শিরোনাম:
●   সন্দ্বীপে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ ●   নির্বাচনী ডিউটিতে অর্থের বিনিময়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার সদস্য নিয়োগের অভিযোগ ●   উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কমবে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ●   খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত ●   শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ●   স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ ●   সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই ●   কুষ্টিয়াতে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় ভাতিজা নিহত ●   আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ●   রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন ●   প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ●   এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : বিয়ানীবাজারে প্রতিক বরাদ্দ ●   রাঙামাটি লেকসিটি নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন ●   তহসিলদার শরিফুলের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ●   ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকা ইজারা বকেয়া আদায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ●   গুইমারায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রেফতার ●   মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার করা সেলিমের কিডনি সচল অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভোগছেন ●   দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা ●   সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে ●   পাইন বাগান নব নির্মিত মাদরাসার ভবন ও হেফজ খানার উদ্বোধন ●   বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক
রাঙামাটি, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে পিসিপি
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে পিসিপি
৪৪৩ বার পঠিত
বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে পিসিপি

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তসংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) দপ্তর সম্পাদক মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা আজ বৃহম্পাতিবার ২৫ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বুকে ম্রো আদিবাসীদের জায়গা দখল ও উচ্ছেদ করে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ ও পর্যটন স্থাপনা নিয়ে নিজের দায় এড়াতে “চিম্বুক পাহাড়ে পর্যটন হোটেল স্থাপনের বিষয়ে”বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নজরে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তর্কিত জমিটি (নাইতং পাহাড়) লামা উপজেলাধীন ৩০২নং লুলেইন মৌজায় অন্তর্ভুক্ত। উক্ত জমিতে পরিষদের তত্বাবধানে কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় জনগণের কৃষিভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার লক্ষ্যে স্থানীয় ম্রো নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিষদের নামে বন্দোবস্তী নেয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।” তিনি আরো উল্লেখ করেন, পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় পরিষদ কর্তৃক প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে না পারায় বান্দরবান সেনানিবাসের (৬৯ পদাতিক ব্রিগেড) অনুকূলে পর্যটনের জন্য ০১ জানুয়ারি ২০১৬ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০৫৫ পর্যন্ত ৪০ বছরের জন্য উক্ত জমিটি ১৮টি শর্তাবলী সাপেক্ষে লীজ প্রদান করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার উক্ত বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আদিবাসী ম্রো জনগোষ্ঠীর সাথে সরাসরি প্রতারণা করেছে। কেননা কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় জনগণের কৃষিভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার লক্ষ্যে স্থানীয় ম্রো  জনগোষ্ঠীর সাথে আলাপ-আলোচনাক্রমে উক্ত তর্কিত জমিটি পরিষদের দখলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে কাজে না লাগিয়ে পরিষদ হীনস্বার্থে ‘পর্যটনের জন্য’ সেনাবাহিনীর নিকট ৪০ বছরের মেয়াদে লীজ দেয়া হয়েছে। জমিটি দখলে নেয়ার পর পার্বত্য জেলা পরিষদ ‘কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় জনগণের কৃষিভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার’ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে, আদিবাসী ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার জন্য ক্ষতিকারক, আদিবাসী জুম্ম জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব ও সংস্কৃতির জন্য ধ্বংসাত্মক, জুম্ম জনগণের প্রথাগত ভূমি অধিকার পরিপন্থী তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও চুক্তি মোতাবেক প্রণীত পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া সত্ত্বেও পর্যটনের জন্য সেনাবাহিনীকে লীজ দেয়া নি:সন্দেহে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণার সামিল। আদিবাসী ম্রো জনগোষ্ঠী, জুম্ম জনগণ ও দেশের মানবতাবাদী ব্যক্তিবর্গসহ পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ তা কখনোই মেনে নিতে পারে না।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হর্টিকালচারের নামে ২০ একর লীজ নেয়া জমি কোন সামরিক বাহিনী কিংবা কর্পোরেট কোম্পানিকে ইজারা দেয়ার আগে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ স্থানীয় ম্রো আদিবাসীদের সাথে আলোচনা করেনি। পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী ও সিকদার গ্রুপের মধ্যেকার ফাইভ স্টার হোটেল ও পর্যটন স্থাপনা নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের একটি খবর প্রকাশিত হয় (কক্সবাজারকণ্ঠ, ৮ জুন ২০১৫)। সেসময় এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ম্রো আদিবাসীরা পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ না করার দাবি জানালেও তাদের সে দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু ২২ নভেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার গ্রুপের সাথে চুক্তিপত্র করার কথাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মহোদয় জুম্ম-স্বার্থ পরিপন্থী ও পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন এই মর্মে যে, “লীজকৃত নাইতং পাহাড়ে বর্তমানে কোন ম্রো জনবসতি নেই এবং পূর্বেও ছিল না। …প্রত্যক্ষভাবে ম্রোদের ৪টি গ্রাম ও ৭০-১১৬টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হবার কথা পুরোপুরি সঠিক নয়”। ক্য শৈ হ্লা মহোদয়ের এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে জনস্বার্থ পরিপন্থী এবং স্থানীয় ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও জীবনাচার বিরোধী। কেননা উক্ত লীজকৃত নাইতং পাহাড়সহ চিম্বুক ভ্যালী ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রথাগত জুম ভূমি এবং মৌজা ভূমি। এসব ভূমি ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। তাই তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে বাস্তব-বিবর্জিত ও সত্যের অপলাপ।
যদিও বিনানুমতিতে পাহাড় কর্তন না করা, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম না করা, স্থানীয় উপজাতীয়দের জীবন-যাপন ও আচার-আচরণের বিঘ্ন করে এমন কার্যক্রম গ্রহণ না করা ইত্যাদি ১৮ শর্তাবলী প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে মর্মে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় তাঁর সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু হোটেল বিল্ডিংয়ের সাথে পর্যটকদের এক পাহাড়থেকে অন্য পাহাড়েযাতায়াতের সুবিধার্থে ১২টি পৃথক ভিলা, আধুনিক কেবল গাড়ি, রাইড এবং সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক সুবিধা, ছড়া-ঝিড়ি বাঁধ দিয়ে পানি ব্যবস্থা ইত্যাদি স্থাপনা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ব্যাপক পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বিপর্যয় এবং প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতি হবে। কেবল তাই নয়, ম্রো জনগোষ্ঠীসহ আদিবাসী জুম্ম জনগণের উপর নেতিবাচক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব পড়বে। স্বভাবতই গোটা চিম্বুক ভ্যালীর ম্রো বসতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পূর্বেকার কাপ্তাই বাধেঁর মতো হাজার হাজার জুম্ম উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে।
ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরাসরি চারটি ম্রো আদিবাসীদের পাড়া উচ্ছেদ করে নাইতং পাহাড়ের ২০ একরের বাইরে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে দোলা পাড়াবাসীর বাগান ও চাষের ভূমি, কাপ্রু পাড়ার ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক লাল পতাকা পুঁতে দিয়ে আনুমানিক ৮০০ থেকে ১০০০ একরের মত জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী পর্যটন ও সেনানিবাস স্থাপনার নামে ম্রোদের স্বভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ১৯৯০-এর দশকে সুয়ালকে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের নামে সাড়ে ১১ হাজার একর এবং রুমায় সেনানিবাস সম্প্রসারণের নামে ৯ হাজার একর জায়গা জোরর্পূবক অধিগ্রহণ করা হয়েছে, যে জমিগুলো ছিল ম্রোদের, যেখান থেকে ইতিমধ্যেই শত শত ম্রো পরিবার উচ্ছেদ হয়ে পড়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মহোদয় নিজেদের জনস্বার্থ বিরোধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে সাফাই গেয়েছেন যে, বান্দরবান জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী বান্দরবানের আদিবাসী তথা স্থায়ী বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও জেলার সার্বিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু চুক্তির ২৩ বছর হতে চললেও পার্বত্য জেলা পরিষদ গণতান্ত্রিক না হয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের লুটপাটের একটা আস্তানায় পরিণত হয়েছে। কোন সময় পার্বত্য জুম্ম জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়নি। প্রাণ-প্রকৃতি ধবংস করে, ম্রো আদিবাসীদের জীবনকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিয়ে শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত না করে পর্যটনের নামে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা কখনোই স্থানীয় ম্রো জনগোষ্ঠীর কল্যাণমূলক হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে ক্য শৈ হ্লা মহোদয় দাবি করেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের ৩৩টি বিষয়ের মধ্যে শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও স্থানীয় পর্যটনসহ ২৮টি বিষয় হস্তান্তরের হয়েছে যা সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে পার্বত্য জেলা পরিষষদে মাত্র ১৭টি বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার মধ্যে ১২টি বিষয় অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্থানীয় পর্যটন। এই বিষয়টি ২০১৪ সালে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের নিকট হস্তান্তরিত করা হয় নামমাত্র এখতিয়ার দিয়ে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বা অন্য কোন সংস্থার দ্বারা পরিচালিত কোন দপ্তর ও পর্যটন কেন্দ্র পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের নিকট হস্তান্তরিত হয়নি। কেবল পার্বত্য জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে গৃহীত পর্যটন প্রকল্প ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের এখতিয়ার রাখা হয়নি, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সাথে সম্পূর্ণভাবে বিরোধাত্মক। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জুম্মদের জায়গা-জমি জবরদখল করে এবং পার্বত্য চুক্তি ও আইনকে তোয়াক্কা না করে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করে চলেছে। যার ফলে স্থানীয় জুম্মদের জীবনজীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়ছে এবং নানাভাবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমস্যা উদ্ভব হচ্ছে।
পার্বত্য জেলার আইন অনুযায়ী জেলার কার্যক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য অঞ্চলে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম ও পরিষদের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনার বিধান থাকলেও তিনি তা করেননি। যা সম্পূর্ণ চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম। মোদ্দাকথায় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার গতকালের সংবাদ সম্মেলনটি ছিল প্রতারণামূলক, বাস্তব বিবর্জিত ও চুক্তিবিরোধী।
তাই বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার মনগড়া ও বাস্তব বির্বজিত সংবাদ সম্মেলন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সাথে চিম্বুকের বুকে ম্রো আদিবাসীদের জায়গা দখল করে ফাইভ স্টার হোটেল ও পর্যটন স্থাপনা নির্মাণের লিজ বাতিল ও সকল প্রকার পর্যটন স্থাপনা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে।





চট্টগ্রাম বিভাগ এর আরও খবর

সন্দ্বীপে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ সন্দ্বীপে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ
উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী
পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ  অনুষ্ঠিত কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত
শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি
সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে  ছাই সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই
আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা
রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)