রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » অভিনব কায়দায় জুতার ভিতর লুকানো ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার
অভিনব কায়দায় জুতার ভিতর লুকানো ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে পূর্বাশা পরিবহনে র্যাব-৬’র তল্লাসি শেষে জুতার ভিতর ১২ পিস স্বর্ণের বার সহ শরিফ উদ্দিন নামের একজনকে আটক করেছে সিপিসি-২ ও র্যাব-৬। ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পৌর এলাকার বিসিক শিল্প নগরীর সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মাসুদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিসিক শিল্প নগরীর সামনে চেকপোস্ট বসায় তারা। সে সময় ঢাকা থেকে দর্শনাগামী পুর্বাশা পরিবহনের একটি বাসে তল্লাসী করে শরিফ উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাসী করে অভিনব কায়দায় জুতার নিচে লুকানো অবস্থায় ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ১ কেজি ৪’শ গ্রাম। আটককৃত শরিফ উদ্দিনের বাড়ী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানা পাড়ায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা। সংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আজম ইউনিয়ন থেকে আসা, ভ্যান, রিক্সা ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে জোরপুর্বক অর্থ আদায় করছে। এছাড়াও পৌর গোরস্থানের নামে নাগরিকদের কাছ থেকে চাঁদা-অর্থ আদায় করছে, যেখানে পৌরসভায় গোরস্থানের কোন অস্তিত্ব নেই। পৌরবাসী কে জিম্মি করে কথায় কথায় নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেন মেয়র আশরাফুল আজম। সাম্প্রতি এডিস মশা নিধরেন জন্যে বরাদ্ধকৃত ১২ লাখ টাকা আসলেও তা যথাযথ ভাবে ব্যায় না করে আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এমন নানা ঘটনার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা ও তার পুত্র ওয়াহেদুজ্জামান ইকুর বিরুদ্ধে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছে। মুলত মেয়র নিজের দুর্নীতিকে ধামাচাপা ও আওয়ামী লীগে কোন্দল সৃষ্টি করার ঘটনাগুলো আড়াল করার জন্যই ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি বিভিন্ন রাজাকারদের সন্তানদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে আসছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে মেয়র আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল হাই এমপির বিরোধীতাও করেছিলেন। একটি বে-সরকারী টির্ভি চ্যানেলে লাইভ সাক্ষাতকারে সরাসরি বিরোধীতা করেছিলেন। থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু একজন কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের সন্তান। এতে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে ও সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরোও জানানো হয় মেয়র কাজী আশরাফুল আজম একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভুমি দস্যু, চাঁদাবাজ। তার পুত্র কাজী রাজিবের অত্যাচারে সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছে। সে পান বিক্রেতা থেকে শুরু করে গমের ডিলাল, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে। এসবরে বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের হলেন ঝিনাইদহের সাজ্জাদুর রহমান
ঝিনাইদহ :: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাজ্জাদুর রহমান। শনিবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। গত ২ সেপ্টেম্বর রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদারকে ঢাকার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন সাজ্জাদুর রহমান। সাজ্জাদুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি সিলেট, নীলফামারী ও ময়মনসিংহ জেলায় সার্কেল এএসপি হিসেবে কাজ করেন। এরপর সাজ্জাদুর রহমান ২০১০ সালে জাতিসংঘ মিশনে ইউএনপিওএল লাইব্রেরিয়ায় যান। সেখানে তিনি লজিস্ট্রিক সেকশনের টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সফলভাবে জাতিসংঘের মিশন শেষে করে তিনি ২০১২ সালে নারয়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম বিভাগের) উপকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সাতক্ষীরার এসপির দায়িত্ব পান।
ফেনসিডিল মামলায় বিনা দোষে আড়াই মাস জেল খাটলেন দুলাভাই ও শ্যালক
ঝিনাইদহ :: ফেনসিডিল উদ্ধার মামলায় বিনা দোষে আড়াই মাস জেল খাটলেন দুলাভাই ও শ্যালক। তারা হলেন ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সাধুপাড়া গ্রামের মো. আসাদ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বৈদ্যারগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেন। মিথ্যা মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আড়াই মাস জেল খাটেন তারা। অবশেষে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএমের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ২৭ আগস্ট মুক্তি পান। ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ১৪ জুন। আসাদ ও মুক্তার বেড়াতে এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়িতে। কুদ্দুস আসাদের ভায়রা ভাই। ওইদিন দুপুরে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে তাদের। ফেনসিডিল উদ্ধার মামলায় দু’জনকেই ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার দিন জীবননগর আমের হাট থেকে ১৫০ কেজি আম কিনেছিলেন তারা। বেলা ১১টার দিকে জেআর পরিবহন বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ওই বাসে বাড়ি ফিরে যাবেন তারা। দু’জন আমের কার্টনসহ স্থানীয় বাস স্ট্যান্ডে কাউন্টারে আসেন। রেখে দেন কার্টনগুলো। টিকিট কেটে দেখেন আমের কার্টন নেই। জিজ্ঞেস করলে হেলপার জানায়, কার্টন বক্সে দেয়া হয়েছে, আপনারা বাসে উঠে পড়েন। জীবননগর থেকে ঢাকাগামী জেআর পরিবহন বাসটি (ঢাকা মেট্রো ১৪-৬৮৮৭) ছুটে চলে। পথে কালীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে কয়েকজন যাত্রী ওঠায়। এরপর ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে নিজস্ব কাউন্টারের সামনে থামে বাসটি। আসাদ বাস থেকে নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপরজন মুক্তার বাসের সিটে বসা। তখন দুপুর প্রায় ১টা। ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) মো. বদিউর রহমান, এএসআই সাদীক মোহাম্মদ ভূঁইয়া, এএসআই প্রদীপ কুমার দাশ, এএসআই মো. ওবাইদুর রহমান, কনস্টেবল খান লিটন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আরাফাত ছুটে আসেন। বাসের বক্স খুলে আমের কার্টনের মালিকের খোঁজ করতে থাকেন তারা। বাসের হেলপার আসাদকে দেখিয়ে বলে, কার্টনগুলো এদের। আসাদের ভাষায় কিছু বুঝে উঠার আগেই উত্তম-মধ্যম দেয়া শুরু হয়ে যায়। বাস থেকে নামিয়ে আনা হয় মুক্তারকে। হ্যান্ডকাফ পরানো হয় দু’জনকেই। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে চলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। আম কেনার রশিদ ও বাসের টিকিট দেখায় তারা। কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করেন না গোয়েন্দারা। একপর্যায়ে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু রাতে ঝিনাইদহ থানায় এসআই (নিরস্ত্র) মো. বদিউর রহমান মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে-আসাদ ও মুক্তারের কাছে থাকা কার্টনভর্তি ২১৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য দুই লাখ পনেরো হাজার টাকা। ১৫ জুন আসাদ ও মুক্তারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত আসামিদের ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে চোরাকারবারিদের নাম-পরিচয় বেরিয়ে পড়ে। গোপন সূত্রে খবর আসে, জেআর পরিবহন বাসটির ড্রাইভার ও হেলপার মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য। চোরাকারবারিদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক বাসচালক আবদুল খালেক ও হেলপার রতন মিয়া জীবননগর উপজেলার পেয়ারাতলা নামক স্থান থেকে ফেনসিডিল ভর্তি একাধিক কার্টন বক্সে তুলে নেয়। সুকৌশলে সেগুলো রেখে দেয় আম ভর্তি কার্টনগুলোর পাশে। আসাদ ও মুক্তারের স্বজনরা ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে আসেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৭ জুলাই জীবননগর উপজেলার কাশিপুর মাঠপাড়ার মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. রতন মিয়া (বাস হেলপার), জীবননগর উপজেলা শহরের, উপজেলা সড়কের আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে আনোয়ারুজ্জামান ওরফে লেলিনকে আটক করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বাসটির ড্রাইভার হচ্ছে জীবননগর উপজেলার চোরপোতা-তেঁতুলিয়া গ্রামের আবদুল খালেক। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান খান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এমদাদুল হক বলেন, আসল মাদক ব্যবসায়ীদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ড্রাইভার আবদুল খালেককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান নিরপরাধ মো. আসাদ ও মো. মুক্তার হোসেনকে মুক্তির আদেশ দেন। রাতেই মুক্তি পান তারা।
ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত
ঝিনাইদহ :: ‘বহু ভাষায় স্বাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে কেসি কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে কেসি কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বি এম রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, জেলা উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা বুরো সহকারী পরিচালক শেখ নুরুজ্জামান, সদর থানার ওসি (অপারেশন) মহসীন হোসেনসহ অন্যান্যরা।