শিরোনাম:
●   দুর্যোগে আগাম সাড়াদান নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু হল ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের রাঙামাটি সদর উপজেলা কমিটি গঠন ●   আজ ঐতিহাসিক পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ০৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ●   রাবিপ্রবি’র ভিসি দুই উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ●   রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংক এর কার্যক্রমের উদ্বোধন ●   ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্য সামাজিক হতাশারও বহিঃপ্রকাশ ●   বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ●   রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত ●   কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে হামদ-নাত প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত ●   কাপ্তাইয়ে ৪১ বিজিবি’র অভিযানে সেগুন কাঠ উদ্ধার ●   কাপ্তাইয়ে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবা বিষয়ক জনসচেতনতা কার্যক্রম ●   নূরাল পাগলাকে নিয়ে প্রতিবাদী গান ●   র‌্যাব-১৩ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ গ্রেফতার-২ ●   রাঙামাটিতে নেক্সেন ডায়মন্ড টিমের নতুন যাত্রা ●   ফেনী নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ●   চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৭ দফা দাবি ●   কর্ণফুলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন ●   জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার-৩ ●   রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৩ তম সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটিতে ৩৫ কাঠুরিয়া স্মৃতি সংসদের স্মারকলিপি পেশ। ●   রাবিপ্রবি’তে ‘Startup and Entrepreneurship Development for Youth Empowerment’ শীর্ষক সেমিনার ●   ট্রাক-বাস টার্মিনালে অবৈধ দখল, সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা ●   শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দের জরিমানা আদায় : দেশব্যাপী অভিযান ●   পার্বতীপুরে ৯৭ বছরের বৃদ্ধাকে রাতের অন্ধকারে ঘর ছাড়া করলেন ছেলের বউ ●   রাঙামাটিতে কলেজ গেইট এলাকায় সড়কের ধারে ময়লার ভাগাড় ●   ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ভন্ডল হলে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরী হবে ●   রাবিপ্রবি’তে ‘অফিস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সমন্বয় সভা
রাঙামাটি, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নেই আশ্রয় কেন্দ্র
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নেই আশ্রয় কেন্দ্র
শুক্রবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নেই আশ্রয় কেন্দ্র

---পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৩০ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৯মি) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বসবাস করছে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে । কিন্তু দুর্যোগকালীন ওইসব চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র (সাইক্লোন সেল্টার) নেই।মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন। কোথাও নদী, আবার কোথাও সাগর পরিবেষ্টিত। সেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নেই। ফলে দুর্যোগ মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চরাঞ্চলের মানুষের।

তেমনি একটি চরের নাম ‘চরকাশেম’। সেখানে শতশত মানুষের বসবাস। যার পূর্ব-পশ্চিম আর উত্তর কোনে বুড়াগৌড়াঙ্গ নদী ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর । সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্বকোনে অবস্থিত ।

চরকাশেমের বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, অবদা (বেড়িবাঁধ) না থাহায় চরে জোয়ার-বন্যার বেশি পানি উডলে (উঠলে) পোলা-মাইয়া (ছেলে-মেয়ে) লইয়া কান্নাকাটি করা ছাড়া কিছু করার নাই। আমাগো চরে সেন্টার (আশ্রয় কেন্দ্র) নাই। হেইয়ার লাইগ্যা কেউ গাছে ওডে। কেউ আল্লাহর উপরে ভরসা কইরা পোলা-মাইয়া লইয়া ঘরের মধ্যেই থাহে।
এ অবস্থা শুধু চরকাশেমেই নয়, উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া চর, চরকানকুনি, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশন, চরনজির, চরতোজাম্মেল, কাউখালী চর ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতায়ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়নি। তাই দুর্যোগকালীন এই আটটি চরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
জানা গেছে, বিচ্ছিন্ন ওই চরের মধ্যে কোথাও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও নেই। আবার কোথাও নদী ঘেঁষা রয়েছে। সামন্য জোয়ারেই চরে পানি উঠে যায়। কিন্তু দুর্যোগকালীন ঝড়-বন্যায় নিরাপদে থাকার জন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নেই। তাই জীবন থাকে মহা ঝুঁকিপূর্ণে। একারণে দুর্যোগ মোকাবেলায় এখানকার মানুষ অপ্রস্তুত। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের পাঁচ-ছয় মাস প্রকৃতরি বিরূপ আচরণরে সঙ্গে একরকম যুদ্ধ করে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, আমবস্যা-পূর্ণিমার সময়ে নদী-সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে গেলেই চরের বেশিরভাগ চর প্লাবিত হয়। জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় কারও সহায় সম্বল। দুর্যোগ মৌসুমে আকাশের কালো মেঘের গর্জন শুনলেই চরের বাসিন্দাদের মনের মধ্যে বয়ে যায় আতঙ্ক। আর ঝড়-বন্যা হলে নিয়তি নির্ভর ছাড়া তারা কোন উপায় খুঁজে পায় না।

কাউখালী চরের বাসিন্দা রশিদ মিয়া বলেন, ‘তিন দিকে নদী, একদিকে খাল। মাঝখানে আমারা বাস করি। পানি বড়লে নিরাপদে যাওয়ার কোন উপায় নাই। আশ্রয় কেন্দ্রও নাই। তখন উঁচু জায়গায় গিয়া ছেলে সন্তান নিয়া থাকি। কিন্তু বড় ধরণের ঝড়-বন্যা হলে বাঁচার আর সম্ভাবনা নাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘ওইসব চরে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দিতে পারছি না। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়, তবে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য দ্রুত প্রস্তাব পাঠাব।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম সগির বলেন, ‘যেসব চরে স্কুল নেই, সেগুলোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখন প্রজেক্ট (প্রকল্প) ছিল না। এখন এক হাজার স্কুলের প্রজেক্ট ছাড়ছে। ওই প্রজেক্টের মাধ্যমে এসব চরের স্কুল হবে বলে আশা করি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘ঝড়-বন্যায় চরের মানুষের জীবন ঝুঁকিতে থাকে। অনেক জায়গায় আশ্রয় কেন্দ্র নেই। আবার কোথাও বেড়িবাঁধ নেই। এ বিষয়গুলো আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)