

শুক্রবার ● ২০ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে খালে নিখোঁজ ‘সেই নারী জীবিত উদ্ধার
ফটিকছড়িতে খালে নিখোঁজ ‘সেই নারী জীবিত উদ্ধার
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: পুরো ৩০ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধুরুং খালে নিঁখোজ রেজিয়া বেগম (৪৫) নামের সে নারীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি কমলে তাঁর বাচাঁও বাচাঁও শব্দে লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। ধুরুং নদীর পানির এক ফুট উপরে ঝোপ-জঙ্গলে ভেসে থেকে জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি রহস্যময় হিসেবে উল্লেখ করছেন স্থানীয়রা।
এর আগে বুধবার দুপুরে তিনি গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে স্বজনসহ ফায়ার সার্ভিস, উদ্ধারকারী কর্মী ও এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেল তিনটার দিকে নদীতে গোসল করতে যান রেজিয়া। গোসলের সময় ব্যবহৃত নদীর পাড়ে কাপড়-সাবান থাকলেও পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয়দের ধারণা গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। কারণ নদীতে অথৈ পানিতে ভরা ছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে নদীর দু’পাড়ে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকেন। নদীর বিভিন্নস্থানে তাকে তল্লাশি করে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশিতে নামেন ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি। কিন্তু কেউ তার খোঁজ পাননি। অবশেষে সন্ধ্যায় নদীর পানি কমলে ওই নারীর জ্ঞান ফিরে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। সে সময় বাসিন্দারা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন। তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফিরেনি।
স্থানীয় কাঞ্চনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন সরওয়ার বলেন, ‘নদীর পানির এক হাত উপর কিছু ঝোপ-জঙ্গল থেকে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তাকে সেবা-সুশ্রুষা করছি। জ্ঞান ফিরলে রহস্য জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, তিনদিন আগে একই খালের মানিকপুর মহিষের ঘেরা এলাকায় গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন শাহানু বেগম (৪৫) ও মুনতাহা (৮) নামের দু’ই নানি-নাতনি। নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এবার হালদা নদীতে দেড় বছরের শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে তার পরিবার দাবী করছেন। নিখোঁজ শিশুকে হন্যে হয়ে খুঁজছে স্বজনসহ শত শত এলাকাবাসী। শিশুটির নাম তাহিয়া (১.৬)। সে উপজেলার পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক ড্রাইভারের কন্যা। তার ছয় বছরের আরেকটি পুত্র সন্তান আছে।
পরিবারের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটা পর্যন্ত শিশু তাহিয়াকে খেলায় দেন তার মা। এর পর থেকেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের বসত ঘরের অল্প দূরেই হালদা নদী। পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন মুহুর্তেই তাহিয়া হালদার পানিতে পড়ে তলিয়ে যেতে পারেন। কারণ নদীতে অথৈ পানি। বিষয়টি জানাজানি হলে নদীর দু’পাড়ে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকেন। নদীর বিভিন্নস্থানে তাকে তল্লাশি করে খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। শেষতক সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে শিশুটির খোঁজ পায়নি কেউ।
নাজিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘নিখোঁজের পর থেকে এলাকাবাসী ব্যক্তিগতভাবে তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালাবেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।’
ফটিকছড়ি ফায়ার ষ্টেশনের ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা নদীতে তল্লাশী চালাবেন। আমরা বিষয়টি জেলা কন্ট্রোল রুমে জানানোর পর তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’