকম প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

উল্লেখ্য চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে প্রায় অর্ধশত অবৈধ ইটের পাঁজা ও ইটবাটা রয়েছে। ঐ ইটের বাটা ও পাঁজা গুলোতে হাজার হাজার মন জ্বালানি কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট। এতে চরম ভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পাশা পাশী ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। রয়েছে পৌর এলাকা ও ঘনবসতি এলাকায়ও চলছে এ অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজা। এর নেপথ্যে রয়েছে,কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাশিন দলের সাইনবোর্ডধারী কয়েক নেতা। এ নেতারা ও অসাধু কর্মকর্তারা ঐ অবৈধ বাটা ও পাঁজা থেকে এল আর ফান্ড নামে ও নিজেদের পকেটভারী করতে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এক পর্যায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভে ফুঁেস উঠে প্রতিবাদ শুরু করে ও বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় জেলা প্রশাসনের কানে পানি যায়। এরপর শুরু হয় লোক দেখানো অভিযান। দুইটি পাঁজায় কঠোর অভিযান করলেও জেলা জুরে অবৈধ ইট বাটা ও পাঁজায় প্রাকাশ্যেই জ্বলছে আগুন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা কারি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছি। ইভটিজিং ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরিকরা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান চালাচ্ছি পাশা পাশী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অবৈধ ইট বাটা ও পাঁজায় অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরপর দুইদিন একই ইটের পাঁজায় অভিযান করলেও অন্য অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজায় কেন অভিযান হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন,পর্যায় ক্রমে প্রতিটা অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।